Showing posts with label BCS Viva. Show all posts
Showing posts with label BCS Viva. Show all posts

৪০তম বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি

 ৪০তম বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি 

.

ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের মধ্যে  পার্থক্য কী ?

ট্রানজিট হল নিজ দেশের পণ্য নিজ দেশের পরিবহন ব্যবহার করে অন্যকোন দেশের (২য়) ভূমি ব্যবহার করে নিজ দেশের অন্যকোন অংশে বা তৃতীয় কোন দেশে প্রেরণ  করা।

.

ট্রান্সশিপমেন্ট হল নিজ দেশের ভূখন্ড পর্যন্ত নিজের যানবাহন ব্যবহার করা এবং পণ্য অন্যদেশ বা নিজ দেশের অন্যকোথাও পাঠাতে তৃতীয় দেশের যানবাহন ব্যবহার করা।

.

মোটকথা ট্রানজিটে নিজ দেশের যানবাহন অন্যদেশে ঢুকতে পারবে কিন্তু ট্রন্সশিপমেন্ট পারবে না।

 একটি উদাহরণের সাহায্যে বললে বুঝতে পারবেন 

যেমন

ভারতের পণ্যবাহী যানবহন  যখন বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের অন্য কোন রাজ্যে/ নেপাল/ ভুটানে পৌঁছে দেয় তখন থাকে ট্রানজিট বলে । 

আর ভারতের পণ্যবাহী যানবহন যদি বাংলাদেশের ভূখণ্ড পারের জন্য বাংলাদেশি যানবহন ব্যবহার করে   ও বাংলাদেশের ভূখণ্ড পারা হওয়ার সাথে সাথেই  অন্য দেশের যানবহন ব্যবহার করে   ভারতের অন্য কোন রাজ্যে/ নেপাল/ ভুটানে পৌঁছে দেয় তখন থাকে ট্রানশিপমেন্ট  বলে

BCS written + Viva - বিসিএস লিখিত + ভাইভা

BCS written + Viva - বিসিএস লিখিত + ভাইভা 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে অনেক তথ্য উপাত্ত পাবেন যা লিখিত ও ভাইভাতে কাজে দিবে 

উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে জায়গা করে নেবে 

করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে প্রায় এক বছর পর আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। তবুও সরাসরি নয়, ভার্চুয়ালি। আজ অবশ্য আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি বাংলাদেশের একটি মহৎ ও গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের সুসংবাদ দেয়ার জন্য।

বাংলাদেশ গতকাল স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি।

সমগ্র জাতির জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের। আমাদের এ উত্তরণ এমন এক সময়ে ঘটল, যখন আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি; আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে।

বাংলাদেশের জন্য এ উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে টেনে তুলে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে তারই হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করল।

এ কৃতিত্ব এ দেশের জনসাধারণের। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এ মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি। এ শুভ মুহূর্তে আমি দেশ ও দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশের সব নাগরিককে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমাদের উন্নয়ন-সহযোগীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জাতির পিতার কন্যা হিসেবে, জনগণের একজন নগণ্য সেবক হিসেবে এ কৃতিত্ব অর্জনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। মহান আল্লাহতাআলার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।

আমি এ অর্জনকে উৎসর্গ করছি আমাদের দেশের নতুন প্রজন্মকে। যারা আজকের বাংলাদেশকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।

আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে।

শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনের প্রতি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ সালাম। এ ভাষা আন্দোলনের মাসে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি মহান ভাষাশহীদদের।

আমি গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নিহত আমার মা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তিন ভাই ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লে. শেখ জামাল ও ১০ বছরের শেখ রাসেল, দুই ভ্রাতৃবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, চাচা শেখ আবু নাসেরসহ সেই রাতের সব শহীদকে।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,

পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ববঙ্গ শুধু অবহেলিতই ছিল না, এখানকার সম্পদ নিয়ে গিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানকে সমৃদ্ধ করা হচ্ছিল। শতকরা ৫৬ ভাগ মানুষের জন্য ব্যয় করা হতো ২৫-৩০ ভাগ সম্পদ। আর পশ্চিম পাকিস্তানের ৪৪ শতাংশ জনগণের জন্য ৭০-৭৫ ভাগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সোচ্চার হন। শুরু করেন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলন। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

কিন্তু পাকিস্তানি জান্তা পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশের সব অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়ে যায়। রাস্তাঘাট নেই, রেললাইন-ব্রিজ-কালভার্ট ধ্বংসপ্রাপ্ত, সমুদ্রবন্দর-নদীবন্দর অচল, কলকারখানা বন্ধ, অফিস-আদালত ধ্বংস। একটা প্রদেশের প্রশাসনকে তিনি অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে একটা স্বাধীন দেশের উপযোগী করে একেবারে শূন্য হাতে দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। ভারত থেকে ফিরে আসা এক কোটি শরণার্থীসহ দেশের অভ্যন্তরে উদ্বাস্তু হয়ে পড়া প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষকে পুনর্বাসন করেন। শহীদ পরিবার, নির্যাতিত পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা, ঘরবাড়ি হারানো সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ অতিক্রম করে। বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবেশ করে।

কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীরা তাকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যার মাধ্যমে শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেই ধ্বংস করেনি, তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দেয়। এর প্রমাণ আপনারা দেখেছেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর একুশ বছরে।

তখন বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতি ছিল বন্যা-খরা, দুর্যোগ, ভিক্ষুকের দেশ হিসেবে। বার্ষিক বাজেটের একটা বড় অংশ আসত বিদেশী সাহায্য থেকে। খাদ্যের জন্য বিদেশী সাহায্যের দিকে তাকিয়ে থাকত পঁচাত্তর-পরবর্তী সরকারগুলো।

গ্রামগুলো ছিল সবচেয়ে অবহেলিত। গ্রামের মানুষের দিকে তাকানোর কেউ ছিল না। যোগাযোগের জন্য রাস্তা ছিল না, বিদ্যুৎ ছিল না, মানুষের হাতে কাজ ছিল না। অনাহারে-অর্ধাহারে মানুষ দিন পার করত। সারা দিন মজুরি খেটে দুই সের চালও জুটত না।

ছয় বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর আমি ব্যাপকভাবে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা সফর করি। আমি সে সময়ই প্রতিজ্ঞা করি যদি কোনোদিন আল্লাহ আমাকে সুযোগ দেন দেশ পরিচালনার, তাহলে গ্রামোন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব। গ্রামের মানুষের উন্নয়নে কিছু করব। তখন ৭০-৮০ ভাগ মানুষ গ্রামে বাস করত। আমার মনে হয়েছিল এদের যদি দারিদ্র্যমুক্ত করতে পারি, তাহলেই বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে।

১৯৯৬ সালে জনগণের রায় নিয়ে আমি প্রথমবার সরকার গঠন করে আমার চিন্তা-চেতনাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার চেষ্টা করেছি। নতুন নতুন পরিকল্পনা, কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি প্রবর্তনের মাধ্যমে গরিব, প্রান্তিক মানুষকে সরকারি ভাতার আওতায় নিয়ে এসেছি। কৃষি উৎপাদনের ওপর বিশেষ জোর দিয়ে দেশকে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম।

মাঝখানে পাঁচ বছর বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় ছিল। তারা কী করেছিল আপনারা জানেন। ২০০৯ সালে দায়িত্ব নিয়ে আমরা অব্যাহতভাবে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আজকের যে অর্জন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, তা আমাদের বিগত ১২ বছরের নিরলস পরিকল্পনা, পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার ফসল। দেশের মানুষই এসব করেছে। আমরা সরকারে থেকে শুধু নীতি-সহায়তা দিয়ে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি।

প্রিয় সাংবাদিকগণ,

মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা—এ তিন সূচকের ভিত্তিতে জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের তিনটি মানদণ্ডই খুব ভালোভাবে পূরণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর অনুষ্ঠিত ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ পুনরায় সব মানদণ্ড অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে পূরণের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করল।

জাতিসংঘের পর্যালোচনায় ২০১৯ সালে মাথাপিছু আয়ের মানদণ্ড নির্ধারিত ছিল ১ হাজার ২২২ মার্কিন ডলার। ওই বছর বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৮২৭ ডলার। আর বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ ডলার। অর্থাৎ মানদণ্ডের প্রায় ১.৭ গুণ। মানবসম্পদ সূচকে নির্ধারিত মানদণ্ড ৬৬-এর বিপরীতে বাংলাদেশের অর্জন ৭৫.৪। অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকে উত্তরণের জন্য মানদণ্ড নির্ধারিত ছিল ৩২ বা তার কম। কিন্তু ওই সময়ে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৭।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দারিদ্র্য, ক্ষুধা, নিরক্ষরতামুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।

এক যুগ আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আর্থিক ও অন্যান্য সূচকের দিকে লক্ষ করুন। ২০০৮-০৯ বছরে জিডিপির আকার ছিল মাত্র ১০৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ সালে তা ৩৩০.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ ১২ বছরে সরকারি ব্যয় ৪.৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৮৭ হাজার ৯৬০ কোটি থেকে ২০১৯-২০ বছরে ৪ লাখ ১৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা হয়েছে। ২০০৮-০৯ বছরে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ১৫ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। আর ২০১৮-১৯ বছরে তা ৪০ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারে বৃদ্ধি পায়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০০৮-০৯ বছরের ৭ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৪৪ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০০১ সালে আমাদের দেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ এবং হতদরিদ্রের হার ছিল ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৫ এবং হতদরিদ্রের হার ১০ দশমিক ৫ শতাংশে।

খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার টন। বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে তৃতীয় এবং মাছ-মাংস, ডিম, শাকসবজি উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে এবং ইলিশ উৎপাদনকারী ১১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম।

২০০৯-১০ বছরে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ছিল মাত্র ৫,২৭১ মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ৪৭ থেকে ৯৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

মানুষের গড় আয়ু ২০০৯-১০ বছরের ৬৯ দশমিক ৬১ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯-২০ সালে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছর। ২০০৯-১০ বছরের তুলনায় পাঁচ বছর বয়সী শিশুমৃত্যুর হার অর্ধেক কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি হাজারে ২৮। মাতৃমৃত্যুর হার কমে দাঁড়িয়েছে লাখে ১৬৫ জনে, যা ২০০৯-১০-এ ছিল ২৮০ জন।

বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর সুবিধা আজ শহর থেকে প্রান্তিক গ্রাম পর্যায়ে বিস্তৃৃত হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড সুবিধা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’-এর সুবিধা কাজে লাগিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের সব গৃহহীনকে ঘর প্রদান কর্মসূচির আওতায় ৮ লাখ ৯২ হাজার গৃহহীনকে ঘর দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ৭০ হাজার ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। আরো ৫০ হাজার গৃহ নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪৬ পরিবারকে বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে চলতি বাজেটে ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা বাজেটের ১৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং জিডিপির ৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। উপকারভোগীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ২৫ লাখ। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত ২ কোটি ৫৩ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি, উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।

করোনাকালে মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিন, অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মী, নন-এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক, শিল্পী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই কোটি মানুষকে নগদ ও অন্যান্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের নারীরা আজ স্বাবলম্বী। জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্সে ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫০তম এবং নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সপ্তম।

করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে ২০২০ সাল শুধু আমাদের জন্য নয়, গোটি বিশ্বের জন্য ছিল সংকটময়। এ মহামারীতে যাদের মৃত্যু হয়েছে আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি। আমরা এরই মধ্যে টিকা প্রদান শুরু করেছি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০ জনকে প্রথম ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে।

অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে এখন পর্যন্ত আমরা ১ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকার ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি, যা মোট জিডিপির ৪.৪৪ শতাংশ।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ একটি প্রত্যয়ী ও মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে জায়গা করে নেবে। আমাদের এ অর্জনকে সুসংহত ও টেকসই করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের জন্য এটি একটি বিশেষ ধাপ।

এরই মধ্যে আমরা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্র্রহণ করেছি। টেকসই উত্তরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশল এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পসহ বেশকিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এগুলোর কতগুলো এ বছর বা আগামী বছরের শুরুতে চালু হবে।

এছাড়া সারা দেশে একশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, দুই ডজনের বেশি হাইটেক পার্ক এবং আইটি ভিলেজ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। এসব বাস্তবায়ন হলে কর্মসংস্থান তৈরিসহ আমাদের অর্থনীতিতে আরো গতি সঞ্চার হবে।

বাঙালি বীরের জাতি। মাত্র নয় মাসে আমরা আমাদের স্বাধীনতার লাল সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ অচিরেই একটি উন্নত-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে, ইনশা আল্লাহ।

আসুন, দলমত নির্বিশেষে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করি। সবাইকে ধন্যবাদ।

খোদা হাফেজ।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

(বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ অর্জন করা উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্য)

শেখ হাসিনা: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী

Latest 40th BCS viva questions 2021 -৪০তম বিসিএস ভাইভা প্রশ্ন

 ৪০তম বিসিএস ভাইভা প্রশ্ন (১৬/০২/২০২১):

-------------------------------------------------------------

১.মন্ত্রীপরিষদ সচিবের কাজ বলেন।

২.প্রশাসন ক্যাডারের Hierarchy টা বলেন।

৩.UNO এর কাজ কী?

৪.প্রশাসনে কেন আসতে চাচ্ছেন?

৫.সাবজেক্ট এর সাথে ক্যাডারের মিল কোথায়?

৬.মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ কী কী কাজ করেন?

৭.ADB, World Bank, GDP, GNP সম্পর্কে বলেন? 

৮. ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য কতজন ছিল?

৯.Blue Economy কী?

১০.Introduce yourself.

১১.বাংলাদেশে যে টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে, তা কীভাবে বুঝছেন?

১২.বিভিন্ন দাতা সংস্থা বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে যে মন্তব্যগুলো করছে,সেগুলো বলেন।

১৩.সংবিধান কী?

১৪.ভিশন ২০২১ কী?

১৫.মধ্যম আয়ের দেশ বলতে কী বোঝেন?

১৬.আপনার Academic Background ইংরেজিতে বলেন।

১৭.নিজের নামের অর্থ বলেন।

১৮.মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বলেন।

১৯.আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সম্পর্কে বলেন। 

২০.Covid-19 সম্পর্কে বলেন। 

২১.বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তার ইনডিকেটর গুলো বলেন।

২২.রোহিঙ্গা সমস্যার বিস্তারিত বলেন।

২৩.অন্যান্য।

মোটামুটি এই প্রশ্নগুলোই আজকে ভাইভা বোর্ডে জিজ্ঞেস করা হয়েছে। আজকে ছিল প্রেসিডেন্শিয়াল ভাইভা।  

#Collected

40th BCS Viva Experience 2021 -৪০ ভাইভা অভিজ্ঞতাঃ

৪০ ভাইভা অভিজ্ঞতাঃ

আমিঃ মোহাম্মদ ইয়াছিন 

এখন আছিঃ ৩৮ পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডার 

আগে ছিলামঃ ৩৭ শিক্ষা ক্যাডার।

বোর্ডঃ জনাব মোহাম্মদ আবদুল মান্নান স্যার

তারিখঃ ১৭/০২/২০২১


দুইবার ক্যাডার হয়েছি তাই আমি প্রিপারেশন নিয়েই গেছি অনেক বকা খাইতে হবে। কিন্তু গিয়ে দেখি ধারণার বিপরীত। প্রবেশের পর

চেয়ারম্যান স্যারঃ you are Easin?

Me: yes sir

C: came from cumilla?

Me: yes sir

C: you are graduated from University of Chittagong. 

Me: yes sir.

C: what are you doing now?

Me: answer. (38 bcs)

External: কিন্তু এখানে দেখতেছি তুমি ৩৭ এ শিক্ষা ক্যাডারেও আছ।

আমিঃ জ্বি স্যার

চেঃ ও গুড তা এখন কি ইচ্ছা ফরেন ক্যাডার?

আমিঃ বললাম এডমিন।

চেঃ গুড এমবিশন থাকা ভাল।  

তা এডমিন এ আসতে চাও কেন? 

এখানে কি পাওয়ার এক্সারসাইজ করার সুযোগ আছে?

 ৭ মার্চ এর ভাষণ কেন এত বিখ্যাত? 

এর দাবি গুলো কি কি?

 (৪ টা বলার পর)  আর কি কি ছিল এখানে? 

শান্তি শৃঙ্খলা নিয়ে কি বলা ছিল? 

পিছনে একটা ছবি দেখিয়ে বললো এটা কে কি করেন?

(জাতিসংঘের ভাষণ বলার পর) এই রকম ভাষণ আর কোথায় দিয়েছেন?

 ( বললাম জানি না)।  বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কি কি বই পড়েছি? 

অসমাপ্ত আত্মজীবনী বঙ্গবন্ধু একজন শিল্পীর সাথে গিয়েছিলেন কার সাথে কার কাছে কিভাবে গিয়েছিলেন? ওস্তাদ আলাউদ্দিন এর বাড়ি কোথায়?

 ১০ জানুয়ারীতে বঙ্গবন্ধু একটা কবিতা বলেছেন কি সেটা?  

এত কবি থাকতে উনার কবিতা কেন বলতে গেলেন? 

৭ মার্চের ভাষণ দেন?  

এটার নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন রাখলেন? 

এক্সটার্নালঃময়নামতি গিয়েছি কিনা? 

এটা কেন বিখ্যাত?

এই রকম বিহার আর কোথায় আছে?

বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট কি আছে?


চেয়ারম্যান স্যার আরও কি কি বিহারের কথা জিজ্ঞেস করছে পারিনি।

আলহামদুলিল্লাহ বকা খাইনি এটা সান্ত্বনা। 

দোয়া প্রার্থী।

40th BCS Viva Preparation - ৪০ তম বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি

 40th BCS Viva Preparation -  ৪০ তম বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি


যারা রিটেনে পাস করবেন আশা রাখছেন, তারা একবার শেষ চেষ্টা করুন। একটা ভালো ভাইভা,বদলে দিতে পারে অনেক কিছু।


★আমার কাছে ভাইভাটা এক্সামের চেয়ে আরও বেশি কিছু। বিশেষ করে বি সি এস ভাইভা যা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে!

তাই প্রিপারেশনটাও একটু ভালো করেই নেন। ভাবুন এটাই আপনার একমাত্র ভাইভা। কোন সেকেন্ড চান্স নেই। আপনাকে পারতেই হবে। হলে এবার নয়তো নয়।

★প্রথমেই নিজেকে জানুন।নিজেকে ভাঙ্গুন, বিশ্লেষণ করুন। নিজের দোষ গুলো, যা অন্যক বিরক্ত করে তা নিজেই খুঁজে বের করুন। সেসব দোষ গুলোকে দূরে ফেলে নিজেকে নতুন করে গড়ুন।

★কথা বলুন সহজ, সরল আর স্বাভাবিক ভাষায়। আপনাকে স্মার্ট হওয়ার দরকার নাই, কেবল সহজ আর স্বাভাবিক থাকুন।

★বাংলা আপনার নিজের ভাষা। তাই বাংলা উচ্চারণ শুদ্ধ হওয়া চাই। বিশেষ করে অল্প প্রাণ -মহাপ্রাণ ধ্বনির উচ্চারণ। অর্থাৎ প,ফ, ব,ভ,ড,ঢ, স,শ এসব যাতে সঠিক হয়। আর এটি একদিনে সম্ভব নয়। তাই এখন থেকে প্র্যাকটিস করুন।

★বসার ভঙ্গি থেকে শুরু করে মুখের অভিব্যক্তি সবই খেয়াল করুন। সহজ ও সোজা হয়ে বসার অভ্যাস করুন। যাতে নম্রতা ফুটে ওঠে। আই কন্টাক্ট ঠিক রাখুন।প্রশ্নকর্তার দিকে সুন্দর দৃষ্টি রেখে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলুন। 

★সব উত্তর জানা কোন নরম্যাল মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই কোন প্রশ্নের উত্তর না পারলেও স্বাভাবিক থাকুন। অনেক উত্তরই আপনি পারবেন না।

★★হয়তো কোন উত্তর আপনি পারেন না। এটাকে সহজে নিন।এবং সহজ ভাবেই বলুন, জানেন না। এটা আপনার প্রতিকূল অবস্থায় কতটুকু ঠিক থাকতে পারবেন, সেটার প্রকাশ। 


★হাসি মুখে পরবর্তী প্রশ্নের জন্য অপেক্ষা করুন।

 ★ হতাশ বা নার্ভাস না হওয়ার চেষ্টা করুন।

★মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কে যত সম্ভব জানুন এবং ইতিবাচক ধারণা রাখুন। এটি কেবল ভাইভা নয়, একজন সচেতন নাগরিকের জন্যও অতীত জরুরি।

★আপনার নিজের সাবজেক্টের কমন ও গুরুত্বপূর্ণ টার্ম গুলো ভালো করে জেনে রাখুন।

★কোন বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাইলে, পজিটিভ উত্তর দিন। যেমন :

আমি চেষ্টা করব বা আমি করতে চাই..... না বলে বলুন,

আমি পারবো, আমি করবো। আপনার কণ্ঠে যেন দৃঢ়তা থাকে।

★মেধা যাচাইয়ের ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় আপনি পাস করেই এসেছেন। এটা আপনার মেধা নয়, সাথে ব্যাক্তিত্ব, মনোভাব, দৃঢ়তা, উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা সহ সক্ষমতা দেখার পরীক্ষা।

★তাই Ettiqute & politeness ধরে রাখুন।

সর্বোপরি,

সাম্প্রতিক বিষয়,ক্যাডার চয়েজ, ক্যাডার চয়েজের কারণ, প্রথম তিনটা চয়েজ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা, নিজস্ব সাবজেক্টে ভালো জ্ঞান, ১ম ক্যাডার চয়েজের সাথে নিজ সাবজেক্টের সামঞ্জস্যতা  দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে স্বচ্ছ ও পজিটিভ ধারণা এবং সাথে ভদ্র, সহজ,সরল এবং স্বাভাবিক রেসপন্সই আপনাকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে।

*উপর্যুক্ত বিষয়গুলো একদিনে আয়ত্ত করা সম্ভব নয়।

 তাই তা এখন থেকেই প্র্যাকটিস করুন। এসব বিষয় আপনার ভাইভা নয়ং বরং বাকী জীবনেও লাগবে। যা আপনাকে আরও ভালো ও যোগ্য করে তুলবে।

★প্র্যাকটিসের জন্য আমরা করতাম কি, বেশ কয়েক জন বন্ধু মিলে Mock Viva দিতাম। আর নিজেরাই আমাদের ভুল গুলো ধরতাম। এটা অনেক কার্যকরী। আত্ম বিশ্বাস বাড়ায়, সাহস যোগায়।


নিচের টপিকস গুলো সম্পর্কে ধারণা নিয়ে রাখতে পারেন :

*  Introduce Yourself

*About your own subject

*Consistence between your subject & 1st Choice

*Reason behind your 1st three choices.

*About your own village /City/Town/District

★★*About Recent Issue(Home & Abroad)

*About the Great Liberation War

*About The Father of the Nation.

* Constitution( Only Important Article)

*A brief history of Bangladesh (1940-2000)

২.

যাদের প্রথম পছন্দ প্রশাসন, তারা উপর্যুক্ত বিষয়ের পাশাপাশি নিচের বিষয় গুলোও দেখবেন :

*বাংলাদেশের লোক প্রশাসন, প্রশাসনের ক্রম বিকাশ এবং বর্তমান অবস্থা।

*সরকার, সরকারের বিভাগ

*ক্ষমতার স্বতন্ত্রীকরন নীতি, প্রশাসনের কেন্দ্রীকরন ও বিকেন্দ্রীকরণ।

*বিচার বিভাগের স্বাধীনতা

*সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীসমূহ

*বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা

*যুদ্ধাপরাধীর বিচার

৩.

যাদের প্রথম পছন্দ পররাষ্ট্র, তারা ১ ও ২ নম্বর পয়েন্ট গুলোর পাশাপাশি নিম্নের টার্মগুলোও দেখতে পারেন :

*অান্তর্জাতিক রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি

*আন্তর্জাতিক রাজনীতির গত ১০০ বছরের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী (১৯০১--২০০০)

*নয়া বিশ্ব ব্যবস্থা

*বিশ্বায়ন

*পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি

* G-7   ভুক্ত দেশ সমূহের  তুলনামূলক রাজনীতি, সরকার ব্যবস্থা এবং অর্থনীতি (রাশিয়া সহ দেখুন)

*E-11  ভুক্ত দেশ গুলোর বর্তমান পরিস্থিতি

*উন্নত দেশ সমূহের বিশেষ করে Security Council এর সদস্য রাষ্ট্র (স্থায়ী) গুলোর সরকার ব্যবস্থার তুলনামূলক আলোচনা, বাংলাদেশে ঐ সব রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক। (ভারত সহ দেখুন)

*পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কার্যাবলী ও দায়িত্ব

★পররাষ্ট্র ছাড়া বাকি ক্যাডার যাদের প্রথম পছন্দ, তাদের ইংরেজিতে খুব একটা এক্সপার্ট হতে হয় না। তবে মোটামুটি সহজ এবং শুদ্ধ ভাবে বলতে পারলেই হবে।

★যাদের গলার স্বর খুব ক্ষীণ, তারা আরেকটু লাউড করুন। তবে খুব জোরে নয়।আয়নার সামনে দাড়িয়ে প্র্যাকটিস করতে পারেন। ফোনে রেকর্ড করে নিজেই শুনতে পারেন।


ভাইভা বোর্ডে প্রথম অনেক প্রশ্নের উত্তর না পারলেও, আমি শেষ প্রশ্ন পর্যন্ত স্বাভাবিক আর হাসিমুখে থাকব, আমি একটা ভালো ভাইভা দিবো। এ বিশ্বাসটুকু দারুণ কাজ করে। 

সবাই ভালো থাকুন, নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন।


সৌজন্যেঃ

তাছলিমা শিরিন মুক্তা 

৩৫ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার।।

40th BCS Viva Preparation Guidelines - ৪০তম বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি নির্দেশনা

৪০তম বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি নির্দেশনা

বিসিএস ভাইভা নিয়ে কিছু কথা

সোনিয়া মুন্নী

সহকারি পররাষ্ট্র সচিব

বিসিএস (পররাষ্ট্র), ৩৪তম বিসিএস ।

(শুরুর কথার পূর্ব কথা- অনেকেই ইনবক্সে ভাইভা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে সবার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি বলে আমি দুঃখিত।অনেক আপুরা জানতে চেয়েছেন ভাইভার ড্রেস কোড সম্পর্কে।আমি ফেইসবুকে একজন ক্যাডারের কাছ থেকে বিসিএস এর গাইডলাইন পেয়েছিলাম।তাই নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকেই আপনাদের অনেকের জিজ্ঞাসার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করলাম এবং এখানে একান্তই আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে মতামত দিলাম।পররাষ্ট্র যাদের প্রথম পছন্দ তারা অনেকেই ভাইভা প্রস্তুতি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন ,সম্ভব হলে আর একটি পোস্ট দিবো সে সম্পর্কিত।এখানে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে সব পরীক্ষার্থীর জন্য কিছু পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করলাম।)

- পরীক্ষার্থীকে প্রায় সব বোর্ডেই কমন কিছু প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।যেমন-self introduction, academic background ,why first choice... etc...এগুলো আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে গেলে সুন্দরভাবে বলতে পারবেন।

- পছন্দক্রমের প্রথম ক্যাডার সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানুন।পরবর্তী দুটি ক্যাডার সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা নিয়ে ভাইভা বোর্ডে যাবেন।এক্ষেত্রে পত্র-পত্রিকা,উইকিপিডিয়া বা ভালো ভাইভা গাইডের পাশাপাশি ক্যাডার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওয়েরসাইটের সহায়তা নি্তে পারেন।যেমন-পররাষ্ট্র যাদের প্রথম পছন্দ তারা www.mofa.gov.bd কিংবা অ্যাডমিন যাদের প্রথম পছন্দ তারা www.mopa.gov.bd এর সহায়তা নিতে পারেন।

- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাম্প্রতিক আলোচিত প্রত্যেকটি ইস্যু সম্পর্কে ভালো ধরনা রাখুন।আর সে জন্য প্রতিদিন কয়েকটি পত্রপত্রিকা পড়ুন। টিভি/রেডিওতে নিউজ দেখুন/শুনুন।

- বিগত বিসিএস এর ভাইভা গ্রুপে অনেক পরীক্ষার্থী ভাইভা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন যা গ্রুপগুলোতে এখনো আছে। প্রশ্নগুলো সংগ্রহ করে ধারণা নিন আপনার নিজের প্রথম পছন্দ যাদের প্রথম পছন্দ ছিল তাদেরকে কি ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে।কোন বোর্ডে কোন ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে সে সম্পর্কেও ধরনা পাবেন এইসব প্রশ্ন দেখে।সেইভাবে প্রস্তুতি নিন।

- ভাইভা শুরু হলে প্রতিদিন-ই অনেকে ভাইভার প্রশ্ন গ্রুপে শেয়ার করবেন। সেইসব প্রশ্ন সংগ্রহে রাখুন এবং যে প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনার জানা থাকবেনা সে উত্তরগুলো সেইদিন-ই শিখে নিন।

- ভাষা আন্দোলন,মুক্তিযুদ্ধ তথা বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে অত্যন্ত ভালোভাবে প্রস্ততি নিয়ে ভাইভা বোর্ডে যাবেন।‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ খুব ভালোভাবে পড়ুন যাতে এখান থেকে কোন প্রশ্ন করলে আপনি আটকে না যান।এছাড়া মুক্তিযুদ্ধবভিত্তিক দু/একটি উপন্যাস পড়ে যেতে পারেন।এক্ষেত্রে ‘জ্যোস্না ও জননীর গল্প’, ‘দেয়াল’, ‘১৯৭১’, ‘দুই সৈনিক’ কিংবা ‘নিষিদ্ধ লোবানে’র মত কোন বই পড়তে পারেন। মুক্তিযুদ্ধের উপর বাজারে ভালো ভাইভা গাইড আছে সেখান থেকেও প্রস্তুতি নিন।

- জেলা তথ্য বাতায়ন থেকে নিজ জেলা,বিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাওয়া উচিত।

- লিখিত পরীক্ষার জন্য সংবিধানের যেসব ধারা পড়েছেন তার সঙ্গে আপনার পছন্দের ক্যাডার সংশ্লিষ্ট ধারা জানতে হবে।পাশাপাশি সংবিধানের প্রস্তাবনা, তফসিল, সর্বশেষ অনুচ্ছেদ ,সবগুলো সংশোধনী সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা রাখুন ।

- বর্তমান সরকারের সাফল্য জেনে নিন।

- আপানি যে সাবজেক্টে অনার্স/মাস্টার্স করেছেন সে সাবজেক্টের বেসিক তো বটেই, সম্ভব হলে খুঁটিনাটি সব বিষয়ে ভালো ধারনা রাখুন।

- জেনারেল/বোথ ক্যাডারের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ বোর্ডেই ইংরেজিতে ভাইভা নেয়া হয় কিংবা কিছু প্রশ্ন অন্তত ইংরেজিতে করা হয়।পররাষ্ট্র যাদের প্রথম পছন্দ তাদের মোটামুটি সবাইকেই ইংরেজিতেই ভাইভা দিতে হবে।আর ফ্লুয়েন্টলি ইংরেজিতে কথা বলার জন্য নিয়মিত প্রাকটিস এর কোন বিকল্প নেই । প্রতিদিন অন্তত আধা ঘন্টা ফ্রেন্ড/রুমমেট/ভাই/বোন বা যে কারো সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলুন।ভাইভাতে যেসব প্রশ্ন আপনি ফেস করতে পারেন সেই সব টপিক নিয়ে কথা বলুন।

ভাইভাতে অবশ্যই ফর্মাল ড্রেস পরে যাবেন। সাজপোশাক নয় বরং আপনার ভালো প্রস্তুতিই আপনাকে একটি আত্মবিশ্বাসী লুক এনে দিবে। মার্জিত পোশাক আপনার রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ, যা শুরুতেই ভাইভা বোর্ডের সামনে আপনার একটি পজেটিভ ইমেজ তৈরি করবে।

- হালকা কালারের পোশাক নির্বাচন করুন।শীত না থাকলে ছেলেদের ব্লেজার পরা জরুরী না এবং টাই পরাও বাধ্যতামূলক নয় । মানে টাই ইচ্ছে না হলে পরবেন না।

- মেয়েরা শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ যে কোনটাই পরতে পারেন ।তবে মেয়েদের শাড়িতে বেশি ফর্মাল এবং সুন্দর লাগে।ব্যক্তিগতভাবে আমি ভাইভাতে মেয়েদের জন্য শাড়িকেই বেটার অপশন মনে করি।অফ হোয়াইট/আকাশি/হালকা যে কোন কালারের নর্মাল সুতি শাড়ি পরতে পারেন।খুব ছোট হাতার ব্লাউজ পরবেন না। শাড়ির সঙ্গে অল্প উচ্চতার হিল জুতা পরুন।তবে যে জুতা নির্বাচন করবেন/কিনবেন আগেই দেখে নিন হাটার সময় শব্দ হয় কিনা।এমন কোন জুতা পরে যাবেননা যা পরলে হাটার সময় শব্দ হয়। ভাইভা বোর্ডে একদমই সাজগোজ করে যাবেন না।একহাতে ঘড়ি এবং অন্য হাতে চিকন চুড়ি বা ব্রেসলেট পরতে পারেন। নেইলপলিশ /লিপিস্টিক/টিপ দিবেন না।হালকা কাজল পরতে পারেন আর লিপ কালারের লিপজেল/লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন।মাইল্ড বডিস্প্রে দিতে পারেন,পারফিউম না দেয়াই ভালো।কিছু ফেসিয়াল টিস্যু আর লিপজেল আপনার সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন,ভাইভা বোর্ডে সিরিয়াল শেষের দিকে থাকলে কাজে লাগবে।তবে টিসুপেপার বা লিপবাম অন্য কোন ক্যান্ডিডেট এর কাছে রেখে যাবেন,অবশ্যই বোর্ডে নিয়ে যাবেন না।

অনেক পড়াশুনা করার পরেও ভাইভা বোর্ডে অনেক বা সবগুলো প্রশ্নই আপনার প্রস্তুতির বাইরে থেকে পেতে পারেন। এতে নার্ভাস হবেন না।আপনার সারা জীবনের অর্জিত জ্ঞান সর্বোপরি কমনসেন্স ও উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগান। ভাইভা দিতে গিয়ে কোন ভাবেই নার্ভাস হবেননা,মনে রাখবেন এই ভাইভা থেকে আপনার অনেক কিছু পাওয়ার থাকতে পারে হারানোর কিছুই নেই।তাই আত্মবিশ্বাসী হয়ে ভাইভা দিন।আর ভাইভা বোর্ডে কমন কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখবেন- -

- ভাইভা দিতে যখন রুমে প্রবেশ করবেন/ বের হবেন খেয়াল রাখবেন দরজা খোলা বা বন্ধ করার সময় যেন শব্দ না হয়।

-দরজা খুলে অনুমতি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করবেন ।তবে বোর্ডের কাছাকাছি দূরত্বে গিয়ে সালাম দিবেন।কারণ দূর থেকে সালাম ছুঁড়ে দেয়া কোন ভদ্রতা না আর বোর্ডের সন্মানিত মেম্বারগণ উচ্চস্বরে দূর হতে আপনার সালামের জবাব হয়তো দিবেন না ।

-আপনি বোর্ডের সামনে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বসতে বললে বসবেন। আর যদি আপনাকে বসতে না বলা হয় অবশ্যই দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করবেন বসতে বলার জন্য।

-বোর্ডের সঙ্গে কোনভাবেই তর্কে জড়াবেন না। প্রয়োজনে অনুমতি নিয়ে নিজের যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করুন কিন্তু কিছুতেই তর্কে যাবেন না।

-কোন বিতর্কিত বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাওয়া হলে অবশ্যই সরকার যেটি চায় আপনি সেটির পক্ষেই আপনার মত দিবেন।কারন আপনি সরকারের অংশ হওয়ার জন্য সকারের প্রতিনিধিদের সামনে কথা বলবেন।

-সরকারের নেতিবাচক কোনকিছু বলবেন না। পজেটিভ ওয়েতে এ ধরণের প্রশ্নের উত্তর দিবেন।আপনি অবশ্যই গ্লাসের অর্ধেক খালি দেখবেননা বরং অর্ধেক ভরা দেখবেন এবং বাকি অর্ধেক ভরার দায়িত্ব নিবেন (!)- এ ভাবেই আপনি দেশের উন্নয়ন বা সরকারের কোন কাজের বিষয়ে আপনার মতামত দেয়ার চেষ্টা করবেন।

-বোর্ডের সামনে ভয় পাবেন না কিন্তু বিনয়ী হবেন। বোর্ডের সন্মানিত মেম্বারগণ বয়সে আপনার পিতৃতুল্য এবং অনেক অভিজ্ঞ। তাই তাঁদের সামনে বিনয়ী হওয়া আপনার কর্তব্য।

সবকিছুর পরেও ভাইভা অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপারও! কিন্তু তবুও মানুষই জয়ী হতে পারে, আমরা পেরেছি ,আপনিও পারবেন।আপনার জন্য শুভ কামনা।

Common Sense of Viva.- ৪১তম বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি

 ৪১তম বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি 

Common Sense of Viva: 

ভাইভার কিছু কমন বিষয় যেগুলো আপনি জানেন। আমি আবার মনে করিয়ে দিচ্ছিঃ 

(i) অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করুন। সালাম দিয়ে, অনুমতি নিয়ে বসুন। 

(ii) স্মাইলিং ফেইস রাখা জরুরী। 

(iii) আই-কন্টাকঃ ভাইভা বোর্ডের সবার সাথে আই-কন্টাক বজায় রাখুন। ভাইভা বোর্ডে ৩/৪ জন থাকেন। একটি প্রশ্ন যিনি করবেন, উত্তরের সময় তাঁকে মূল ফোকাস দিয়ে সবার দিকে অন্তত একবার তাকান। বিসিএস ভাইভাসহ অনেক ভাইভাতেই একজন মনোবিজ্ঞানী থাকেন। উনি কিচ্ছু বলেন না। চুপচাপ বসে থাকেন। ওনাকে অবহেলা করবেন না। অবশ্যই ওনাকেও আই কন্টাকে রাখুন। 

(iv) পোশাকঃ মার্জিত কিন্তু নিজের জন্য কমফোর্টেবল পোশাক পড়ুন। সেটি স্যুট হতে পারে, শার্ট-প্যান্টের সাথে টাই, শাড়ি, সেলোয়ার-কামিজ যে কিছু হতে পারে। যেটা পড়লে আপনি নিজেকে একজন অফিসারসুলভ মনে করবেন, সেটাই পড়ুন। ৩৪-তম বিসিএসের ভাইভার আগে আমাকে এক পরীক্ষার্থী জিজ্ঞেস করল, ভাইয়া কোন টেইলার্স থেকে স্যুট বানাবো। সে ধরেই নিয়েছে, স্যুট তাঁকে পড়তেই হবে। আর টেইলার্সের খবর দিতে আমিই যোগ্য ব্যক্তি। কদিন পড়ে সে আবার খবর দিল, সে বারো হাজার টাকা দিয়ে এক বিখ্যাত টেইলার্স থেকে স্যুট বানিয়ে ফেলেছে। বেশ মজা লাগলো। কিন্তু ওর এপ্রোচটাকে অবশ্যই পজিটিভলি নিলাম। সে যেটা ঠিক মনে করেছে, সেটা করে ফেলেছে। পোশাকের জন্য এটাই সঠিক এপ্রোচ। 

(v) কোনমতেই argue করা বা তর্ক করা যাবে না। Interviewer যদি ভুলও বলে, তবে ভুলটা মেনে নিয়ে বিনয়ের সাথে নিজের টুকু যোগ করা যায়, তাঁর বেশি নয়। 

.

ভাইভার দিন সকালে কি করবেন? 

সকালেই ঐ দিনের ২/৩ টা খবরের কাগজে চোখ বুলিয়ে নিন। ঐ দিনের বাংলা তারিখ জেনে নিন। ঐ দিন কোন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোন দিবস বা বিশেষ ঘটনা ঘটে থাকলে সেটার বিস্তারিত জানতে হবে। ওই সময় কোন বিখ্যাত ব্যক্তি বাংলাদেশে ভ্রমণ করলে বা বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোথাও সফরে গেলে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। 

.

প্রশ্ন কি ইংরেজীতে করবে? 

ভাইভাতে ২/১ টা প্রশ্ন ইংরেজিতে করে। আর যাদের ফরেন ফার্স্ট চয়েস, তাঁদের বেশিরভাগ প্রশ্নই ইংরেজীতে করতে পারে। বিদেশি ভাষায় সবারই সমস্যা থাকে। তাই এই সমস্যা নিয়া ভাবার দরকার নাই, ভাবুন এটা সবারই জন্য কম-বেশী একই। ইংরেজী বলার ভীতিটা যাদের বেশি, তাঁরা দুটি কাজ করতে পারেনঃ 

(i) কমন প্রশ্নগুলার ইংরেজী উত্তর নিজে নিজে বলে সেটি মোবাইলে রেকর্ড করুন। এরপর শুনুন। নিজেই বুঝবেন কিভাবে বললে আরও ভালো হতো। পরের বার রেকর্ডে অবশ্যই উন্নতি হবে। এ্যাঁ, আঁ, উঁ ...এসব বাদ দিয়ে ইংরেজী বাক্য স্মার্টলি শেষ করার জন্য এর চেয়ে ভালো টেকনিক আর নেই। 

(ii) কমন প্রশ্নগুলার ইংরেজী উত্তর প্রেমিক/প্রেমিকা/বন্ধুর কাছে বলতে পারেন। আফসোস, আমার প্রেমিকা সেই সময় কাছে আসলে, তাঁর সাথে কালিদাসও আসত – ‘মেঘদূত’ হাতে নিয়ে। তাই পরীক্ষার আলাপ পাত্তাই পেত না। আপনার তো সেই সমস্যা নেই। 

.

শেষ কথাঃ 

ফর গড সেক, আমি যেভাবে আমার কথাগুলো বললাম, সেভাবে আমার ভাইভার সময় কেউ আমাকে বলে নি। আর সেই সময় ফেইসবুকে পরামর্শ নেবার মত স্মার্ট আমি ছিলাম না। আমি বিসিএসের জন্য কোন কোচিং করি নি। ২/৩ টা কোচিং আমার নাম তাঁদের লিফলেটে ব্যবহার করেছে, কিন্তু তা ডাহা মিথ্যা। এই মিথ্যার জন্য অনেকে মাপ চেয়েছে, কিন্তু লিফলেটে নাম দেয়া বন্ধ করে নাই। যাই হোক, এসবের মানে – ভাইভা প্রিপারেশানে আপনার অবস্থা আমার থেকে ভাল। তো আপনি আজই কনিফিডেন্ট হয়ে যান। আজই আর হরিপদ কেরানী নয়, আকবর বাদশা হয়ে যান। তবে একজন বিনয়ী বাদশা। কনফিডেন্স আর বিনয় দিয়ে জয় করুন ভাইভা বোর্ডকে। শুভকামনা।

..........................

অগ্রজের অগ্রিম অভিনন্দন

// সুজন দেবনাথ (অব্যয় অনিন্দ্য)

BCS Viva অথবা যে কোন Viva তে স্যুট পরবেন না কি পরবেন না??? - বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি নির্দেশনা

 বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি নির্দেশনা 


BCS Viva অথবা যে কোন Viva তে স্যুট পরবেন না কি পরবেন না??? 


এটা খুবই কমন একটা প্রশ্ন। 


উত্তরঃ 

ভাইভাতে একজন পরীক্ষার্থীর বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, ইত্যাদি যেরকম পরখ হয় তেমনি আচার আচরণ, মূল্যবোধ, রুচিবোধ ইত্যাদিও মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। Subjective/Objective Judgement এর সাথে psychological judgement ও থাকে।  


পরীক্ষক আপনার সবকিছু যাচাই করে আপনাকে উনাদের ভাবনার ফ্রেমের মধ্যে রাখবেন এবং দেখবেন আপনি ঐ ফ্রেমের জন্য ফিট কী না? 

ফিট হলে আপনি পাশ করবেন নয়তো ফেল। 


পোশাক-পরিচ্ছদ মানুষের রুচিবোধের পরিচায়ক। তাই চাকরির ভাইভাতে মানানসই পোশাক পরে যাওয়া ভালো রুচিবোধের প্রকাশ।  


পেশাগত চাহিদা এবং শারীরিক/বাহ্যিক অবয়বের সাথে মানানসই পোশাক-পরিচ্ছদ ভাইভা বোর্ডে আপনাকে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখবে


***মনে রাখবেন "আগে দর্শনধারী, পরে গুণ বিচারী***


স্যুট পরা বলতে একই রংএর ব্লেজার ও প্যান্টস পরা কে বুঝায় শুধু ব্লেজারকে স্যুট বলে না। 


যেসব কারণে- BCS viva তে স্যুট পরে যাওয়া উচিত।


১। আপনার পোশাক আপনার রুচিবোধের পরিচায়ক। সিভিল সার্ভিস এর মত একটা গুরুত্বপূর্ণ চাকরির ভাইভাতে আপনার নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করার জন্য প্রত্যেকটা ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিতে হবে। পোশাক পরিচ্ছদও অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। কারণ Non-verbal communication এর জন্য appearance অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ অর্থ বহন করে। ভাইভাতেও non-verbal communication ও মূল্যায়ন করা হয়। 


২। সুন্দর, শালীন, মানানসই পোশাক আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে পারে। একজন স্যুট পরা ব্যক্তি তার appearance নিয়ে আত্মবিশ্বাসী থাকবে এটাই স্বাভাবিক। 


৩। BCS এর ভাইভাতে স্যুট পরার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে গরম লাগবে, এখন গ্রীষ্মকাল, স্যাররা এটা ভাববে/সেটা বলবে  ইত্যাদি বলে স্যুট না পরে যাওয়ার মিথ থেকে দুরে থাকবেন। 

PSC তে যে রুমে আপনি ভাইভা দিবেন সেখানে AC আছে। আর খুব বেশি গরম লাগলে ব্লেজার খুলে হাতে রাখবেন। ভাইভা রুমে প্রবেশ করার আগে পরে নিবেন। 


৪। স্যুট না পরার জন্য আপনি হয়তো ফেল করবেন না তবে স্যুট পরার জন্য আপনি একটু বেশি নম্বর পেলেও পেতে পারেন। ভাইভাতে holistic approach এ মার্কিং হয়। তাই সবদিক বিবেচনা করেই আপনাকে নম্বর দেওয়া হবে। 


৫। ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে ১৫০০-২৫০০ টাকায়ও স্যুট পাওয়া যায়। অথবা কারো কাছ থেকে ধার করে নেন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন সেটি মানানসই হয় (বড়/ছোট না হয়)


৬। স্যুট অবশ্যই dark কালারের হবে (Jet Black, Navy Blue, Blue Black, Dark Ash)। তবে কালো/নীল রং নিরাপদ। 


৭। যে কোন হালকা রং (Light Color)এর শার্ট পরতে পারেন। সাদা/আকাশি নীল নিরাপদ পছন্দ. 


৮। স্যুটের সাথে লং টাই পরতে হবে। টাই হবে “হ্যাপি টাই”। Plain/Stripe/dotted ডিজাইনের dark কালারের টাই পরা উচিত। তবে কালো টাই না পরাই ভালো। কালো রং শোকের প্রতীক। নীল/মেরুন/গাঢ় লাল/গাঢ় বেগুনী ইত্যাদি পরা নিরাপদ। টাই পরার সময় শার্টের কালারের কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। 

পকেট স্কয়ার, Tie Pin ইত্যাদি না রাখলেও চলে। 


স্যুট পরা না পরা একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার তবে মাঝে মাঝে ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলোকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখতে হয়। আর স্যুট পরলে অবশ্যই ভালো করে পরতে হবে। 


With Best Regards

Mahbub 


Md. Mahbubul Islam 

Assistant Commissioner & Executive Magistrate 

Merit-57, 38th BCS Examination

77 questions about any viva preparation - নিচের ৭৭ টি প্রশ্ন ভাইভা বোর্ডে সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞেস করা হয়

ভাইভা বোর্ডে সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞেস করা হয় নিচের ৭৭ টি প্রশ্নঃঃ(সরকারি চাকরি /বেসরকারি চাকরিতে) 


ভাইভা বোর্ডে যাঁরা থাকেন, তাঁরা কিন্তু নানাভাবে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমেই আপনাকে তাঁদের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেবেন। একজন চাকরিপ্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি তাঁর স্মার্টনেস, উপস্থাপন কৌশল, বাচনভঙ্গি এসব বিষয়ও কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভাইভা বোর্ডে ঢুকেই অনেকে নিজের অজান্তে প্রথমেই নিজেকে অযোগ্য প্রমাণ করেন বসেন। নিয়োগদাতারা তেমন কোনো প্রশ্ন না করেই বা সৌজন্যতার খাতিরে দু-একটি প্রশ্ন করেই বিদায় করে দেন। এ রকম পরিস্থিতি এড়াতে ও নিজেকে যোগ্য করে উপস্থাপন করার জন্য  কিছু কৌশল আছে যা আমরা পরবর্তী পোস্টে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করব ; এখন আসি সরকারি এবং বেসরকারি  চাকুরীর ভাইভা তে সাধারণত ফ্রেশার এবং চাকুরীর পূর্ব অভিজ্ঞদের  যেসকল প্রশ্ন করা হয় সে প্রসঙ্গেঃ

ভাইবা বোর্ডে যে প্রশ্নগুলোপ্রায় ই করা হয়-

1. আপনার নাম কি?-

2. আপনার নামের অর্থ কী?-

3. এই নামের একজন বিখ্যাতব্যক্তির নাম বলুন?

4. আপনার জেলার নাম কী?-

5. আপনার জেলাটি বিখ্যাত কেন?-

6. আপনার জেলার একজন বিখ্যাতমুক্তিযোদ্ধার নাম বলুন?-

7. আপনার বয়স কত?-

8. আজ কত তারিখ?

9. আজ বাংলা কত তারিখ?-

10. আজ হিজরি তারিখ কত?-

11. আপনি কি কোনো দৈনিকপত্রিকা পড়েন?-

12. পত্রিকাটির সম্পাদকের নামকি?

13. আপনার নিজের সম্পর্কে সমালোচনা করুণ।

14. আপনার জেলার নাম কি? জেলা সম্পর্কে ১ মিনিট বলুন।

15. আপনার জেলার বিখ্যাত কিছু মানুষের নাম বলুন এবং তারা কিকারনে বিখ্যাত তা আলোচনা করুণ।

16. আপনার বয়স, জন্ম তারিখ কত?

17. আপনি কি কোন দৈনিকপত্রিকা পড়েন? পড়লে সম্পাদকের নাম কি?

18. বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যা জানেন তা বলেন?

19. আপনার পরিবার সম্পর্কে বলুন।

20. আমরা আপনাকে কেন চাকুরিটা দিব?

21. বিয়ে করেছেন? কেন করেছেন/করেননি? বিবাহ সম্পর্কে আপনার চিন্তাভাবনা কি?

22. আরো পড়াশুনা করার ইচ্ছা আছে কি? কেন নেই ইচ্ছা?

23. এর আগে কোথায় জব করেছেন? সেখানে কি ধরনের কাজ করেছেন?সে জবটি কেন ছেড়ে দিতে হলো?

24. আপনার নিজের সম্পর্কে (ইংরেজিতে/বাংলাতে) বলুন?

25. আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে বলুন?

26. আপনার নিজের  Strength / Weakness (SWOT: S-Strength ,W-Weakness, O-Opportunity, T-Threat) কি কি বলে মনে করেন?

27. একটি শব্দে/তিনটি শব্দে আপনি নিজেকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

28. যে পদের জন্য আবেদন করেছেন তাঁকে অন্যগুলোর সঙ্গে কিভাবে তুলনা করবেন?

29. আপনার তিনটি গুন ও দুর্বলতার কথা কি বলতে পারেন?

30. বর্তমান চাকুরীটি কেন ছেড়ে দিতে চান ?

31. ক্যারিয়ারের কোন বিষয়টি নিয়ে আপনি গর্ব করবেন?

32. কোন ধরনের বস ও সহকর্মীদের সাথে কাজ করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সফল হয়েছেন? কেন?

33. একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে চিন্তা করেছিলেন?

34. যেকোনো ১ টি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর সুযোগ পেলে আপনি কোথায় চাকুরী করতেন?

35. আগামীকাল কোটি টাকা হাতে পেয়ে গেলে আপনি কি করবেন?

36. আপনার বস অথবা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দ্বারা কি কখনো সততা বিসর্জনের প্রস্তাব পেয়েছেন?

37. আপনার সঙ্গে কাজ করতে না চাওয়ার ১ টি কারণ বলতে পারেন?

38. এতদিন কাজ থেকে দূরে ছিলেন কেন?

39. এই ইন্টার্ভিউয়ের জন্য কিভাবে সময় পেলেন?

40. একটি সমস্যার কথা বলুন যার সমাধান আপনি নিজে করেছেন?

41. আপনি নেতৃত্ব দিয়েছেন বা দলগতভাবে কাজ করেছেন এমন একটি অবস্থার বর্ণনা দিন?

42. আগামী ৫-১০ বছরে নিজেকে কোথায় দেখতে চান

43. আপনাকে আমাদের কেন নিয়োগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন?

44. আমাদের কোম্পানিতেই কেন কাজ করতে চান?

45. হার্ড ওয়ার্ক এবং স্মার্ট ওয়ার্ক বলতে কি বুঝেন?

46. চাপের মধ্যে কাজ করা (Work under Pressure) বলতে কি বুঝেন?

47. ভ্রমন করাকে কিভাবে দেখছেন? প্রয়োজনে ভ্রমন বা ট্রান্সফার হওয়াকে কিভাবে গ্রহন করবেন?

48. আপনার জীবনের লক্ষ্য কি?

49. কি আপনাকে রাগিয়ে তোলে?

50. কি আপনাকে প্রেরণা (Motivation) যোগায়?

51. আপনার জীবনের করা কিছু ক্রিয়েটিভ কাজের উদাহরণ দিন?

52. আপনি কি একা কাজ করতে পছন্দ করেন নাকি দলকে সাথে নিয়ে কাজ করা কে বেশি গুরুত্ব দেন?

53. আপনার করা কিছু দলগত কাজের উদাহরণ দিন?

54. লিডার হিসেবে নিজেকে আপনি ১ থেকে ১০ এর মাঝে কত দিবেন?

55. রিস্ক নিতে কি পছন্দ করেন?

56. আপনার পছন্দের কিছু চাকরি, অফিস লোকেশান এবং কোম্পানির উদাহরণ দিন? ৩২। আমাদের কোম্পানি সম্পর্কে কিছু বলুন?

57. আজ থেকে দশ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান নিজেকে?

58. আপনার আগের কোম্পানি থেকে কেনো চাকরি ছেড়ে দিতে (Resign) দিতে চাচ্ছেন?

59. কাজ থেকে কেন অনেক দিন বাহিরে ছিলেন?

60. অনেক গুলি কোম্পানি কেনো পরপর পরিবর্তন করেছেন?

61. আপনার করা সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজ কি ছিলো?

62. সবচেয়ে কঠিন যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছিলেন তা কি ছিলো?

63. আপনাকে যদি আমরা নিয়োগ দেই কি কি পরিবর্তন আপনি আনতে পারবেন বলে মনে করছেন?

64. আপনার কি মনে হয় যে আপনি আপনার আগের কাজে আপনার সর্বোচ্চটা দিয়েছিলেন?

65. আপনার চেয়ে বয়সে ছোট কাউকে রিপোর্ট করাকে কিভাবে দেখবেন আপনি? ৪২। আপনি কি আপনাকে সফল মনে করেন?

66. আপনার জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য বিগত বছরে কি কি করেছেন?

67. আর কোথায় কোথায় চাকরির জন্য আবেদন করেছেন?

68. আমাদের কোম্পানির কারো সাথে কি পরিচয় আছে?

69. আপনাকে যদি নিয়োগ দেওয়া হয় কত দিন আমাদের সাথে কাজ করার ইচ্ছে আছে?

70. আপনি কি কাউকে কখনো চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন? কেন করেছিলেন, কি পন্থা অবলম্বন করে করেছিলেন? তখন আপনার প্রতিক্রিয়া কি ছিলো?

71. ব্যখ্যা করুন আপনি কিভাবে আমাদের জন্য মূল্যবান সম্পদ হবেন?

72. আপনার দেওয়া কোন সাজেশন ম্যানেজমেন্ট গ্রহন করেছে এমন একটি উদাহরণ দিন?

73. আপনার কলিগদের আপনার সম্পর্কে কি মন্তব্য?

74. নতুন টেকনোলজিকে কিভাবে গ্রহন করছেন আপনি? কি কি সফটওয়্যার এর সাথে আপনি পরিচিত?

75. আপনার শখ কি বা কি করতে ভালো লাগে?

76. আপনার নিজের সময় জ্ঞান সম্পর্কে বলুন?

77. আপনি কেমন বেতন আশা করছেন বা আপনার সেলারি এক্সপেকটেশন কি?

ইন্টারভিউয়ের শেষে সাধারণত জানতে চাওয়া হয়, 'আপনার কি কিছু জানার আছে?'

প্রশ্ন তো জানা হলো। এবার উত্তরের পালা। এসকল প্রশ্নের পিছনের রহস্য কি, কেনো আপনাকে এ ধরনের প্রশ্ন করা হয় আর কি হতে পারে এর সম্ভাব্য উত্তর? এজন্য আমাদের সাথেই থাকুন ।

কর্পোরেট সেক্টর ইন্টারভিউঃ ফেইল করার একটা ঘটনা শেয়ার করি।

কর্পোরেট সেক্টর ইন্টারভিউঃ
ফেইল করার একটা ঘটনা শেয়ার করি। 
.
সৈয়দ আবিদ হাসান
প্রশাসন ক্যাডার (৩৬ তম বিসিএস)
.
বেশ অপ্রত্যাশিতভাবেই ব্যাংক এশিয়াতে ভাইভা কল পেয়েছিলাম গত বছর। তখনও আমার মাস্টার্স শেষ হয়নি। তো, বেশ এক্সাইটেড হয়ে প্রিলিমিনারি ভাইভাতে অংশ নিলাম এবং প্রথম ধাপ উত্তীর্ণ হলাম। এরপরে ছিল এমডি ভাইভা; মানে আসল পরীক্ষা। যেদিন ভাইভা তার জাস্ট এক দিন আগে মেসেজ পেলাম। বাবা আর মা তখন কলকাতায়। বাবার চোখের অপারেশন ছিল সেদিন। ভাইভা বিকাল চারটায়। আমি বাসায় একদম একা। কোন মতে প্রস্তুতি নিয়ে বের হলাম। ভাইভা দিতে গিয়ে জানলাম আমার মেরিট পজিশন ১৪, আর MTO নেয়া হবে ৩০ জনের মতো; মানে সম্ভাবনা অনেক বেশি! এটা জেনে টেনশনটা আরও বেড়ে গেলো! কিন্তু, আশেপাশে সবাইকে দেখে কিছুটা হতাশ হলাম। প্রত্যেকে কালো বা ডার্ক নেভি ব্লু ক্লালারের ব্লেজার পরেছে। তিনজন মেয়ে ছিল; তাদের দুই জন শাড়ি পরেছে। তারা যেভাবে কথা বলছিল তাতে তাদের প্রিপারেশনের ধার বেশ বুঝতে পারছিলাম। আমরা যখন ভাইভার জন্য অপেক্ষা করছি তখন HR হেড স্যার আসলেন। কিছু ইন্সট্রাকসন দিলেন; যেমন কেউ যেন ফাইল বা ব্যাগ হাতে নিয়ে ভাইভা রুমে না ঢোকে; ফোনটা যেন সাইল্যান্ট থাকে ইত্যাদী। এরপর উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "আপনি ব্লেজার পরেননি কেন?" আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম! গরমকালে ব্লেজার পরাটা এতো জরুরী এটাতো আমি ভাবিনি! আমতা আমতা করে বললাম, "স্যার, আমার ব্লেজার নেই" ; স্যার ধমকে বললেন, "নাই তো ম্যানেজ করতে পারলেন না?" আমি বললাম, "স্যার স্যরি, আমি ম্যানেজ করতে পারিনি।" স্যার খুব কঠিনভাবে বললেন, "It will not give you a good impression" বলেই চলে গেলেন। আমি উপস্থিত ক্যান্ডিডেটদের কাছে ধার চাইলাম। কেউ রাজী না। তবে, একজন রাজী হলেন। সুদীপ কর্মকার দাদার কথা আমার সারাজীবন মনে থাকবে। উনার সিরিয়াল ছিল ১৬। উনি রাজী হলেন উনারটা দিতে। ঠিক হলো আমি উনার ব্লেজার পরে ১৪ নম্বর পজিশনে ভাইভা দিয়ে আসবো। ১৫ নম্বর যখন ঢুকবে তখন আমি উনাকে ব্লেজার দিয়ে দেবো। বেচারা অতি শুকনা মানুষ। তার ব্লেজার আমার টাইট হচ্ছে খুব। কি আর করা। তো, ভাইভা বোর্ডে ঢুকলাম। আমাকে প্রথমেই ডিএমডি স্যার বললেন, "তোমার টাই এর নট ঠিক নেই; তুমি খেয়াল করো নাই এইটা?" আমি বললাম, "Sorry sir, I am not much habituatted with this attire." ভাইভা বোর্ডে ঢোকার আগে একবার ওয়াশরুমে গিয়ে টাই এর নট ঠিক করে আসা উচিৎ ছিল; মারাত্মক ভুল করেছি! এদিকে ব্লেজারটাও যে একেবারে ফিট করেনি সেটা বুঝাই যাচ্ছে। নার্ভাস ছিলাম সব মিলিয়ে। জানা প্রশ্নগুলোও পারলাম না উত্তর দিতে। ভাইভা বোর্ডেই বুঝতে পারলাম যে, আমি নিশ্চিত ফেইল করছি। ইনফ্যাক্ট, প্রশ্নের উত্তর পারলেও লাভ হতো না এই যাচ্ছেতাই গেট আপের কারণে।
সেদিন বাসায় এসে আমার মনের অবস্থা কেমন ছিল সেটা ভাষায় বর্ণনা করার মতো শব্দ আমার ভাণ্ডারে নাই। বাসায় একা ছিলাম। রাতে খাইনি কিছু আর। কাপড়টা চেঞ্জ করতেও ইচ্ছে করছিল না। ঝিম মেরে বসে শুধু ভাবছিলাম, "ব্লেজার পড়তে হবে এটা জানি না; টাই এর নট পারি না... আমি কি সত্যিই এতো ক্ষ্যাত? এই অবস্থা নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখি কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে ক্যারিয়ার গড়ার?" তবে এরপর, যা যা প্রস্তুতি নেয়া দরকার নিয়েছি। টাই এর নট শিখলাম ইউটিউব দেখে। তাও কনফিডেন্স পাই না। তাই এক এক্সপার্ট ফ্রেন্ডকে দিয়ে দুইটা টাই ঠিকঠাক নট দিয়ে রেখেছি। নিউমার্কেটে গিয়ে কম দামে ব্লেজার কিনে নিলাম। দুই তিন মাস পরে একটা ভাইভা দেয়ার জন্য বেশি দামী ব্লেজারতো দরকার নেই। শার্ট, প্যান্ট সবই বানিয়ে রাখলাম। এক সেট থাকলেইতো হলো। আর এর সাথে শুরু করলাম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের চোখ রাখা। কোথাও কেউ কোন ভাইভা এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করলেই সেটা পড়ে ফেলতাম। রিটেনে ফেইল করলে আলাদা হিসাব কিন্তু ভাইভাতে আর বাদ পড়া যাবে না।
এরপরে অবশ্য আর ফেইল করিনি। আমার মনে হতো পারলে রিটেন এক্সামও ব্লেজার পরে দিয়ে আছি  যাইহোক, ভাইভা বোর্ডের এটিকেটের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হচ্ছে Introduce Yourself ঠিকঠাক উত্তর দেয়া। এক্ষেত্রে নিজের প্লাস পয়েন্টগুলোকে তুলে ধরাটা ইম্পর্ট্যান্ট। সিভিতে যা বলাই আছে, (বাবার নাম, মার নাম, ভার্সিটি, সিজিপিএ, সাবজেক্ট, পাসের সাল ইত্যাদি) তা এখানে আবার বলার দরকার নেই। বরং নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে নিজের Ambition, Extra curricular Achtivities গুলোকে জানিয়ে দেয়ার সুযোগটা নেয়া উচিৎ। আমি এই ক্ষেত্রে বলতাম যে, "To enhance my skills, I involved myself in various extra curricular achtivities like performing in cultural programs, debating, participating in social welfare programs etc." যাইহোক, গুগোল সার্চ করলে বিস্তারিত আইডিয়া পাওয়া যাবে। আমি শুধু পোশাকের ব্যপারটা নিয়ে বলেই আজকের মতো শেষ করছি (যেহেতু পোশাকের কারনে রামধরা খেয়েছিলাম, তাই এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছি)
১। ছেলেরা ক্লিন শেভ করলে ভাল। যদি দাড়ি রাখতে চান তাহলে অন্তত ট্রিম করে যাবেন। তবে, কিছু কিছু বোর্ড দাড়ি মোটেই পছন্দ করে না। তাই ক্লিন শেভ করে যাওয়া বেটার। আর ধর্মীয় কারণে দাড়ি রাখলে সম্পূর্ণ আলাদা ইস্যু। ব্যাংকে হয়তো প্রশ্ন করতে পারে যে, আপনি তাহলে ব্যাংকে কেন আসবেন? এক্ষেত্রে যথাযথ উত্তর তৈরি রাখবেন। আর সেধরনের ইস্যু না থাকলে ক্লিন শেভ সব দিক থেকে সেফ।
২। সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট হচ্ছে বেস্ট অপশন। সাদা শার্টে চেক থাকতে পারে তবে সেটা Vertical Stripe, দাবার কোটের মতো বক্স না এবং Horizontal stripe না। এবং চেকটাও যেন খুব সরু চেক হয়। নিজের কমোন সেন্স ইউজ করে দেখবেন যে কোনটায় বেশি ফর্মাল লাগে। আর শার্টের কালারের ক্ষেত্রে হালক কালার সিলেক্ট করবেন। সাদা, আকাশী নীল, ছাই রঙ এর বাইরে না যাওয়াই ভাল। গোলাপী ধরণের রঙ আপনার পছন্দ হলেও বোর্ড পছন্দ না করতে পারে। কিন্তু, যে কয়েকটা রঙ বললাম এগুলো সব বিতর্কের বাইরে।
৩। টাই এর কালারটা দুই রঙ্গা হলে ভাল, এক রঙ্গাও ভালো তবে তিন রঙ্গা না হওয়া বেটার। আর প্যান্টের কালারের সাথে ম্যাচিং থাকলে ভাল। ধরুন আপনার প্যান্ট কালো রঙ্গের, সেক্ষেত্রে টাই হতে পারে মেরুন ও কালো রঙ্গের। মনে রাখবেন হালকা কালারের শার্টের সাথে ডার্ক কালারের টাই, ব্লেজার ও প্যান্ট হচ্ছে পারফেক্ট।
৪। কর্পোরেট লেভেলে ভাইভা দিতে গেলে ব্লেজার কতোটা জরুরী সেটা আশা করি আমার এই ফেইল করার ঘটনা থেকে বুঝতে পেরেছেন। অনেকে অ্যাশ কালারের ব্লেজার পরে যান। তবে, ব্যাংক এশিয়ার মতো কিছু প্রতিষ্ঠান কালো রঙ্গের বাইরে কিছুই পছন্দ করে না। কাজেই, নিরাপদ হচ্ছে কালো রঙ্গের ব্লেজার।
৫। শু পড়বেন অবশ্যই এবং পরিষ্কার রাখবেন। মধুমতি ব্যাংকে ভাইভা দিতে গিয়ে রাস্তায় আমার জুতা কাদায় মাখামাখি অবস্থা। দোকানে গিয়ে এক প্যাকেট টিস্যু কিনে ব্যাংকে ঢুকেই আগে ওয়াশরুমে গেলাম। তারপর ১৫ মিনিট ধরে শুধু জুতাই পরিষ্কার করেছি। ওই অবস্থায় ভাইভা বোর্ডে ঢুকলে হয়তো ঢোকা মাত্রই বের করে দিতো!
৬। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু হচ্ছে ব্লেজারের বোতাম লাগানো। চেষ্টা করবেন Two Button ব্লেজার পরতে। নিয়মটা হচ্ছে যখন আপনি দাঁড়িয়ে তখন দুইটা বাটন লাগানো থাকবে আর যখন বসবেন তখন নীচের বাটোন খোলা থাকবে। তো, এসব ঝামেলা না করে শুধু উপরেরটা লাগিয়ে আর নীচেরটা খোলা রেখে ঢুকে পরাই সহজ আমার মতে। আমি তাই করেছি।
৭। ব্যক্তিগত জীবনে আপনি যত স্টাইলিস্টই হন না কেন, ভাইভার আগে চুলটা ছোট না রাখলে সমস্যা।
এতো গেলো ছেলের ব্যাপার। মূলত এই ফর্মাল ড্রেসের যন্ত্রণা ছেলেদেরই বেশি। মেয়েদের ড্রেস-আপের ব্যপারে আমার ধারণা স্বাভাবিকভাবেই কম; তবে যতটুকু শুনেছি, মেয়েদের ক্ষেত্রে শাড়ী পরলে খুব ভাল হয়। না পড়লেও ক্ষতি নেই। তবে, শুনলাম ব্যাংক এশিয়ার ডিএমডি স্যার আমাদের এক ফ্রেন্ডকে সরাসরি বলেছিলেন জামদানি শাড়ি পরে আসতে। যাইহোক, ডিসেন্ট ড্রেস আপ করে যাওয়ার ব্যপারে বেশি পরামর্শ দেয়ার কিছু নেই। এই ব্যপারে মেয়েরা যথেষ্ট জ্ঞান রাখে বলেই মনে করি। তারপরও ব্যাংকে চাকরী করছে, এমন কোন আপু থাকলে তার কাছে হেল্প নিতে পারেন।
খারাপ অভিজ্ঞতা দিয়ে লেখাটা শুরু করেছিলাম। শেষ করছি ভাল অভিজ্ঞতা দিয়ে। ব্যাংক এশিয়ার সেই ঘটনার পর ভাইভার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম ধুমায়ে। অন্য সব পড়া ফেলে ভাইভার প্রস্তুতি নিতাম। ফলাফলও পেয়েছি। মধুমতিতে ভাইভা পারফর্ম্যান্সের বিচারে আমাকে দেয়া হয়েছিল হেড অফিসের কর্পোরেট ডিপার্টমেন্টে। আমার ডিপার্টমেন্টের হেড জানিয়েছিলেন যে ভাইভাতে টপ তিন জনের মধ্যে আমি একজন, তাই আমাকে এই ডিপার্টমেন্টে দেয়া হয়েছে! যদিও জবটা ছেড়েছি নানা কারণে। ওয়ান ব্যাংকে অবশ্য অন্য হিসাব। এখানে প্রথম বছরে কাউকেই হেড অফিসে দেয়া হয় না। তবে, জানতে পেরেছি যে এখানে ভাইভা পারফর্ম্যান্সে টপারদের মধ্যেই আছি; এক্স্যাক্ট পজিশনটা জানতে পারিনি অবশ্য। তবে যেটাই হোক, আত্মবিশ্বাসটা অবশেষে ফিরে আসলো। কিছু কিছু ফেইলিয়র হয়তো অনেক সফলতার দরজা খুলে দেয়। আর একটা মজার ব্যপার বলি। মানুষকে সাহায্য করলে ঈশ্বর হাতেনাতে পুরষ্কার না দিলেও একটা সময় ঠিকই দেন। বলেছিলাম না, ব্যাংকে এশিয়াতে সুদীপ কর্মকার দাদা উনার ব্লেজারটা আমাকে দিয়েছিলেন? ঐ রিক্রুইটমেন্টে আমার আর সুদীপ দাদার কারোরই জব হয়নি। কিন্তু, ঘটনাচক্রে আমরা দুইজনই এখন ওয়ান ব্যাংকে স্পেশাল ক্যাডার অফিসার (MTO)!
আজ এ পর্যন্তই। ভাল থাকুন সবাই।
.
#Courtesy 
অমিত বাগচী (দাদা)
-স্পেশাল ক্যাডার অফিসার, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড

37th BCS Viva Experience

37th BCS Viva Experience
প্রার্থীঃ তরিকুল ইসলাম
০৯.০১.২০১৮, সময়ঃ ১৬-১৮ মিনিট
বোর্ডঃ কামাল উদ্দিন আহমেদ
কামাল স্যারঃ আসুন।
আমিঃ আসসালামু আলাইকুম স্যার।
- ওয়ালাইকুম সালাম। বসেন। জব করেন দেখছি...
-লেকচারার, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নোয়াখালী।
-ক্যাডার না নন-ক্যাডার?
- নন-ক্যাডার।
- প্রথম চয়েস কি?
- বিসিএস প্রশাসন।
- দ্বিতীয় চয়েস?
- বিসিএস পুলিশ।
- You are already in a Govt. job. Why BCS admin is your choice?
- Because my mother wants that I'll be a BCS Cadre.
- শুধু মায়ের ইচ্ছে! আপনার ইচ্ছে নেই?
- জ্বি স্যার, আমার মায়ের ইচ্ছা আছে বলেই আমার ইচ্ছা আছে।
- আপনার ইচ্ছা কেন? Why do you want?
- I want to be a BCS Cadre (Admin), because it is a dynamic cadre. In this job, I will work with public affairs to implement govt. policies and thus develop our country from root level.
কামাল স্যার ফার্স্ট এক্সটারনালকে প্রশ্ন করতে বললেন। ম্যাডাম প্রশ্ন শুরু করলেনঃ
- ধরুন আপনি প্রশাসন ক্যাডারে ইউ.এন.ও. হিসেবে এমন একটা এলাকায় নিয়োগ পেলেন, যেখানে প্রতিবছর বন্যা হয়। এক্ষেত্রে কি ভূমিকা পালন করবেন?
- আমি প্রথমে কিছু বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করবো, যার কাজ হবে বন্যার কারন খুঁজে বের করা। তারপর সেই বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ মোতাবেক বন্যা নিয়ন্ত্রণ করব। যেমনঃ বাঁধ দিয়ে কিংবা নদী-খাল খননের মাধ্যমে পানি ধারন ক্ষমতা ও পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করে বন্যা প্রতিরোধ করব।
- বাঁধ দিতে গেলে স্থানীয় মানুষের কিছু ক্ষতি হবে। তারা যদি এটার বিরোধিতা করে?
- এক্ষেত্রে দুটি কাজ করতে হবে। প্রথমত, তাদেরকে বোঝাবো যে এই বাঁধ জনস্বার্থে হচ্ছে এবং তারাই দীর্ঘমেয়াদে এর সুফল ভোগ করবে। দ্বিতীয়ত, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এমনভাবে করব যেন তারা প্রতিদানে সন্তুষ্ট হয়।
- গুড। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অর্গান কয়টি? কি কি?
- তিনটি। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও শাসন বিভাগ।
- ইদানীং আরেকটা অর্গানের কথা বলা হয়, চতুর্থ অর্গান। সেটি কি।
- স্যরি, জানা নেই।
- সংবিধান পড়েছেন?
- জ্বি ম্যাডাম, পড়েছি।
- আমাদের সংবিধানের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা পৃথিবীর আর কোন সংবিধানে নেই। এরকম একটা বৈশিষ্ট্য বলেন।
- দুঃখিত, জানা নেই।
- Politics কার লিখা?
- সম্ভবত প্লেটো।
- প্লেটো! আর Republic?
- স্যরি ম্যাডাম। Republic প্লেটোর লেখা, আর Politics এরিস্টটলের।
- এরিস্টটলের নামের সাথে আরেকজন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম জড়িয়ে আছে। সক্রেটিস প্লেটো ছাড়া আরও একজন। কে সে?
- আলেকজান্ডার।
- আলেকজান্ডারের সাথে এরিস্টটলের সম্পর্ক কি?
- তিনি এরিস্টটলের ছাত্র ছিলেন।
- ডিওনুয়াস (যতদূর মনে পরে নামটা এরকমই) কে বা কি ছিল?
- জানা নেই।
- এটা এরিস্টটলের ঘোড়ার নাম। আচ্ছা বলেন দেখি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে আরেকটা বিশ্বযুদ্ধ হয়- প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। সেসময় কোন কোন সাম্রাজ্যের পতন হয়?
- রুশ বিপ্লবের ফলে জার সাম্রাজ্যের পতন হয় এবং সোভিয়েট ইউনিয়ন গঠিত হয়।
- আরো দুইটা আছে। মোট তিনটা সাম্রাজ্যের পতন হয়।
- রুশ বিপ্লবের পরে তুরষ্কে অটোমান সাম্রাজ্যের খেলাফতের পতন হয়।
- ইউরোপেই আরেকটা আছে, বড় আরও একটি সাম্রাজ্যের পতন হয়েছিলো।
- আরেকটা পারছি না ম্যাডাম।
- Ok.. দুইটা তো পেরেছেন, এটাই বা কম কি! মধ্যযুগকে সব জায়গায় অন্ধকার যুগ বলে কেন?
- কারন সেসময় মানুষ শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে অনেক পিছিয়ে পড়েছিল। রাজারা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তো ঘন ঘন। সাম্রাজ্যবাদ, দাস প্রথা, ঔপনিবেশিকতা ইত্যাদি...
- মোটামুটি সবগুলো পয়েন্ট বলেছেন, তবে একটা মেজর পয়েন্ট বাদ পরে গেছে। সেটা হল রিলিজিয়ন।
ম্যাডাম সেকেন্ড এক্সটারনালের দিকে তাকালেন। সেকেন্ড এক্সটারনাল স্যার প্রশ্ন শুরু করলেনঃ
- প্রথম পছন্দ কি- প্রশাসন? আচ্ছা প্রশাসনের ধাপগুলো বলতে পারবেন? উপর দিক থেকে বলেন।
- প্রথমে মন্ত্রনালয়, তারপর সচিবালয়..
- সচিবালয় আর মন্ত্রণালয় কি? এগুলো কোথায় থাকে?
- সচিবালয় হলো মন্ত্রনালয়ের সমষ্টি...
- আচ্ছা সর্বশেষ ধাপ কি?
- ইউনিয়ন পরিষদ।
- ইউনিয়ন পরিষদ। এটা তো স্থানীয় সরকার।
- স্যার লোকাল গভর্নমেন্টে ইউনিয়ন পরিষদ, আর সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টে শাখা বা সেকশন।
- নাহ, হলো না। আচ্ছা একটা সহজ প্রশ্ন করি, দশটাকা আপনার আর আমার মাঝে ভাগ করে দেবেন, আপনি এক টাকা বেশি নিবেন। দ্রুত ভাগ করেন দেখি।
- স্যার, আমি ৫ টাকা ৫০ পয়সা নেব, আর আপনাকে ৪ টাকা ৫০ পয়সা দেব।
- গুড। এটাতো পারছেন। ডেপুটি কমিশনারের তিনটি ভিন্ন ভিন্ন নাম আছে। নাম গুলো কি কি?
- ডেপুটি কমিশনার, ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর, চীফ ম্যাজিস্ট্রেট।
- গান শোনেন?
- জ্বি স্যার।
- কার কার গান বেশি শোনেন।
- স্যার রবীন্দ্র এবং নজরুল সংগীত বেশি শোনা হয়।
- কেন মমতাজের গান শোনেন না? আমাদের মেম্বার অব পার্লামেন্ট মমতাজ.. উনার গান ভালো লাগে না?
- স্যার, উনার গান সেভাবে শোনা হয় নি।
- আব্দুল করিমের নাম শুনেছেন?
- জ্বি, শাহ আব্দুল করিম, বাউলসম্রাট।
- উনার একটা গানের কয়েক লাইন বলেন।
- গাড়ি চলে না, চলে না, চলে না রে.. চলিয়্যা মানব গাড়ি, যাইতেছিলাম বন্ধুর বাড়ি, মধ্য পথে ঠেকলো গাড়ি...
- কবিতা পড়েন?
- জ্বি স্যার, কবিতা পড়তে খুব পছন্দ করি।
- যে কোন একটা কবিতার প্রথম চার লাইন বলেন।
- নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর...
আজি এ প্রভাতে রবির কর/ কেমনে পশিল প্রাণের পর/ কেমনে পশিল গুহার আধারে /প্রভাত পাখির গান/ না জানি কেন রে /এত দিন পরে/ জাগিয়া উঠিল প্রাণ।
এক্সটারনাল স্যার কামাল স্যারের দিকে ফিরলেন। উনার প্রশ্ন করা শেষ। কামাল স্যার থুতনিতে ইশারা করে বললেনঃ
- মুখে এটা কি- এটা কে কি দাড়ি বলা যায়? এর ইংরেজি আর আরবি পরিভাষা কি কি?
- জ্বি স্যার, এটা দাড়ি। ইংরেজিতে এর নাম Beard. আরবি জানা নেই স্যার।
- এই দাড়ি রাখা সম্পর্কে কোরআনে এবং হাদীসে কি বলা আছে। হুবহু বলতে হবে। বানিয়ে বলা যাবে না।
- স্যার, আমার জানা মতে দাড়ি চার আঙুল রাখার কথা হাদীসে বলা আছে, কিন্তু একচ্যুয়াল উক্তিটি এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।
- পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন?
- চেষ্টা করি।
- আপনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার, আপনার সাবজেক্ট থেকেই প্রশ্ন করি- Say something about the history and development of Japanese Textiles.
- sorry sir, i don't know.
- Ok, say about the textile of mughal period.
- During Mughal period, this subcontinent was popular for textiles specially Moslin and Jamdani. These Moslin and Jamdani cloth was exported also in the european countries. British Queen Victoria was fan of Moslin cloth..
- কোন মুঘল সম্রাটের আমলে মসলিনের ব্যপক প্রসার হয়? তার স্ত্রী কন্যা এই কাপড়ের ভক্ত ছিল।
- সম্ভবত সম্রাট জাহাঙ্গীর।
- রিটেন এক্সাম কেমন হয়েছিল?
- জ্বি স্যার, খুব ভালো হয়েছিল।
- আচ্ছা এবার আসুন।
- ধন্যবাদ স্যার।
==================