BCS এর খাতা পুনর্মূল্যায়ন নিয়ে কিছু কথা উঠেছে, চলুন কিছু কথা জেনে নিই

BCS এর খাতা পুনর্মূল্যায়ন নিয়ে কিছু কথা উঠেছে, চলুন কিছু কথা জেনে নিই।


আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখবেন কিছু পরীক্ষার্থী পরীক্ষা হল থেকে বের হয়েই বলে, কিছুই লিখতে পারিনি, সবকিছু ভংচং লিখে আসছি। রেজাল্ট এর সময় দেখবেন ৩.৮ পেয়ে বসে আছে।


আবার কিছু পরীক্ষার্থী থাকে, যারা পরীক্ষা দিয়ে এসে বলে খুবই ভালো হয়েছে A+ পাবো, রেজাল্ট দিলে দেখা যায় ক্যারি খেয়ে বসে আছে।


আছে না এমন? সেই ছোট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি চাকরির পরীক্ষাও এমন দেখা যায়।


প্রিলি দিয়ে এসে কেউ ১২০ পেয়েও টিকে না আবার কেউ ১০০ পেয়েও টিকে যায়, ঘটনা আর কিছুই না, কেউ সত্যটা বলেনি আপনাকে। রিটেন পরীক্ষাতেও সেইম হয়েছে। 


রিটেন এ ফেইল করার কিছু কারণ-


১. আপনার হাতের লেখা বোঝা যায় না। দ্রুত লিখতে যেয়ে এমন হতে পারে।


২. পরীক্ষার সময় দেখছি কিছু পাবলিক সমানে পেপার নিতে থাকে। এক পৃষ্ঠায় চার পাঁচ লাইন লিখেই অন্য পৃষ্ঠায় চলে যান। এইটা ফেইল করার অন্যতম একটা কারণ, স্যাররা এতে বিরক্ত হোন।


৩. বানান ভুল করা, বেশি বানান ভুল থাকলে স্যাররা জিরো দিয়ে দেন।


৪. অপ্রাসঙ্গিক ডাটা কোটেশান দিয়ে সোর্স উল্লেখ না করা। সোর্স ছাড়া আপনার ডাটা ভ্যালুলেস। বেশি বেশি ডাটা আর কোটেশান দিয়ে গিয়ে প্রশ্নে যা চাওয়া হয়েছে তা লিখতে না পারা। মনে রাখবেন আপনাকে ডাটা এনালাইসিস করতে বলা হয়নি,নিজের মত প্রশ্ন বিশ্লেষণ করতে বলা হয়ছে।


আর আপনি একবার প্রিলি পাস করবেন দেখে বারবার প্রিলি পাস করবেন কিংবা একবার রিটেন পাস করছেন দেখে বারবার রিটেন পাস করবেন এমনটা বলা পাগলের প্রলাপ।


প্রত্যেক পরীক্ষার রেজাল্ট এর পর পর এইরকম কথা প্রতিবার উঠে, শুধু এখানে না সব চাকরির পরীক্ষায় এসব কথা উঠে। লিংক কমেন্টে দিয়ে দিব।


৩৪ BCS এর কথা আলাদা, ৩৫ BCS থেকে নতুন সিলেবাস। গত দুই BCS থেকে তিনজন পরীক্ষক খাতা দেখেন, তাই এখানে পুনর্মূল্যায়ন করার প্রশ্নই থাকে না। তাও যদি চান তাহলে এখন এসব খাতা বাইরের দেশ থেকে র্মূল্যায়ন করে নিয়ে আসতে হবে। কারণ দুইজন এর পরে তিনজন মিলেও আপনাকে র্মূল্যায়ন করতে পারেনি। রিটেন পরীক্ষার এক বছর পর রেজাল্ট দিয়েছে, খুব ধীরে সুস্থে দেখে শুনে রেজাল্ট পাবলিক করা হয়েছে তাই কারিগরি ত্রুটি হওয়ার চান্স নেই বললেই চলে। 


সবচেয়ে বড় কথা দুই পরীক্ষক সিস্টেম চালু হওয়ার পর থেকে PSC রিচেক এর সিস্টেম বাতিল করে দিয়েছে। তাদের ধারা গুলো পড়লে বুঝতে পারবেন বোল্ড করে লেখা গুলো আলাদা গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে। 


এত এত কথা বলার একটাই কারণ, PSC এই কাজ কখনোই করবে না। শুধু শুধু সময় নষ্ট করছেন। PSC কেন, রেজাল্ট এর পর অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানই চাইবে না নিজের গায়ে কলঙ্ক লেগে যাক। সর্বোচ্চ আপনাদের কাছ থেকে একটা এল্পিকেশান নিবে, তারপর যা লাউ তাই কদু হবে।


কথা গুলো অনেকের গায়ে লাগতে পারে,কিন্তু আমি আগেই বলেছি যত ছাই চাপা আগুন ঘাটতে থাকবেন ততই কষ্ট বাড়তে থাকবে। যাদের শেষ BCS তাদের কথা আলাদা, কিন্তু আপনার যদি সামনে 41 থাকে তাহলে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার মত কাজ করছেন।


আর BCS পাস মানেই চাকরি না, রিজিক মালিক এর উপর ভরসা হারাবেন না। সারা পৃথিবীর মানুষ চেষ্টা করেও আপনার রিজিক থেকে একটা ভাতের দানাও কমাতে পারবে না, আবার রিজিক শেষ হয়ে গেলে বাড়তি একটা দানাও খেতে পারবেন না।

No comments:

Post a Comment