Showing posts with label Independent War of 1971. Show all posts
Showing posts with label Independent War of 1971. Show all posts

Magna carta of Banglafesh - ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ (বাংলার ম্যাগনাকার্টা/বাংলার মুক্তির সনদ)

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ (বাংলার ম্যাগনাকার্টা/বাংলার মুক্তির সনদ)

---------------------------------------------

★ তারিখ: ৭ই মার্চ ১৯৭১ সাল(রবিবার)।

★ শুরুর :বিকেল ৩টা ২০মিনিট।

★ স্থান : তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান, ঢাকা।

★ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ভিডিও রেকর্ড ওকরেন,

" অাবুল খায়ের" ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পাকিস্তান

ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম কর্পোরেশন। তিনি এ ভাষণটি

রেকর্ড করার জন্য ২০১৪ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা

দিবস পদক লাভ করেন।

★ ৭ মার্চের ভাষণের সাউন্ড রেকর্ডকারী-

এ এইচ খন্দকার।

★ ভাষণের স্থায়িত্ব : ১৯ মিনিট/১৮ মিনিট।

★মোট শব্দ : ১১০৮টি

★ ভাষণটি অনূদিত হয়েছে :১২ টি ভাষায়।

★ রেসকোর্সে উপস্থিত ছিল: প্রায় ১০ লাখ মানুষ।

★ মাইকের নাম-"কল রেডি"।

★ ভাষণে উপস্থাপন করা হয় : ৪ দফা দাবি।

★ দাবি ৪ টি হলো:

১. সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে হবে।

২. সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে।

৩. এই গণহত্যার তদন্ত করতে হবে।

৪. নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নিকট ক্ষমতা

হস্তান্তর করতে হবে

★ মূল বক্তব্য: "এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম,

এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার

সংগ্রাম"।

★উল্লেখযোগ্য অংশ : "রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও

দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো

ইনশাল্লাহ"।

★এই সময় ৩ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলন

চলছিলো।

★ ভাষণের প্রেক্ষাপট :১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী এই দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিলম্ব করতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ৩রা মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন আহ্বান করেন। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে ১লা মার্চ এই অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি ঘোষণা করেন। এই সংবাদে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ২রা মার্চ ঢাকায় এবং ৩রা মার্চ সারাদেশে একযোগে হরতাল পালিত হয়। তিনি ৩রা মার্চ পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় সমগ্র পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই পটভূমিতেই ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বিপুল সংখ্যক লোক একত্রিত হয়; পুরো ময়দান পরিণত হয় এক জনসমুদ্রে। এই জনতা এবং সার্বিকভাবে সমগ্র জাতির উদ্দেশ্যে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রদান করেন।

★ ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর UNESCO এই ভাষণকে

Memory of the World Register এর অন্তর্ভুক্ত

করে।

- ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক পরামর্শক কমিটি (IAC)

১৩০টি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল, নথি ও

বক্তৃতার মধ্যে ৭৮টি বিষয়কে নির্বাচিত করে, এর

মধ্যে ৭ মার্চ ভাষণের অবস্থান ৪৮তম

- ফ্রান্সের প্যারিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী

প্রতিনিধি মোঃ শহিদুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ

জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বাংলাদেশের পক্ষ

থেকে ৭ মার্চ ভাষণের স্বীকৃতির জন্য ১২ পৃষ্ঠার

একটি আবেদন পত্র প্রেরণ করেন।

- স্বীকৃতির স্বপক্ষে ১০টি প্রয়োজনীয় তথ্য, নথি ও

প্রমাণপত্র জমা দেয়া হয়।

★ প্যারিসে ইউনেস্কো কার্যালয়ে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা

দেন মহাপরিচালক ইরিনা বেকোভা।

★ ব্রিটিশ ঐতিহাসিক জ্যাকব এফ ফিল্ডের ভাষণ

সংকলন "The Speech the Inspired History"

এ বিশ্বের সেরা ৪১টি ভাষণের মধ্য স্থান পেয়েছে ৭ই

মার্চের ভাষণ।

★ জ্যাকবের বইয়ে ভাষণটির শিরোনাম দেয়া হয়েছে

The Struggle : This Time is the Struggle for

Independence.

★বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট

আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গ বক্তৃতার সাথে

তুলনা করা হয়

★"শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ কেবল

একটি ভাষণ নয়,এটি একটি অনন্য রণকৌশলের

দলিল" উক্তিটি করেছেন --কিউবার অবিসংবাদিত

নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো।

★ "৭ মার্চের ভাষণ আসলে ছিল স্বাধীনতার মূল

দলিল" উক্তিটি করেছেন--বর্ণবাদবিরোধী নেতা

নেলসন ম্যান্ডেলা।

★১৩ নভেম্বর ২০১৭-তে ঐতিহাসিক এ ভাষণের উপর

একটি বিশ্লেষণধর্মী বই "বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ:

রাজনীতির মহাকাব্য" শিরোনামে আইসিটি

মন্ত্রণালয় থেকে ই-বুক ও মোবাইল অ্যাপ হিসেবে

উদ্বোধন করা হয়।

BD Cricketer Shahid Juwel 1971 - ডাক্তার সাহেব হাতের পঁচা আঙুল ৩টা কাটবেন না



"ডাক্তার সাহেব হাতের পঁচা আঙুল ৩টা কাটবেন না😰যদি দেশ স্বাধীন হয় তাইলে দেশের হইয়া ১বার ওপেনিং করমু"
------ক্রিকেটার শহীদ জুয়েল😭😭
অামরা অনেকেই জানি, মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শহীদ জুয়েল ও শহীদ মুস্তাকের নামে দুটি গ্যালারি অাছে। অাসুন জানি কে ছিলেন শহীদ জুয়েল ও শহীদ মুশতাক এবং কেন অামরা পাকিস্তান সাপোর্ট করবো না।
শহীদ জুয়েল ছিলেন জগন্নাথ কলেজের ছাত্র। ছোট বেলা থেকেই ছিলেন ক্রিকেটের প্রচন্ড ভক্ত। ছিলেন তৎকালীন পূর্ব বাংলার সেরা ওপেনার। খেলতেন সেই সময়ের বিখ্যাত ক্লাব অাজাদ বয়েসের হয়ে। অার সেই অাজাদ বয়েজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জুয়েলের অারেক বন্ধু শহীদ মুশতাক। মুশতাক এত ভালো মানুষ ছিলো যে তার শত্রুরাও তাকে ভাল বাসতো। কথা বলার সময় হাসি লেগেই থাকতো তার মুখে। জুয়েল ছাড়াও অনেক ক্রিকেটার তৈরির কারখানা ছিলো মুশতাকের অাজাদ বয়েস। সেই অাজাদ বয়েসের হয়েই যাত্রা শুরু করেছিলেন জুয়েল। জুয়েল ব্যাট হাতে ক্রিজে নামলে বোলারদের মুখের উপর পড়ত কালো ছায়া। পড়বেই বা না কেন? জুয়েল ব্যাট হাতে এমন নির্দয়ভাবে বোলারদের বল মাঠের বাইরে অাচড়ে ফেলতেন তা দেখে অনেকের মায়া লাগত। কে জানে সেই সময় যদি টি২০ ক্রিকেট চালু থাকতো জুয়েলই হতে পারতো সেরা ব্যাটসম্যান।
একদিন ঘরোয়া একটি টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়েছিল জুয়েল। তার ব্যাটিং দেখে, তার বিখ্যাত সেই স্লগ সুইপগুলো দেখে পাকিস্তানের বিখ্যাত এক ক্রিকেটার বলেই ফেলেছিলেন- "এই ছেলে এখানে কেন, এর তো পাকিস্তানের হয়ে ওপেনিং করার কথা"।
হ্যা, জুয়েলই ছিলো সেই সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান। তারপরও তাকে জাতীয় দলে নেয়া হয়নি, দেওয়া হয়নি প্রাপ্ত মর্যাদা। কারণ, সেই একটাই জুয়েল যে বাঙ্গালী, বাঙ্গালিকে তারা মানুষ নয় কুকুরই মনে করত। জুয়েল মনে মনে স্বপ্নন দেখত, একদিন দেশ স্বাধীন হবে, অার বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিং করবে জুয়েল।
১৯৬৯ সাল। দেশজুড়ে চলছে অায়ুব বিরোধী তীব্র অান্দোলন। অার সেই সময়েই পাকিস্তান দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের ছিলো চরম ফর্মহীনতা। বাধ্য হয়েই প্রাথমিক দলে রাখা হলো বাঙ্গালি জুয়েলকে। কিন্তু জুয়েল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলেন পাকিদের সেই ডাক। যোগ দিলেন বাঙ্গালীর মুক্তির অান্দোলন গন অদ্ভোত্থানে।
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ। জুয়েল দেখল, যে অাজাদ বয়েসের হয়ে জুয়েলসহ অসংখ্য ক্রিকেটারের হাতেখড়ি হয়েছিল, সেই অাজাদ বয়েসের প্রতিষ্ঠাতা, প্রাণ প্রিয় বন্ধু মুশতাকের নিথর দেহ গড়াগড়ি খাচ্ছে মাটিতে। অার পাশে বসে অাছেন, জুয়েলের অারেক বন্ধু সৈয়দ অাশরাফুল হক ( বর্তমান এসিসির প্রধান নির্বাহী)।
প্রিয়বন্ধু মুশতাককে ছুয়ে জুয়েল শপথ করলেন জীবন দিয়ে হলেও দেশ স্বাধীন করবেন। বন্ধুর রক্তকে বৃথা যেতে দিবেন না।
৩১ শে মে ১৯৭১ বাড়ির পেছন দিকের দরজা দিয়ে মাকে কিছু না বলেই বেরিয়ে গেলেন জুয়েল। এর কয়েকদিন আগে বলেছিলেন মাকে একটা ছবি দিয়ে– আমি যখন থাকবো না, এই ছবিটাতে তুমি আমাকে দেখতে পাব ।ভারতে গিয়ে ট্রেনিং নিলেন জুয়েল।
ট্রেনিং নিয়ে জুয়েল হয়ে উঠলেন দুর্ধর্ষ ক্রাক প্লাটুনের অন্যতম সদস্য। এই ক্রাক প্লাটুনেরর হয়ে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় সফল গেরিলা অভিযানে অংশ নেয় জুয়েল। যুদ্ধের এক পর্যায়ে ডান হাতে গুলি লাগে জুয়েলের। হাতের তিনটি অাঙ্গুল প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্রিকেটকে তিনি কতটা ভালবাসতে
তার একটা প্রমান পাওয়া যায় এই ঘটনার পর যখন তার বোনের সাথে তার দেখা হয়। তিনি তার বোনকে প্রচণ্ড দুঃখ করে বলেছিলেন,দেশ স্বাধীন হলে আমি আবার ক্রিকেট খেলতে পারবো তো?
১৯শে আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার ষ্টেশন অপারেশনের সময় পাকবাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণে তিনি আহত হন। এরপর তাকে মগবাজারে প্রখ্যাত
সুরকার আলতাফ মাহমুদের বাসায় চিকিৎসার জন্য আনা হয়। আলবদরের তৎকালীন সেকেন্ড ইন কমান্ড আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এই খবরটা পৌঁছে দেয় স্থানীয় পাকিস্তানি ক্যাম্পে।
২৯শে আগস্ট পাকবাহিনী হামলা চালায়
ওই বাড়িতে। আহত অবস্থায় জুয়েলকে ধরে নিয়ে আসে ক্যাম ক্রাক প্লাটুনের তথ্য ও সকলের পরিচয় জানার জন্য প্রচণ্ড অত্যাচার চালানো হয় তার উপর।
যে হাত দিয়ে একদিন স্বাধীন বাংলাদেশের ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিপক্ষের বোলারদের উপর চড়াও হতে চেয়েছিলেন,সে হাতের দুটো আঙ্গুল কেটে ফেলে পাকিস্তানি হানাদার নির্মম নিষ্ঠুরতায়।
প্রচণ্ড নির্যাতনের মুখেও একটা শব্দও উচ্চারন করেননি তিনি। ৩১ শে আগস্টের পর তাকে আর
খুঁজে পাওয়া যায়নি।
যে জুয়েল, মুশতাক নিজেদের জীবন দিয়ে পাকিস্তানিদের শোষন বঞ্চণার হাত থেকে অামাদের রক্ষা করে গেল। তাদের স্মৃতির দুটি গ্যালারী স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে, তাদের বুকের উপর দাড়িয়ে অাপনি কিভাবে বলেন পাকিস্তান জিন্দাবাদ। তাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ভোগ করে অাপনি কিভাবে পাকিস্তান সাপোর্ট করেন?
যাদের শাসন ও শোষনের বিরুদ্ধে বাংলার দুই সেরা ক্রিকেটার ও সংগঠক জীবন দিয়ে গেল বাঙ্গালীদের ভাল রাখার জন্য। তারপরও বাঙ্গালী চাঁদ তারার পতাকা নিয়ে লাফায়। কেন বাঙ্গালী কেন? এর কোন উত্তর অাপনি দিতে পারবেন??????
তথ্য কৃতজ্ঞতায়- সভ্যতা ব্লগ।
সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের উপাধিঃ

মুক্তিযুদ্ধের উপাধিঃ
বীরশ্রেষ্ঠ:
★মোট সাতজনকে এ উপাধি দেওয়া হয়।
★খেতাব প্রদান করা হয়- ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩ সালে।
★সেনাবাহিনী থেকে প্রাপ্ত- ৩ জন
১. ক্যাপ্টন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর(বরিশাল)
২. সিপাহী হামিদুর রহমান(ঝিনাইদহ) সবচেয়ে বয়সে ছোট বীরশ্রেষ্ঠ।
৩. সিপাহী মোস্তফা কামাল(ভোলা)
★ বিমানবাহিনী থেকে প্রাপ্ত- ১ জন
১. ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান(ঢাকা)
★ নৌ-বাহিনী থেকে প্রাপ্ত- ১ জন
১. মো রুহুল আমিন(নোয়াখালী)
★ ইপিআর থেকে প্রাপ্ত- ২ জন।
১. ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ(ফরিদপুর)
২. ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ (নড়াইল)
★ বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে সর্বপ্রথম শহিদ হন- ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ(৮এপ্রিল, ১৯৭১)
★ বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে সর্বশেষ শহিদ হন- ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর(১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১)
বীর উত্তম:
★ জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় উপাধি দেওয়া হয়- ৩ ধরনের (বীর উত্তম, বীর বিক্রম, বীর প্রতীক)
★ বীর উত্তম পুরষ্কার দেওয়া হয়- ৬৮ (১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩) +১(১৫ এপ্রিল ২০১০)
★একমাত্র মুক্তিযুদ্ধে অবদান ছাড়া মরনোত্তর বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ(১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হন)
★ মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বীরর উত্তম দেওয়া হয়- ৬৮ জনকে।
★বীর উত্তম - আর্মি- ৪৯+১; নেভি- ৮; বিমান বাহিনী- ৬ ; বেসামরিক - ৫ জন
★ বীর উত্তম সেনাবাহিনীর ৫০ জনের মধ্যে ২১ জনকে দেয়া হয় মরোনত্তর।
★ বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধার বীরউত্তম-
১. শাহাবুদ্দিন
২. আকরাম
৩. শারফুদ্দিন
৪. এম এইচ সিদ্দিক
৫. আব্দুল কাদের সিদ্দিকী
বীর বিক্রম:
★ তৃতীয় বীরত্বসসূচক পুরস্কার হলো - বীর বিক্রম
★ জীবিত -১০১ ও মৃত- ৭৬ জন ; মোট ১৭৭ জনকে এ উপাধি দেওয়া হয়।
★ একমাত্র উপজাতি বীর বিক্রম- ইউকে চিং মারমা
বীর প্রতীক:
★ বীর প্রতীক পুরস্কার লাভ করেন- ৪২৬ জন(১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩)
★নারী মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক- ২ জন
১. তারামন বিবি(১১নং সেক্টর)
২. সেতারা বেগম(২নং সেক্টর)
★ একমাত্র বিদেশি খেতাবপ্রাপ্ত বীর প্রতীক- ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড( ডাচ- অস্ট্রোলিয়ান কমান্ডো অফিসার) তিনি ঢাকায় আসেন ১৯৭০ সালে এবং বাটা-সু কোম্পানিতে কাজ করেন। তিনি ২য় বিশ্বযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন।
★ মৌখিক বীর প্রতীক উপাধি(১৯৯৬) দেওয়া হলেও গেজেটভুক্ত হননি- কাঁকন বিবি। তিনি খাসিয়া উপজাতির ছিলো।
★ সর্বকনিষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা- শহীদুল ইসলাম লালু(বীর প্রতীক)
★বাংলাদেশ "স্বাধীনতা সম্মাননা" দেওয়া হয়- ১ জনকে(ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে)
★ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা পান- ১৫ জন
★মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা- ৩১১ জন ও ১১টি সংগগঠন)
★ মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বিদেশি নাগগরিক- ইতালির ফাদার মারিও ভেরেনজি
★ মুক্তিযুদ্ধে ৪টি ক্যাটাগরিতে মোট ৬৭৭ জনকে খেতাব দেওয়া হয়।
★এ পর্যন্ত বীরঙ্গনা খেতাব- ২৩১ জনকে; নারী মুক্তিযোদ্ধা- ২০৩ জন
★৫৮ জনকে শব্দ সৈনিক উপাধি দেওয়া হয়।
সংগৃহীত

১৯৭১ সালের গুরুত্বপূর্ণ তারিখসমূহ - Important Date of Independent War of 1971

১৯৭১ সালের গুরুত্বপূর্ণ তারিখসমূহ - Important Date of Independent War of 1971


৩রা - জানুয়ারি আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যরা রেসকোর্স ময়দানে শপথ গ্রহণ করে ।।
১লা মার্চ - ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করে।
২রা মার্চ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ দেশের মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে।
৩রা মার্চ - ৩ মার্চ থেকে শুরু হয় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। এদিন গঠিত হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।
৬ই মার্চ - এক বেতার ভাষণে ইয়াহিয়া খান ২৫ মার্চ ঢাকায় পুনরায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করে ।
৭ই মার্চ - বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ । যে ভাষণে তিনি নির্বাচিত দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেন।
১৫ই মার্চ - ইয়াহিয়া খান ঢাকা সফরে আসেন এবং বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনার প্রস্তাব দেন।
১৬ই মার্চ - এদিন থেকে বঙ্গবন্ধুর সাথে ইয়াহিয়া খান আলোচনা শুরু করে।
২২শে মার্চ - জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকা আসেন এবং আলোচনায় অংশ নেন।
২৫শে মার্চ - কাল রাত, এদিন পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকা শহরে গণহত্যা চালায়।
২৬শে মার্চ - বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি প্রচার করেন।
২৭শে মার্চ - চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকেই মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।।
৯ই এপ্রিল - মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ১৪০ সদস্যবিশিষ্ট ঢাকা নাগরিক শান্তি কমিটি গঠিত হয়। ।
১০ই এপ্রিল - মুজিবনগর বা বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। মন্ত্রিসভা বঙ্গবন্ধুর ২৬ মার্চের ঘােষণা এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন করে।
১৭ই এপ্রিল - মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে।।
১৭ই সেপ্টেম্বর - ডা. আব্দুল মোতালিব মালিক সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের বিরােধিতাকারী তথাকথিত বেসামরিক সরকার গঠিত হয়।
১৩ই নভেম্বর - ট্যাংকসহ দুই ব্যাটালিয়ন সৈন্য যশােরে ঘাঁটি স্থাপন করে।
২১শে নভেম্বর - বাংলাদেশ ও ভারত সরকার একটি যৌথ কমান্ড গঠন করে।
৩রা ডিসেম্বর - ভারতের বিমান ঘাটিতে পাকিস্তানি বিমান হামলা চালালে চূড়ান্ত যুদ্ধ শুরু হয়।
৬ই ডিসেম্বর - ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
৮ই ডিসেম্বর – কুমিল্লা, ব্রাম্মনবাড়িয়া ও নোয়াখালী শহর মিত্র বাহিনীর দখলে আসে।
১০ই ডিসেম্বর  - হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (বর্তমান রূপসী বাংলা) কে নিরপেক্ষ এলাকা ঘােষণা করে ঢাকাস্থ কূটনীতিক ও বিদেশি নাগরিকদের সেখানে আশ্রয় দেওয়া হয়।
১২ই ডিসেম্বর - ঢাকায় বিভিন্ন সামরিক অবস্থানের ওপর যৌথ বাহিনীর বিমান হামলা।
১৪ই ডিসেম্বর - পাকবাহিনী ও তার দোসররা মিলে শিল্পী-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে।
১৬ই ডিসেম্বর - পাকিস্তানি বাহিনী তাদের শােচনীয় পরাজয় মেনে নিয়ে যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ
মুজিবনগর সরকার
রাষ্ট্রপতি - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
উপ-রাষ্ট্রপতি - সৈয়দ নজরুল ইসলাম।  (বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, সশস্ত্র বাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন)।
প্রধানমন্ত্রী - তাজউদ্দিন আহমদ।
অর্থমন্ত্রী - এম মনসুর আলী
স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী - এ এইচ এম কামারুজ্জামান।
পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্র - খন্দকার মোশতাক আহমেদ
১। পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে - ২৫ শে মার্চ মধ্যরাত থেকে।
২। হানাদারদের নির্বিচার হত্যার প্রধান শিকার ছিল - সংখ্যালঘু হিন্দুরা।
৩। ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল - প্রায় এক কোটি মানুষ।
৪। মুক্তিযুদ্ধে চরম নিপীড়নের মুখে পড়ে- বৃদ্ধ ও নারীরা।
৫. বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার নীলনকশা তৈরি করে - পাকিস্তানি হানাদারও তাদের এদেশীয় দোসররা।
৬. মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে- ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে।
৭. মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়- হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে।
, আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন- লে. জেনারেল নিয়াজী ও লে, জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরা।
৯. ঢাকার বাইরে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ করে- ২২শে ডিসেম্বর।।
১০. ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে- ৯১ হাজার।