জাতিসংঘ ও বিভিন্ন সংস্থা (বাংলাদেশ) সর্ম্পকে কিছু জানা-অজানা তথ্য।

জাতিসংঘ ও বিভিন্ন সংস্থা (বাংলাদেশ) সর্ম্পকে কিছু জানা-অজানা তথ্য।
1. জাতিসংঘ বিশ্বের স্বাধীন দেশসমূহের সর্ববৃহৎ সংগঠন।
2.জাতিসংঘের পূর্বসূরি সংস্থার নাম "জাতিপুঞ্জ বা লীগ অব নেশনস।"
3.‘লীগ অব নেশনস’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯১৯ সালে।
4.জাতিপুঞ্জ গঠনের প্রস্তাবক ২৮তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।
5.জাতিপুঞ্জের সদর দপ্তর ছিল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়।
6.জাতিপুঞ্জের প্রথম মহাসচিব ব্রিটিশ পদস্থ রাজ কর্মচারী "স্যার এরিক ড্রামন্ড।"
7.লীগ অব নেশনস আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয় ২০ এপ্রিল ১৯৪৬।
8.জাতিসংঘ(UNITED NATIONS) নামটির উদ্ভাবক ও প্রস্তাবক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট।
9.জাতিসংঘ গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয় যৃক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের ডাম্বার্টন ওকস সম্মেলনে; ১৯৪৪ সালে।
10.জাতিসংঘের খসড়া সনদ প্রণয়ন করা হয় ১৯৪৪ সালে।
11.জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষরিত হয় ২৬ জুন ১৯৪৫।
12.জাতিসংঘ সনদ কার্যকর হয় ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫; রচয়িতা Archibald Macleish।
13.প্রতি বছর জাতিসংঘ দিবস পালিত হয় ২৪ অক্টোবর।
14.জাতিসংঘের সদর দফতর অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে।
15.জাতিসংঘের সদর দফতরের স্থপতি ডব্লিউ হ্যারিসন।
16.জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষা ৬টি- ইংরেজি, ফরাসি, চীনা, রুশ, স্প্যানিশ ও আরবি।
17.জাতিসংঘের বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৩টি।
18.জাতিসংঘের ১৯৩তম বা সর্বশেষ সদস্য দেশ দক্ষিন সুদান।
19.বর্তমানে জাতিসংঘের স্থায়ী পর্যবেক্ষক দেশ ২টি-ভ্যাটিক্যান ও ফিলিস্তিন।
20.জাতিসংঘ নোবেল পৃরস্কার লাভ করে ২০০১ সালে।
21.জাতিসংঘ প্রধানের পদবী মহাসচিব(সেক্রেটারি জেনারেল)।
22.জাতিসংঘ মহাসচিবের মেয়াদকাল ৫ বছর।
23.জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ট্রাগভেলাই(নরওয়ে)।
24.জাতিসংঘের মহাসচিব দ্যাগ হ্যামারশোল্ড বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান।
25.জাতিসংঘের অষ্টম ও বর্তমান মহাসচিব বান কি মুন (দক্ষিন কোরিয়া)।
26.নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া জাতিসংঘের মহাসচিবরা হলেন – দ্যাগ হ্যামারশোল্ড (মরণোত্তর) ও কফি আনান।
27.জাতিসংঘের মূল অঙ্গসংগঠন ৬টি-সাধারণ পরিষদ, নিরপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, আন্তর্জাতিক আদালত ও অছি পরিষদ।
28.জাতিসংঘের আলাপ-আলোচনার মূল সভা সাধারণ পরিষদ।
29.জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টার হলে।
30.জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশন শুরু হয় সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার।
31.জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রধানকে বলে সভাপতি; মেয়াদ ১ বছর।
32.জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম সভাপতি পল হেনরি স্মাক (বেলজিয়াম)।
33.জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রমথ নারী সভাপতি বিজয়লক্ষী পন্ডিত (ভারত)।
34.জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম মুসলিম নারী সভাপতি সায়খা হায়া বিনতে রশিদ আল খলিফা (বাহরাইন)।
35.জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বর্তমান সভাপতি স্যাম কাহাম্বা কুটেসা (উগান্ডা)।
36.জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশ ১৫টি।
37.১৯৬৫ সালের পূর্ব পর্যন্ত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ছিল ১১টি।
38.নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ পাঁচটি- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন।
39.নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য দেশ ১০টি।
40.জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বচিত হয় দুই বছর মেয়াদে।
41.বাংলাদেশ জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকের মর্যাদা লাভ করে ১৭ অক্টোবর ১৯৭২।
42. বাংলাদেশ জাতিসংঘের ২৯তম সাধরণ অধিবেশনে সদস্যপদ লাভ করে।
43.বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য।
44.বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪।
45.জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের বিরুদ্ধে ভেটো দেয় চীন; ২৫ আগস্ট ১৯৭২।
46.জাতিসংঘের সাধরণ পরিষদে মাতৃভাষা বাংলায় প্রথম ভাষণ প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
47.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে ভাষণ দেন ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে; ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪।
48.জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশ প্রথমবার অস্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে ১৯৭৯-১৯৮০ মেয়াদকালে।
49.জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার অস্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে ২০০০-২০০১ মেয়াদকালে।
50.জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী প্রতিনিধি জনাব সৈয়দ আনোয়ারুল করিম।
51.জাতিসংঘে বাংলাদেশর বর্তমান স্থায়ী প্রতিনিধি একেএম আবদুল মোমেন।
52.জাতিসংঘে নিযুক্ত প্রথম বাংলাদেশী নারী স্থায়ী প্রতিনিধি ইসমাত জাহান।
53.জাতিসংঘের সাধারন পরিষদের ৪১তম সাধারণ এবং ১৪তম বিশেষ অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন হুমায়ন রশীদ চোধুরী (১৯৮৬ সাল)
54.জাতিসংঘ বাজেটে বাংলাদেশের চাঁদার হার .০১ শতাংশ।
55.বাংলাদেশ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)-এর সদস্যপদ লাভ করে ১২ নভেম্বর ১৯৭৩।
56.বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (IFAD)-এর সদস্যপদ লাভ করে ৩০ নভেম্বর ১৯৭৭।
57.বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর সদস্যপদ লাভ করে ১৭ মে ১৯৭২।
58.বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO)-এর সদস্যপদ লাভ করে ২২ জুন ১৯৭২।
59.বাংলাদেশ জাতিসংঘ শিক্ষা, বিগ্ঙান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (UNESCO)-এর সদস্যপদ লাভ করে ২৭ অক্টোবর ১৯৭২।
60.বাংলাদেশ বিশ্ব বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদ সংস্থা (WIPO)-এর সদস্যপদ লাভ করে ১১ মে ১৯৮৫।
61.বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)-এর সদস্যপদ লাভ করে ১ জানুয়ারি১৯৯৫।
62.বাংদেশ জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (UNIDO)-এর সদস্যপদ লাভ করে ১১ ডিসেম্বর ১৯৭২।
63.বাংলাদেশ জাতিসংঘের উন্নয়ন ও বাণিজ্য কর্মসূচি (UNCTAD)-এর সদস্যপদ লাভ করে ২০ মে ১৯৭২।
64.বাংলাদেশ বিশ্ব ডাক ইউনিয়ন (UPU)-এর সদস্যপদ লাভ করে ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩।
65.বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাগোয ইউনিয়ন (ITU) সদস্যপদ লাভ করে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩।
66.বাংলাদেশ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO)-এর সদস্যপদ লাভ করে ২৪ আগষ্ট ১৯৭৩।
67.বাংলাদেশ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (WTO)-এর সদস্যপদ লাভ করে ১৯৭৫ সালে।
68.বাংলাদেশ জাতিসংঘ প্রতিবন্ধী অধিকার সনদে স্বাক্ষর করে ৯ মে ২০০৭।
69.বাংলাদেশ CTBT স্বাক্ষর করে ২৪ অক্টোবর ১৯৯৬; অনুমোদন ৮ মার্চ ২০০০।
70.বাংলাদেশ জাতিসংঘের অভিবাসী সনদ স্বাক্ষর করে ৭ অক্টোবর ১৯৯৮।
71.বাংলাদেশ জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশন অনুমোদন করে ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০০৭।
72.বাংলাদেশ জাতিসংঘ পরমাণু সন্ত্রাস প্রতিরোধ চুক্তি স্বাক্ষর করে ৭ জুন ২০০৭।
73.বাংলাদেশ জাতিসংঘ নারী রাজনৈতিক অধিকার অনুমোদন করে ৫ অক্টোবর ১৯৯৮।
74.বাংলাদেশ রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন চুক্তি স্বাক্ষর করে ১৪ জানুয়ারী ১৯৯৩।
75.বাংলাদেশ কিয়োটো প্রোটোকল অনুমোদন করে ২২ অক্টোবর ২০০১; কার্যকর ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০০৫।
76.বাংলাদেশ স্থলমাইন নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (অটোয়া চুক্তি) স্বাক্ষর করে ৮ মে ১৯৯৯; ১২৬তম দেশ হিসেবে।
77.বাংলাদেশ CEDAW সনদ সমর্থন করে ৬ নভেম্বর ১৯৮৪।
78.বাংলাদেশ সমুদ্র আইন কনভেশন স্বাক্ষর করে ১০ ডিসেম্বর ১৯৮২; অনুমোদন ২৭ জুলাই ২০০১।
79.বাংলাদেশ জাতিসংঘ শিশু অধিকার কনভেনশন স্বাক্ষর করে ২৬ জানুয়ারী ১৯৯০; অনুমোদন ৩ আগস্ট ১৯৯০।
80.বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কনভেনশন স্বাক্ষর করে ৯ জুন ১৯৯২; অনুমোদন ১৫ এপ্রিল ১৯৯৪।
#ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাপ্রার্থী। সেই সাথে ১০০% সিউর হয়ে ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ রইল।

No comments:

Post a Comment