৭ দিনে প্রিলি পাশ, ২ সপ্তাহে প্রিলি পাশ... এ ধরনের সাজেশন দিতে পারলাম না ।

৭ দিনে প্রিলি পাশ, ২ সপ্তাহে প্রিলি পাশ... এ ধরনের সাজেশন দিতে পারলাম না ।
প্রিলি হচ্ছে একটি সহজ পরীক্ষা । তবে এসেসমেন্ট খুব জরুরী। আমি খুব বেশি কিছু বলবো না।
সবার আগে যা প্রয়োজন তা হলো নিজেকে যাচাই করা।
১. আপনি কী পারেন
২. আপনি কী পারেন না
তারপর পড়া শুরু।
গণিত ও বিজ্ঞানে যাদের সমস্যা আছে , তারা এই দুই বিষয় ই পড়েন সবার আগে।
বিজ্ঞাণ শুধু ৯ম-১০ম শ্রেণীর সাধারণ বিজ্ঞান পড়ুন। তথ্য প্রযুক্তি ও পড়ুন। তারপর ক্যাডার ননক্যাডারের প্রশ্নগুলো অবশ্যই পড়বেন। বিজ্ঞান শেষ।
গণিত ::: আগে বীজগণিত শেষ করুন। ৭ম,৮ম, ৯ম- ১০ম শ্রেণী। তারপর বিভিন্ন প্রশ্ন।
এবার বাংলা আর ইংলিশ ।
দুই ভাগে ভাগ করুন।
১. সাহিত্য
২.ব্যকরণ
এবার দেখুন ::::::: বাংলা সাহিত্য :: যতই পড়বেন ততই ভুলবেন। ভুলতে ভুলতে যা মনে থাকে। প্রতিদিন ৩/৪ জন কবি পড়ুন। সৌমিত্র শেখর স্যারের বই টা দেখুন। এবং প্রশ্ন রিভাইস করবেন।
ইংরেজী সাহিত্য:: খুব কঠিন লাগবে। বন্ধুরা মিলে পড়ুন। যেকোন একটা বই পড়ুন। আর অবশ্যই প্রশ্ন রিভাইস করুন। যেভাবেই হোক মনে যেন থাকে। এখানে কোন রকম আন্দাজ গ্রহনযোগ্য নয় ।
ব্যকরণ::: বাংলা ৯ম-১০ম শ্রেণীর বই । প্রশ্ন রিভিশন।
ইংলিশ:: কম্পিটিটিভ এক্সাম। যা পড়বেন ভাল করে পড়বেন।
এবার আসুন সহজ বিষয়ে::: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক। খুব বেশি পড়ার চেষ্টা করবেন না। আবার অনেকে সাম্প্রতিক তথ্য নিয়ে বেশি সিরিয়াস। সেন্টি হবেন না।
বই আপনার যা ইচ্ছা পড়বেন , তবে খুব বেশি তথ্য ভাল হবে না। বড় বই থেকে এখন দুরে থাকবেন। কিছু প্রশ্ন আসবেই যা আপনি কখনও চোখে দেখেন নাই । এগুলো বাদ।
সব মিলিয়ে পাশ করার মতো প্রস্ততি থাকলে হবে। সবচেয়ে বড় কথা এ সময়টা কাজে লাগাবেন।
আর একটা টেকনিক শিখিয়ে দিই।...............গুরুত্বপুর্ণ।
প্রতিদিন সকালে মিনিমাম ২০০ নম্বরের একটা পরীক্ষা দিবেন নিজে নিজে . টাইম ধরে। যেমন ২ টা ক্যাডার প্রশ্ন ১০০ নম্বরের বা দুই টা ননক্যাডার প্রশ্ন ১০০ নম্বরের ।
এতে কী হবে::::::
> আপনার প্রশ্ন উত্তরের গতি বাড়বে
> কনফিডেন্স বাড়বে
> প্রশ্ন উত্তর মুখস্থ হয়ে যাবে।
সব মিলিয়ে যাই পড়েন মাঝে মাঝে রিভাইস করবেন। পুরোনো পড়া ভুলে যাওয়ার চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু নাই। নতুন পড়া নাই পাড়লাম কিন্তু যা পড়ছি তা ভোলা যাবে না।
সকলকে ধন্যবাদ।
বাণীতে: মান্না দা
৩৪ তম বিসিএস ( পুলিশ)

No comments:

Post a Comment