BCS written preparation - [Blue Economy]: One of the potential aspects of Bangladesh's future economy!] - ৪১তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি [Blue Economy(সুনীল/সমুদ্র অর্থনীতি]: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির এক সম্ভাবনাময় দিক!]

৪১তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি

[Blue Economy(সুনীল/সমুদ্র অর্থনীতি]: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির এক সম্ভাবনাময় দিক!]


BCS written preparation - [Blue Economy]: One of the potential aspects of Bangladesh's future economy!] - ৪১তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি  [Blue Economy(সুনীল/সমুদ্র অর্থনীতি]: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির এক সম্ভাবনাময় দিক!]



"বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত একটি ছোট্ট দেশ।অথচ বঙ্গোপসাগরের  সম্পদকে কাজে লাগাতে পারলে ঘুরে যাবে এই দেশের অর্থনীতির চাকা। বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে ১৩টি জায়গায় আছে সোনার চেয়ে অধিক মূল্যবান বালি, ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম। যাতে মিশে আছে ইলমেনাইট, গার্নেট, সিলিমেনাইট, জিরকন, রুটাইল, ম্যাগনেটাইট। অগভীরে জমে আছে ‘ক্লে’। যা দিয়ে তৈরি হয় সিমেন্ট। ধারণা করা হচ্ছে এর পরিমাণ হিমালয়কেও হার মানায়। এই ক্লে উত্তোলন সম্ভব হলে সিমেন্ট কারখানাগুলো আরও শক্তিশালী হবে বাণিজ্যিকভাবে। এছাড়াও তেল-গ্যাসের সন্ধানও মিলেছে সমুদ্রের তলদেশে। সবমিলিয়ে অমিত সম্ভাবনার হাতছানি দিয়ে যেন ডাকছে সমুদ্র সম্পদের সম্ভাবনা।

নতুন আশায় বাংলাদেশ

=================

বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, বঙ্গোপসারের নিচে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ জ্বালানি তেল ও গ্যাস মজুদ রয়েছে যা আগামী দিনের জ্বালানি-রাজনীতি ও অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এ কারণে এ অঞ্চলটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়ার অন্যতম জ্বালানি শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ অবস্থান করছে। পরবর্তী প্রাকৃতিক গ্যাসের সুপার পাওয়ার হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আশার খবর হচ্ছে- শুধু গ্যাসই নয়, বঙ্গোপসাগরে ভারি খনিজের সন্ধান পাওয়া গেছে। ভারি খনিজের মধ্যে রয়েছে ইলমেনাইট, টাইটেনিয়াম অক্সাইড, রুটাইল, জিরকন, গার্নেট, কোবাল্টসহ অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। এসব সম্পদ থেকে বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মদ্রা অর্জন করা সম্ভব। বাংলাদেশের সমুদ্র তীরবর্তী ৩ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা আসে মৎস্য আহরণের মাধ্যমে। গভীর সমুদ্রের ন্যায্য অধিকার পাওয়ায় মৎস্য আহরণের বিপুল সম্ভাবনাও দেখছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে, এ অঞ্চলের টুনা মাছ সারা বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়। সুস্বাদু ও দামী এই মাছটি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মানের হোটেলগুলোতে আমদানি করা হয়ে থাকে। টুনা মাছের বিচরণ গভীর সমুদ্রে। মালিকানা অধিকারে বাংলাদেশের ফিশিং ট্রলার এখন গভীর সমুদ্রে টুনাসহ অন্যান্য মাছ আহরণের সুযোগ পাচ্ছে। মৎস্য আহরণের পাশাপাশি সমুদ্রের তীরবর্তী পর্যটনকেন্দ্রের মাধ্যমেও অর্থনৈতিক বিপ্লবের কথা বাংলাদেশ ভাবছে। জানা গেছে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সমুদ্র নির্ভর। বাংলাদেশের আমদানি রফতানির ৯০ শতাংশই সম্পাদিত হয় সমুদ্র পথে। তা ছাড়া, বাংলাদেশেরর চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর দিয়ে প্রতিবছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায় ২ হাজার ৬ শত জাহাজের মাধ্যমে ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আমদানি রফতানি হয়। এসব জাহাজ থেকে ভাড়া বাবদ আয় হয় ৬ বিলিয়ন ডলার। এসব জাহাজের অধিকাংশই বিদেশী মালিকানাধীন। ভবিষ্যতে এসব সমুদ্র বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হলে বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও বৃদ্ধি পাবে সে সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে ব্যাপক কর্মসংস্থান।

সমুদ্রে সম্ভাবনা অপার

================

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত চাহিদা মেটাতে তাকিয়ে আছে সমুদ্র সম্পদের দিকে। ২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে প্রায় ৯০০ কোটি। গবেষকরা বলছেন, বিপুল এই জনগোষ্ঠীর খাবার যোগান দিতে তখন সমুদ্রের মুখাপেক্ষী হতে হবে। আর এ কারণেই ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্র সম্পদনির্ভর অর্থনীতিকে গুরুত্বারোপ করার তাগাদা দিচ্ছেন গবেষক ও বিশ্লেষকরা। বিশ্বের ৪৩০ কোটি মানুষের ১৫ ভাগ প্রোটিনের যোগান দিচ্ছে সামুদ্র কি মাছ, উদ্ভিদ ও জীবজন্তু। পৃথিবীর ৩০ ভাগ গ্যাস ও জ্বালানি তেল সরবরাহ হচ্ছে সমুদ্রতলের বিভিন্ন গ্যাস ও তেলক্ষেত্র থেকে। সমুদ্রের বুকে প্রাপ্ত অনবায়নযোগ্য সম্পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। উল্লেখ্য তেল-গ্যাসসহ নানাবিধ খনিজ পদার্থ, যেমন- প্লেসার ডিপোজিট, ফসফরাইট ডিপোজিট, পলিমেটালিক ডিপোজিট, সালফাইড, ম্যাগানিজ নডিউলস ও ক্রাস্ট, গ্যাস হাইড্রেট, এভাপোরাইট ইত্যাদি। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ন্যূনতম ১.৭৪ মিলিয়ন টন খনিজ বালুর সমাহার রয়েছে বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলে। এখানে মোট ১৭ প্রকারের খনিজ বালুর সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৮টি অর্থনৈতিকভাবে সক্ষমতা রাখে, যেমন- ইলমেনাইট, জিরকন, রুটাইল, ম্যাগনেটাইট, লিউকোক্সিন, কিয়ানাইট, মোনাজাইট। বিশ্বে ব্যবহৃত শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ম্যাগনেশিয়াম সামুদ্রিক পানি থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই প্রাকৃতিক উৎস থেকে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি সম্ভব। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার কম্পাউন্ড সমুদ্র থেকে পাওয়া গেছে। পরবর্তী প্রজন্মের ওষুধ এই সমুদ্র থেকেই পাওয়া যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন।

বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুনমাত্রা

===================

বিশ্ব অর্থনীতিতে সমুদ্র অর্থনীতি নানাভাবে অবদান রেখে চলেছে। প্রতিবছর ৩ থেকে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মকা- সংঘটিত হচ্ছে সমুদ্রকে ঘিরে। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় অর্থনীতির সিংহভাগই সমুদ্রনির্ভর। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যে তার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হলে সমুদ্র থেকে আহরিত সম্পদের মূল্যমান জাতীয় বাজেটের দশগুণ হবে। অস্ট্রেলিয়া সমদ্র সম্পদ থেকে বর্তমানে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি আয় করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখানো হয়েছে, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে সমুদ্র নির্ভর ঔষধশিল্পও গড়ে তোলা সম্ভব। আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট বড় দেশ ব্লু-ইকোনমি নির্ভর উন্নয়ন কৌশল প্রণয়ন করছে। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় অর্থনীতির সিংহভাগ সমুদ্র নির্ভর। বলা হচ্ছে সম্প্রতি দেশটি এমনকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা গেলে সমুদ্র থেকে আহরিত সম্পদের মূল্যমান জাতীয় বাজেটের দশগুণ হবে। অস্ট্রেলিয়া সমুদ্রসম্পদ থেকে বর্তমানে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে। যা আগামীতে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওইসব দেশগুলোর সমুদ্র সম্পদের সমৃদ্ধির বিচারে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে সমুদ্রনির্ভর ব্লু-ইকোনমির মাধ্যমে। সমুদ্র বিজয় সে সম্ভাবনাকে আরও প্রসারিত করেছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বিশ্বের ৩৫ কোটি মানুষের জীবিকা সরাসরি সমুদ্রের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের মৎস্য উৎপাদনের শতকরা ২০ ভাগ জোগান আসে সমুদ্র থেকে। বিশ্বের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১৬ ভাগের অবদান বঙ্গোপসাগরের। আশা করা হচ্ছে, সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ উৎপাদন আরও বহু গুণে বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ৭০ শতাংশ আসে সমুদ্রে মাছ আহরণ, সামুদ্রিক খাদ্য ও বাণিজ্যিক সমুদ্র পরিবহন হতে। প্রায় তিন কোটি লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, কেবল সমুদ্র অর্থনীতির সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখেই যথেষ্ট আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব। সমদ্র ব্যবহার করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশের রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। সাগর থেকে প্রাপ্ত বায়ু, তরঙ্গ ঢেউ, জোয়ার-ভাটা, জৈব-তাপীয় পরিবর্তন এবং লবণাক্তর মাত্রা ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যাপক পরিমাণে নবায়নযোগ্য শক্তির জোগান পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রতিবছর পৃথিবীতে সমুদ্রবর্তী বায়ু ব্যবহারের সক্ষমতা ৪০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশকে যদি চীন বা তার মতো বৃহৎ অর্থনীতি থেকে উপকৃত হতে হয়, তাহলে আমাদের চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর আধুনিকায়ন করে এগুলোকে গমন-পথ হিসেবে ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। বাস্তবতা হলো বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যে ভরপুর হলেও বিনিয়োগ ও দক্ষতার অভাবে এ সম্পদের সামান্যই অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে। সম্ভাবনাময় এ খাতের বিস্তৃত সম্পদ অর্থনীতিতে যোগ করতে দরকার আরও দক্ষ জনশক্তি ও বিনিয়োগ। সরকার, বেসরকারী খাত ও গবেষকদের সম্মিলিত উদ্যোগে তা করা গেলে দেশের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। সেই সঙ্গে সমুদ্র সম্পদে সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ।

পাল্টে যেতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতি

=============================

সমুদ্র অর্থনীতিতে বিপ্লব আনতে চায় বাংলাদেশ। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে সমুদ্র অর্থনীতি ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছে দেশটি। সাগরের সম্পদ আহরণে একদিকে নেওয়া হয়েছে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কর্মপন্থা। অন্যদিকে উপকূলীয় দেশগুলোর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেতে আগে থেকেই নেওয়া হয়েছে কার্যকরী পরিকল্পনা। সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কার্যক্রম পরিচালনায় স্থায়ী একটি ব্লু-ইকোনমি সেল গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সমুদ্রে অনুসন্ধান চালাতে জাহাজ কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নদীপথে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পণ্য পরিবহন বাড়াতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ পরিচালনা বাড়ানোর পাশাপাশি নদীবন্দরগুলোর আধুনিকায়নের ওপর সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ ভাঙা শিল্পে সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রুজশিপ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন সমুদ্রসীমায়। তবে এ খাতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসা উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণে সমুদ্র সম্পদ নির্ভর নীল অর্থনীতির বিপুল সম্ভাবনা ও সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। সামুদ্রিক এলাকায় প্রধানত খনিজ সম্পদ রয়েছে। বালিতে একরকম। আবার পানির গভীরে আরেক রকম। পানির গভীরে গ্যাস সম্পদ আছে। শুধু মাছই রয়েছে প্রায় ৫০০ প্রজাতির। এছাড়া রয়েছে শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়া, অক্টোপাস, হাঙ্গরসহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক প্রাণী। এগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অর্থকরী ফসল হিসেবে চিহ্নিত। বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির আকার প্রায় ৮৮ ট্রিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে সমুদ্র অর্থনীতির আকার ২৪ ট্রিলিয়ন ডলার।

২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের জিডিপির প্রায় ৫ শতাংশ আসবে সমুদ্র অর্থনীতি থেকে। গভীর সমুদ্রের বিশাল অংশ বাংলাদেশের জলসীমায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর পরিমাণ দেশের মোট স্থল অঞ্চলের প্রায় ৮১ শতাংশ। প্রায় ৭৫টির মতো ছোট-বড় দ্বীপ রয়েছে। এগুলোতে পর্যটন সম্প্রসারণের পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ প্রয়োজন। নীল পানির নিচে লুকিয়ে থাকা এসব সম্পদকে কাজে লাগাতে পারলে পাল্টে যাবে দেশের চেহারা। সমুদ্র অর্থনীতিতে বিনিয়োগের নতুন দিগন্তে এখন বাংলাদেশ। বিশ্বের সম্পদশালী রাষ্ট্রগুলোও বাংলাদেশের ব্লু-ওসান ইকোনমি বা নীল সমুদ্র অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী। বঙ্গোপসাগরের অফুরান সম্পদ কাক্সিক্ষত পরিমাণে আহরণ সম্ভব হলে ১০ বছরের মাথায় বাংলাদেশের অর্থনীতি অভাবনীয় উচ্চতায় পৌঁছবে।"

[সূত্র : দৈনিক জনকণ্ঠ,তবে কিছুটা পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত]

শাহাজান আলী মিলন স্যার

Identification of Clause & Phrase(Part-02)

Identification of Clause & Phrase(Part-02)

Identification of Clause & Phrase(Part-01)





➡️Part-01 এ আমরা 

1) Clause কি?

2) Subject কি?

3) Finite Verb  কি?

4) Non-finite Verb কি)

5) Clause Marker কি?

6) Phrase কি?

7) Clause ও Phrase এর মধ্যে পার্থক্য কি?

এই বিষয় গুলো জেনেছি।আজকে আমরা চলে যাব মূল আলোচনায়।

কিভাবে Clause & Phrase identify   করতে হয় তা আজ আমরা বিস্তারিত শিখব।


➡️Types of Clause:

1) Principal/Main/Independent Clause

2) Sub-ordinate/Dependent Clause

3) Co-ordinate Clause


➡️Principal Clause: যে Clause তার অর্থ প্রকাশের জন্য অন্য কোন Clause এর উপর নির্ভরশীল নয় তাকে Principal Clause বলে।Simple  Sentence গুলো সর্বদা Principal Clause হয়ে থাকে।মনে রাখুন,Principal Clause এর আগে কোন Clause Marker (WH Word,Conjuction/Connectors) বসে না।

যেমনঃ 

I know that he will come.

এখানে "I know" হচ্ছে Principal Clause কারণ এর পূর্বে কোন Clause Marker নাই এবং এ অংশ অন্য কোন অংশের উপর নির্ভরশীল  নয়।

Her activities are really impressive. 

এটি একটি Simple sentence তাই এটি হচ্ছে Principal/Main/Independent  Clause.

*** কখনো কখনো Imperative Mood এর ক্ষেত্রে Principal Clause এর Subject উহ্য থাকে।

যেমনঃ

Do the work as I say.

Look before you leap.

এখানে "Do the work" এবং "Look" হচ্ছে Principal Clause কারণ এখানে উভয় বাক্যেই Subject "You" উহ্য আছে।


➡️ Co-ordinate Clause: দুই বা ততোধিক সমশ্রেণির Principal Clause যখন Co-ordinating Conjuction দ্বারা যুক্ত হয়ে Compound Sentence গঠন করে তখন তাকে Co-ordinate Clause  বলে।

যেমনঃ

I went there and found him ill.

এখানে " I went there" এবং "I found him ill" দুটি সমশ্রেণির স্বাধীন Principal Clause যা  "and" Coordinating Conjunction দ্বারা যুক্ত হয়েছে এবং দুটি Clause ই কেউ কারো উপর নির্ভরশীল নয়।যেমন আমার যাওয়ার তার অসুস্থতার উপর নির্ভরশীল নয় আবার তার  অসুস্থতা আমার যাওয়ার উপর নির্ভরশীল নয়।

******বাক্যে যখন Clause Marker হিসেবে FAN BOYS ব্যবহৃত হবে তখন সেটি Co-ordinate Clause হবে এবং বাক্যটি হবে  Compound Sentence. 

F=For

A=And

N=Nor

B=But

O=Or

Y=Yet

S=So

Structure:

Sub+V+Ex+FAN BOYS+Sub+V+Ex

Example:

He is poor but she is rich.

He worked yet he failed.

He could not come for he was ill.

He was determined so he became successful.


******Most Important******

➡️ Sub-ordinate Clause: যে সকল Clause তাদের অর্থ প্রকাশের জন্য Principle এর উপর নির্ভরশীল এবং Principal Clause এর সাথে যুক্ত হয়ে Complex Sentence গঠন করে তাদের কে Sub-ordinate Clause বলে।

যেমনঃ

I know that he will come.

এখানে "I know" হচ্ছে Principal Clause এবং "that he will come" হচ্ছে Sub-ordibate Clause.

***** FAN BOYS বাদে অন্য যে কোন Clause Marker (WH Words,Conjunction/Connectors) থাকলে তা Sub-ordinate Clause হবে এবং বাক্যটি হবে Complex Sentence.

যেমনঃ

Though, Although, Even though, Since,As,Because,Before,After,While,If,Unless,

Incase,Provided that,Till,Untill,So that,Such that,Inorder that,So.....as,As......as,so......that,As if,As though,As soon as,As far as,Than,WH words(Who,Which,Where,When,Whose,Why,What,Whom,How),that ইত্যাদি।

Example :

He could not come because he was ill.

If you want to be a diplomat, you will have to work hard.

I know the place where you will come.

We read so that we can pass.

He is better than I am.

He works so hard that he can be successful. 

***মনে রাখুন, Clause Marker এর ডানপাশে লেগে থাকে যে Clause সে Clause টি Sub-ordinate Clause আর অন্যটি Principal Clause.

যেমনঃ

I can't hear what he says.

এখানে " I can't hear" হচ্ছে Principal Clause এবং "What he says" হচ্ছে Sub-ordinate Clause.

***** যে বাক্যের মাঝে ডট(.) আছে সে বাক্যে ডট(.) এর পরের অংশ Principal Clause এবং ১ম অংশে যে Clause Marker আছে সে Clause Marker সহ ডটের(.) এর আগ পর্যন্ত  Sub-ordinate Clause.

যেমনঃ

Unless you come, I shall not go.

এখানে "Unless you come" হচ্ছে Sub-ordinate Clause এবং " I shall not go" হচ্ছে  Principal Clause.

এই  Sub-ordinate Clause থেকেই চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন সবচেয়ে বেশি আসে।এখন Sub-ordinate Clause এর প্রকারভেদ আলোচনা করব কারণে এখান থেকে প্রশ্ন থাকবেই।


➡️ Types of Sub-ordinate Clause:

1) Noun Clause

2) Adjective Clause

3) Adverbial  Clause

এদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা পরের অংশে করব। 

আজকের মতো এখানেই শেষ।


➡️ আমার লেখা ভালো লেগে থাকলে কমেন্ট করে জানান।

আপনাদের কমেন্ট আমাকে লিখতে উৎসাহিত করবে।


Mahmudul Hasan Ripon

Instructor(English)

Bangladesh-China Technical Institute(BCTI)

Bangladesh-China Power Company(Pvt.) Limited.

BA(Hon's),MA(English)

Department of English

University of Dhaka

Identification of Clause & Phrase (Part-01)

 Identification of Clause & Phrase (Part-01)

 Identification of Clause & Phrase (Part-02 Link)








বিগত  কয়েকদিন যাবৎ চাকরি প্রত্যাশী ভাই-বোনদের উদ্যেশ্যে একটা টপিক নিয়ে লিখব ভাবতেছিলাম।আজকে ভাবলাম লিখেই ফেলি। চাকরির পাওয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি ও গণিত বিষয় ২টা কারো জন্য সমস্যা ও কারো জন্য আশীর্বাদ।অনেকেই এই দুই বিষয়কে/দুইটার যে কোন একটা কে স্ট্রং জোন ধরে অর্জন করে নিয়েছে কাক্ষিত চাকরি আবার কেউ কেউ ঝুলে আছে এই দুই বিষয়ের জন্য।আমার নিজের অভিজ্ঞতা অবশ্য ভিন্ন।আমি সাধারণ জ্ঞান পারি না।ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার সময়ও খুব কষ্ট করে অল্প পরিমাণ সাধারণ জ্ঞান পড়েছিলাম চান্স পাওয়ার জন্য।আর এখন জব মার্কেটে এসেও সাধারণ জ্ঞানের একই অবস্থা।যাইহোক কাজের কথায় আসি।কেউ ইংরেজি বা গণিতে পড়লেই যে তারা ইংরেজি বা গণিতে ভালো পারবে বিষয়টা এরকম নয়।তবে কিছুটা ফেভার পাবে এটা স্বাভাবিক।এই দুই বিষয়ে ভালো করার মূল মন্ত্র হচ্ছে অনুশীলন। যে যেই বিষয়েই পড়াশোনা করুক না কেন,এই দুই বিষয়ে যে যত অনুশীলন করবে সে তত ভালো করবে।

আজকে আমি ইংরেজির গুরুত্বপূর্ণ একটা টপিক নিয়ে আলোচনা করব যেটা থেকে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন এসে থাকে, বিশেষ করে বিসিএস প্রিলিতে তো প্রশ্ন থাকবেই কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেরই এই টপিকের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া সমস্যা হয়ে যায়। আমি আশা করছি আমার আলোচনার পরে আপনাদের আর এই টপিকে কোন সমস্যা থাকবে না।

আমি আজকে আলোচনা করব Identification of Clause & Phrase নিয়ে।

তবে প্রথমে আমাদের জানতে হবে Clause  এবং Phrase কি?

তাদের মধ্যে বেসিক পার্থক্য কি?

তারপর আমি দুইটা কে আলাদা আলাদা করে আলোচনা করব।

Clause: Clause হচ্ছে একটি শব্দ গুচ্ছ(Group of words) যার একটি  Subject এবং একটি Finite Verb থাকবে এবং একসাথে বসবে।যেমনঃ

I know that he will come.

এখানে "that" এর দুই পাশে 2টা Clause এবং প্রত্যেক Clasue এর একটি Subject ও একটি Finite Verb আছে।আর এখানে "that" হচ্ছে Clause Marker.

এখন Subject কি তা আমরা সবাই জানলেও Finite Verb ও Clause Marker নিয়ে আমাদের অনেকেরই সমস্যা আছে।

এখানে এগুলো নিয়েও একটু আলোচনা করি।

Subject: Subject হচ্ছে বাক্যের কর্তা।

Verb কে বা কারা দ্বারা প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই Subject.

যেমনঃ

Rana plays football.

কে ফুটবল খেলে?

উঃ রানা,এই রানাই হচ্ছে Subject.

They play football.

কারা ফুটবল খেলে?

উঃ তারা,এই তারা ই হচ্ছে Subject.

Verb প্রধানত দুই প্রকার।যথাঃ

1) Finite Verb(সমাপিকা ক্রিয়া)

2) Non-finite Verb(অসমাপিকা ক্রিয়া)

Finite Verb: যে  Verb দ্বারা বাক্যের  Tense নির্ণয় করা যায় বা যে Verb অন্য Verb এর সাহায্য ছাড়াই বাক্যের অর্থ সমাপ্ত করতে পারে তাই Finite Verb.

যেমনঃ 

She likes me.

এখানে "likes" হচ্ছে Finite Verb এবং এর দ্বারা বাক্যের অর্থও সমাপ্ত হচ্ছে ও এর দ্বারা বাক্যটি কোন Tense তাও আমরা নির্ণয় করতে  পারছি।

Finite Verb চেনার উপায় বা যে কয়ভাবে Finite Verb থাকতে পারে-

1) V1=I do the work.

2)V1+s/es=He does the work.

3)V2=I did the work.

4)Auxiliary Verb+ing=I am doing the work.

5)Auxiliary Verb+ V3=I have done the work.

6)Modal Auxiliary+V1=I shall do the work/ 

I must do the work.

7) Modal Auxiliary +be+V3=The work must be done by me.

Non-finite Verb(অসমাপিকা ক্রিয়া): যে Verb দ্বারা বাক্যের Tense নির্ণয় করা যায় না বা যে Verb Finite Verb এর সাহায্য ছাড়া বাক্যের অর্থ সমাপ্ত করতে পারে না তাকে Non-finite Verb বলে।

যেমনঃ

I want to tell a story.

এখানে "want" finite verb আর  "to tell" হচ্ছে Non-finite Verb."want" এর সাহায্য ছাড়া "to tell" বাক্যের অর্থ সমাপ্তও  করতে পারে না আবার Tense ও নির্ণয় করতে পারে না।

Non-finite Verb চেনার উপায় বা যে কয়ভাবে Non-finite Verb থাকতে পারে-

1) to+v1=I need a pen to give you.(to give)

2) v1+ing=After reading a poem, I shall read a novel.(reading)

3) v3=It is a broken mobile.(broken)

4) having+v3=The thief ran away having taken the bag.(having taken)

*** 2 ও 3 এর আগে Auxiliary আসলে কিন্তু Finite  verb হয়ে যাবে।অর্থাৎ 

1)Infinitive

2) Gerund and 

3) Participle  ই হচ্ছে Non-finite Verb.

Clause Marker: যে word দুটি অর্থ সম্পূর্ণ বাক্যকে সংযুক্ত করে তাকে  Clause Marker বলে।অর্থাৎ Connectors বা Conjuction যখন দুইটি বাক্য কে সংযুক্ত করে তখন তা Clause Marker.

* Connectors বা Conjuction Clause Marker হতে হলে অবশ্যই দুইটি বাক্যকে সংযুক্ত করতে হবে,দুইটি Word কে নয়।

যেমনঃ I know that he will come.

এখানে "that" দুইটি বাক্য "I know" এবং " he will come" কে সংযুক্ত করেছে।তাই "that"  হচ্ছে Clause Marker.

এতক্ষণ শুধু  Clause কি তা আলোচনা করলাম।

তা আলোচনা করতে গিয়ে প্রাসঙ্গিক কিছু টপিক আলোচনা করলাম।

আসুন এখন দেখি Phrase কি?

Phrase: Phrase হচ্ছে একটি শব্দগুচ্ছ(Group of words) যার কোন Subject ও Finite Verb একসাথে থাকে না।অর্থাৎ একাধিক শব্দ যখন একসাথে বসে কোন একটি Parts of speech এর কাজ করে তখন তাকে Phrase বলে।

যেমনঃ

A flying bird

The people of Bangladesh

Man of letters

am doing

Pass away

I saw a flying bird.

এখানে "a flying bird" তিনটি word  মিলে একটি word/parts of speech এর কাজ করেছে। তাই "a flying bird" হচ্ছে phrase

অর্থাৎ একটি phrase হচ্ছে অনেকগুলো word এর সমষ্টি যেখানে Subject ও Finite Verb একসাথে বসবে না।

চলুনএবার দেখি  Clause ও Phrase  এর মধ্যে বেসিক পার্থক্য কি।

Clause ও Phrase এর মধ্যে পার্থক্যঃ

Clause:

1) একগুচ্ছ শব্দ যা একটি পূর্নাঙ্গ বাক্য বা একটি পূর্নাঙ্গ বাক্যের অংশ।

2) Subject ও Finite Verb থাকবে ও একসাথে বসবে।

3) Clause Marker থাকবে।

4) একটি বাক্যে এক বা একাধিক Clause ও Clause Marker থাকতে পারে।

Phrase :

1) একগুচ্ছ শব্দ যা বাক্যে একটি Parts of speech হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

2) Subject ও Finite Verb থাকতে পারে কিন্তু কখনোই একসাথে বসবে না।

 3) Non-finite verb থাকতে পারে। 

4) Clause Marker থাকবে না।

5) একটি বাক্যে এক বা একাধিক Phrase থাকতে পারে।

আমরা এতক্ষণ Clause ও Phrase কি এবং এদের মধ্যে পার্থক্য কি তা জানলাম।

আমাদের Main যে টপিক Identification of Clause & Phrase তা আমরা জানব পরের অংশে। 

আজকের মতো এখানেই শেষ।

সবাইকে ধন্যবাদ।


Mahmudul Hasan Ripon

Instructor(English)

Bangladesh-China Technical Institute(BCTI)

Bangladesh-China Power Company (Pvt.) Limited.

BA(Hon's),MA(English)

Department of English

University of Dhaka