41st BCS written preparation - Indo-China Relations and Regional Geopolitics (Part 1) - ৪১তম রিটেন প্রস্তুতি ★★★★★★★ নরমে গরমে ভারত -চীন সম্পর্ক ও আঞ্চলিক ভূরাজনীতি (পর্ব ১)

 41st BCS written preparation - Indo-China Relations and Regional Geopolitics (Part 1) - ৪১তম রিটেন প্রস্তুতি ★★★★★★★ নরমে গরমে ভারত -চীন সম্পর্ক ও আঞ্চলিক ভূরাজনীতি (পর্ব ১)




অনেক বছর ধরেই সীমানা থেকে শুরু  করে ভূরাজনীতিতে চীন ভারত পরস্পরকে প্রতিপক্ষ হিসাবে দেখা যায়।  চীন অর্থনৈতিক আগ্রাসনকে  হাতিয়ার করে  কৌশলগত  অর্থনৈতিক সম্পর্কের  নামে দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে।তাতে ভারত মনে করে তার ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার এ অঞ্চলে তার একক আধিপত্য চায়।কিন্তু চীন ভূরাজনীতি ভালোভাবে প্রযোজনা করতে পারে।যেকোনো বিনিয়োগের জন্য চীন লেগে থাকে, ম্যাপের থেকে ভূরাজনীতিগত স্বার্থ চীনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এ ক্ষেত্রে ভারত একরোখা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোকে জনসংখ্যা কিংবা ম্যাপের ভিত্তিতে ভূরাজনীতিগত সক্ষমতা বিচার করে।যার ফলে তার করায়ত্ত আশ্রিত দেশগুলো কর্তৃত্বগত দখলের বাইরে চলে গেছে।


 দিন বদলিয়েছে ;সময়ের আবর্তে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ভারতের আগের মতো সুসম্পর্ক নেই।নেপাল ও শ্রীলঙ্কার চীন ঘেষা মনোভাব সাম্প্রতিক সময়ে স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়েছে।ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন নেপালের লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি নিয়ে নেপাল যে গত বছর নতুন ম্যাপ প্রকাশ করেছে তাতে চীনের ইন্ধন  রয়েছে। শুধু তাই নয় নেপালের জ্বালানি অবকাঠামোতে চীনের বিশাল বিনিয়োগ  রয়েছে।এমনকি নেপালের কমিউনিস্ট সরকার অনেকটা চীনের ছত্রছায়ায় চলে এসেছে। যার ফলে নেপালের রাজনৈতিক বিভিন্ন  ঘটনায় চীনের বিবৃতি শোনা যাচ্ছে। মূলত ২০১৫ সালের পর  নেপালের নতুন সংবিধান ঘোষণা ও ভারতের অবরোধ ও উপেক্ষা এ পথ সহজ করে দিয়েছে।শ্রীলঙ্কার মাহেন্দ্র রাজাপাকসের সাথে চীনের সম্পর্কের কথা কম বেশ সবারই জানা।ভুটানের ডোকলাম ইস্যুতে চীন ভুটানের পক্ষে  অবস্থান নিয়ে ভালোই শক্তিসাম্য প্রদর্শন করেছে।পাকিস্তানের গায়োদর প্রজেক্ট এর মাধ্যমে আঞ্চলিক  সম্পর্কগত প্রভাব বাড়বে।


নিঃসন্দেহে  ট্রাম্প শাসনামলে  আমেরিকার পাকিস্তানের প্রতি উদাসীনতা  পাকিস্তানকে চীনের প্রতি ঝুকতে বাধ্য করেছে।মিয়ানমারের রাখাইনেও চীনা বিভিন্ন হেভি প্রজেক্টে বিনিয়োগ রয়েছে।আশ্চর্যের বিষয় হলো সুচিকে এভাবে ক্ষমতাচু্্যত করে বন্দী করা নিয়ে চীন কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়নি।বাংলাদেশেও এখন সবচেয়ে  বেশি বিনিয়োগ  চীনের।চীন অবকাঠামোতে যেভাবে কৌশলগত সম্পর্কের নামে বিনিয়োগ  করছে তাতে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছে বাংলাদেশ  যেনো চীনের ঋণ ফঁাদ কূটনীতি সম্পর্কে সর্তক থাকে।আরো বড়ো ধাক্কা লেগেছে সম্প্রীতি তিস্তা প্রকল্পে চীনা বিনিয়োগে। মূলত চীনের দক্ষিণ এশিয়ায় এমন ক্রমবর্ধমান বিস্তারকে ভারত খুব একটা ভালো চোখে দেখছে না।আঞ্চলিক  কিংবা আন্তর্জাতিক  রাজনীতিতে আসলে চিরস্থায়ী শত্রু কিংবা বন্ধু  বলে কেউ নেই।তাই দ্বিপাক্ষিক কিংবা বহুপাক্ষিক সম্পর্কে তক্কে তক্কে অবস্থান থাকা ছাড়া স্বীয় স্বার্থ সংরক্ষণের বিকল্প উপায় নেই।দক্ষিণ এশিয়ায় এই দুই দেশের ভূরাজনৈতিক কৌশল ও প্রভাব আরো বাড়বে।উদ্দেশ্যগত ভাবে দুই বৃহৎ রাষ্ট্রের স্বার্থ এক ও অভিন্ন আর তা হলো কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা।তবে এই খেলায় কে কতটুকু  প্রভাব বিস্তার করবে কিংবা ভারতকে সত্যিই চীন এভাবে ঘিরে ফেলবে তা সময়েই বলে দিবে।

ইমা হালিমা 

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা (ইংরেজি) 

৩৮তম বিসিএস।

No comments:

Post a Comment