১৯৭১ সালের গুরুত্বপূর্ণ তারিখসমূহ - Important Date of Independent War of 1971

১৯৭১ সালের গুরুত্বপূর্ণ তারিখসমূহ - Important Date of Independent War of 1971


৩রা - জানুয়ারি আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যরা রেসকোর্স ময়দানে শপথ গ্রহণ করে ।।
১লা মার্চ - ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করে।
২রা মার্চ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ দেশের মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে।
৩রা মার্চ - ৩ মার্চ থেকে শুরু হয় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। এদিন গঠিত হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।
৬ই মার্চ - এক বেতার ভাষণে ইয়াহিয়া খান ২৫ মার্চ ঢাকায় পুনরায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করে ।
৭ই মার্চ - বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ । যে ভাষণে তিনি নির্বাচিত দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেন।
১৫ই মার্চ - ইয়াহিয়া খান ঢাকা সফরে আসেন এবং বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনার প্রস্তাব দেন।
১৬ই মার্চ - এদিন থেকে বঙ্গবন্ধুর সাথে ইয়াহিয়া খান আলোচনা শুরু করে।
২২শে মার্চ - জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকা আসেন এবং আলোচনায় অংশ নেন।
২৫শে মার্চ - কাল রাত, এদিন পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকা শহরে গণহত্যা চালায়।
২৬শে মার্চ - বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি প্রচার করেন।
২৭শে মার্চ - চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকেই মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।।
৯ই এপ্রিল - মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ১৪০ সদস্যবিশিষ্ট ঢাকা নাগরিক শান্তি কমিটি গঠিত হয়। ।
১০ই এপ্রিল - মুজিবনগর বা বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। মন্ত্রিসভা বঙ্গবন্ধুর ২৬ মার্চের ঘােষণা এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন করে।
১৭ই এপ্রিল - মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে।।
১৭ই সেপ্টেম্বর - ডা. আব্দুল মোতালিব মালিক সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের বিরােধিতাকারী তথাকথিত বেসামরিক সরকার গঠিত হয়।
১৩ই নভেম্বর - ট্যাংকসহ দুই ব্যাটালিয়ন সৈন্য যশােরে ঘাঁটি স্থাপন করে।
২১শে নভেম্বর - বাংলাদেশ ও ভারত সরকার একটি যৌথ কমান্ড গঠন করে।
৩রা ডিসেম্বর - ভারতের বিমান ঘাটিতে পাকিস্তানি বিমান হামলা চালালে চূড়ান্ত যুদ্ধ শুরু হয়।
৬ই ডিসেম্বর - ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
৮ই ডিসেম্বর – কুমিল্লা, ব্রাম্মনবাড়িয়া ও নোয়াখালী শহর মিত্র বাহিনীর দখলে আসে।
১০ই ডিসেম্বর  - হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (বর্তমান রূপসী বাংলা) কে নিরপেক্ষ এলাকা ঘােষণা করে ঢাকাস্থ কূটনীতিক ও বিদেশি নাগরিকদের সেখানে আশ্রয় দেওয়া হয়।
১২ই ডিসেম্বর - ঢাকায় বিভিন্ন সামরিক অবস্থানের ওপর যৌথ বাহিনীর বিমান হামলা।
১৪ই ডিসেম্বর - পাকবাহিনী ও তার দোসররা মিলে শিল্পী-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে।
১৬ই ডিসেম্বর - পাকিস্তানি বাহিনী তাদের শােচনীয় পরাজয় মেনে নিয়ে যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ
মুজিবনগর সরকার
রাষ্ট্রপতি - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
উপ-রাষ্ট্রপতি - সৈয়দ নজরুল ইসলাম।  (বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, সশস্ত্র বাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন)।
প্রধানমন্ত্রী - তাজউদ্দিন আহমদ।
অর্থমন্ত্রী - এম মনসুর আলী
স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী - এ এইচ এম কামারুজ্জামান।
পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্র - খন্দকার মোশতাক আহমেদ
১। পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে - ২৫ শে মার্চ মধ্যরাত থেকে।
২। হানাদারদের নির্বিচার হত্যার প্রধান শিকার ছিল - সংখ্যালঘু হিন্দুরা।
৩। ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল - প্রায় এক কোটি মানুষ।
৪। মুক্তিযুদ্ধে চরম নিপীড়নের মুখে পড়ে- বৃদ্ধ ও নারীরা।
৫. বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার নীলনকশা তৈরি করে - পাকিস্তানি হানাদারও তাদের এদেশীয় দোসররা।
৬. মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে- ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে।
৭. মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়- হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে।
, আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন- লে. জেনারেল নিয়াজী ও লে, জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরা।
৯. ঢাকার বাইরে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ করে- ২২শে ডিসেম্বর।।
১০. ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে- ৯১ হাজার।

No comments:

Post a Comment