তৎসম , অর্ধতৎসম, তদ্ভব, বিদেশী ও দেশি শব্দগুলো মনে রাখার সহজ পদ্ধতিঃ-

★তৎসম শব্দ★
---------------------------------------------
"হস্ত" এ যদি থাকে "শক্তি"
"চন্দ্র" "সূর্য" "নক্ষত্র" করবে "ভক্তি"।
"ভবনের" "পত্র" "ধর্ম",
"লাভ" "ক্ষতি" "মনুষ্য" "পর্বত" এর "কর্ম"।
"সন্ধায়" করো না "ভোজন" "শয়ন" "গমন"।
---------------------------------------------
★ অর্ধতৎসম শব্দ ★
---------------------------------------------
"গিন্নী" "মাগগী" "জ্যোছনা" "কুৎসিত" "গতর" এ "বোষ্টম" এর বাড়ীতে "নেমন্তন" খেতে যান।
"পুরুত" ও "কেষ্ট" "খিদে" পেয়ে "আদা" খান।
---------------------------------------------
★তদ্ভব শব্দ ★
---------------------------------------------
"আখি" "আজ" করেছে "কাজ",
"মৌ" পরেছে "বিয়ে" র "সাজ"।
"বৌমা" এনেছে "মাছ" "ভাত"।
"মাথা" য় "হাত" ''কান" এ "দাত",
"চাঁদ" 'সই" করা "তদ্ভব" এর "কাজ"।
---------------------------------------------
★ পর্তুগিজ শব্দ ★
---------------------------------------------
"পর্তুগাল" এর "পাদ্রী" সাহেব "চাবি" দিয়ে "গীর্জা" খুলল,
তিনি ১ "বালতি" "আটা" "আনারস" "আলপিন" "পেঁপে" "পেঁয়ারা" "পাউরুটি" "আচার" "সাগু" ও "সালসা" "আলমারি" তে রেখে দিলো।
"বিন্তি" "সাবান" ও "তোয়ালে" নিয়ে "কামরা" য় ঢুকলো। সে ঝর্না ছাড়িয়া তার "কামিজ" এর "বোতাম'' ও "ফিতা" খুলিতে লাগলো। এমন সময় "আতা" "জানালা" য় "টোকা" মারিল।
"কেরানী" ও "আয়া" "বারান্দা" র। ''কেদারা" য় বসে ফালতু মস্করা করে একটি গান গাইলো:-
স্বামী আর "ইস্তিরি"
"পেরেক" মারে "মিস্ত্রি"।
---------------------------------------------
★ তুর্কি শব্দ ★
---------------------------------------------
"বিবি" "বেগম" "কোর্মা" খায়,
"বাবা" "বাহাদুর" দেশ চালায়।
"দারোগা" "বাবু" তাকিয়ে দেখে,
"গালিচা" য় "কুলি" র "লাশ"।
"চাকু" হাতে "বাবুর্চি" তাই দেখে হতবাক।
---------------------------------------------
★ দেশি শব্দ ★
-------------------------------------------
এক গঞ্জের কুড়ি ডাগড় টোপর মাথায় দিয়ে চোঙ্গা হাতে পেটের জ্বালায় চুলা কুলা ডাব ও ডিংগা নিয়ে টং এর মাচায় উঠল।
*** গঞ্জ , কুড়ি, ডাগড়, টোপর, চোঙ্গা,চুলা, কুলা, ডাব, ডিংগা,টং ,মাচা ইত্যাদি।

বিদেশী শব্দ সহজে মনে রাখুন

টেকনিক-১.
জাপানি শব্দঃ
ছন্দ>>> জাপানিরা জুডো, কম্ফু, কারাতে খেলে হারিকেনসহ রিক্সায় করে হাসনাহেনা ফুল নিয়ে প্যাগোডায় যায়, সুনামির ভয়ে সামপানে চড়ে হারিকিরি করে।
(জাপানি শব্দঃ জুডো, কম্ফু, কারাতে, হারিকেন, রিক্সা, হাসনাহেনা, প্যাগোডা,
সুনামি,সামপান, হারিকিরি )

টেকনিক.২.
ছন্দ>>>গুজরাটি শব্দঃ
গুজরাটিরা হরতাল এর দিন কোন জয়ন্তী হলে খদ্দর পরে।
(গুজরাটি শব্দঃ হরতাল,জয়ন্তী, খদ্দর পরে।)

টেকনিক-৩.
এক তুর্কি উজবুক দারোগা তোপের বসে তার কুলি ও চাকরকে মুচলেকা দিয়ে বলল যদি জঙ্গলে গিয়ে চাকু ও কাচি দিয়ে লাশ কাটতে পার তবে আমার বাবুর্চি তোমাদের চকমক কোর্মা রেধে খাওয়াবে।
তুর্কি শব্দঃ উজবুক, দারোগা, তোপ, কুলি, চাকর, মুচলেকা, জঙ্গল, চাকু, কাচি, লাশ, বাবুর্চি, চকমক, কোর্মা ।

টেকনিক-৪.
ফরাসি বুর্জোয়ারা আঁতাত করলেও কুপন ছাড়া ফিরিঙ্গির মত কার্তুজ নিয়ে রেস্তোরা, ক্যাফে ডিপোতে প্রবেশ করে না।
ফরাসি শব্দঃ বুর্জোয়া, আঁতাত, কুপন, ফিরিঙ্গি, কার্তুজ, রেস্তোরা, ক্যাফে, ডিপো

টেকনিক-৫.
ওলন্দাজরা হরতন রুইতন ইস্কাপন
ও টেক্কাদিয়ে তাসে তুরুপ মারে।
ওলন্দাজ শব্দঃ হরতন, রুইতন, ইস্কাপন, ও টেক্কা, তাস, তুরুপ

যেভাবে নিবেন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রস্তুতিঃ

প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে কয়েকটি বিষয়ের উপর। বিষয় গুলো হচ্ছে বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান। মোট ১০০ টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর কাটা যাবে। অর্থাৎ দুইটি উত্তর ভুল হলেই প্রাপ্ত নম্বর থেকে ১ নম্বর কাটা যাবে।

আপনাকে প্রতিটি বিষয়ের জন্যই আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই প্রস্তুতি নিতে হবে ভালভাবে। কোন অবহেলা করা যাবেনা। কারন আপনাকে কয়েক লক্ষ প্রার্থীর সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে আর একটি চাকরির সাথে আপনার জীবন ও ভবিষ্যৎ জড়িত।

কি কি পড়বেন ও কিভাবে পড়বেন-
বাংলাঃ
প্রথমেই আসি বাংলা নিয়ে। বাংলা অংশে ব্যাকরণের ওপর বেশি জোর দিতে হবে। অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড প্রণীত ব্যাকরণ বইয়ের সব অধ্যায় উদাহরণসহ ভালোভাবে পড়তে হবে। জানতে হবে কবি-সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম ও জীবনী সম্পর্কে। এসএসসি বোর্ড বইয়ের লেখক পরিচিতি বা সাহিত্যিক পরিচিতি অংশ পড়লে অনেকটা সহায়ক হবে। ব্যাকরণ থেকে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, সন্ধি বিচ্ছেদ, কারক, বিভক্তি, উপসর্গ, অনুসর্গ, ধাতু, সমাস, বানান শুদ্ধি, পারিভাষিক শব্দ, সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ থেকে প্রশ্ন আসে।

সাহিত্য অংশ থেকেও অনেক প্রশ্ন আসে। সাহিত্য অংশে গল্প বা উপন্যাসের রচয়িতা, কবিতার লাইন উল্লেখ করে কবির নাম থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। ছদ্মনাম, পত্রিকার নাম, সম্পাদকের নাম পড়তে হবে। এই সব গুলো বিষয় যে কোন গাইডে গুছিয়ে দেওয়া আছে। সেখান থেকে পড়তে পারেন।

ইংরেজিঃ
ইংরেজি অংশে অনেকেই দূর্বল থাকে। তবে এটা কঠিন কিছু না। ইংরেজি গ্রামারের Right forms of verb, Tense, Preposition, Parts of Speech, Voice, Narration, Spelling, Sentence Correction- থেকে প্রশ্ন আসে। Advance Learners by Chowdhury and Hossain বা অন্য যে কোন গ্রামার বই থেকে গ্রামারের এই টপিকস গুলো উদাহরণসহ পড়ুন। মুখস্থ করতে হবে Phrase and Idoims, Synonym, Antonym। ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ ও বাংলা থেকে ইংরেজিতে ট্রান্সলেশন ও পড়তে হবে। ২০১৫-১৯ সালের বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করতে পারেন।

গণিত :
এই অংশে মার্কস পাওয়া তুলনামূলক ভাবে সহজ। প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা গণিত প্রাকটিস করা দরকার। পাটিগণিতের পরিমাপ ও একক, ঐকিক নিয়ম, অনুপাত, শতকরা, সুদকষা, লাভক্ষতি, ভগ্নাংশ থেকে প্রশ্ন আসে। বীজগণিতের সাধারণ সূত্রাবলী থেকে প্রশ্ন থাকে। মুখে মুখে ও সূত্র প্রয়োগ করে সংক্ষেপে ফল বের করার প্র্যাকটিস করতে হবে। যাতে প্রশ্ন দেখামাত্রই সূত্র প্রয়োগ করে ফল বের করা যায়। জ্যামিতির জন্য ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বর্গক্ষেত্র, রম্বস, বৃত্ত ইত্যাদির সাধারণ সূত্র ও সূত্রের প্রয়োগ প্রাকটিস করবেন। মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্যবই যেমন অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণির গণিত বই অনুসরণ করলে ভালো হবে। এছাড়া যে কোন গাইড বইয়ের গণিত অংশটুকু ভাল ভাবে করলেই হবে।

সাধারণ জ্ঞানঃ
বাংলাদেশ বিষয়াবলী থেকে প্রশ্ন বেশি আসে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষা, ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ, ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ু, সভ্যতা ও সংস্কৃতি, বিখ্যাত স্থান, বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা, অর্থনীতি, বিভিন্ন সম্পদ, জাতীয় দিবস থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।

আর আন্তর্জাতিক অংশে বিভিন্ন সংস্থা, দেশ, মুদ্রা, রাজধানী, দিবস, পুরস্কার ও সম্মাননা, খেলাধুলা থেকে প্রশ্ন থাকে।

সাম্প্রতিক বিষয়ের জন্য মাসিক কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স অবশ্যই পড়বেন।

কম্পিউটার ও আইসিটি থেকেও প্রশ্ন থাকে। আপনি কম্পিউটার ও আইসিটির বেসিক বিষয় গুলো ভালভাবে আয়ত্ব করবেন।

বিজ্ঞান, আইসিটি ও কম্পিউটার এর জন্য ২০১৫-১৯ সালের বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন গুলো ভালভাবে পড়লে বেশ কিছু কমন পেতে পারেন।

এইভাবে পড়লে আশা করি আপনি সরকারি যে কোন চাকরির প্রিলিতে ভাল নম্বর পেয়ে প্রিলিমিনারি পাস করতে পারবেন। তবে আপনি চাইলে যিনি আরো ভাল জানেন বা নিজের পরামর্শ অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারেন। তবে যেভাবেই নেন না কেন আপনাকে পড়তে হবে পরিশ্রম করতে হবে। ৩০ বছর যে চাকরি করে আপনার জীবন চলবে সেই চাকরির জন্য অন্তত দৈনিক ৬-৮ ঘণ্টা করে পড়ালেখা করুন। পারলে আরো বেশি সময় দিন।

পড়ুন, পরিশ্রম করুন, প্রার্থনা করুন এবং পড়ুন। আপনি যদি ভালভাবে পড়েন সেটা কোন না কোন জবে ঠিকই কাজে লাগবে। পড়ালেখা কখনো বৃথা যায় না। কোন না কোন ভাবে এর সুফল আপনি পাবেনই। ভাল প্রস্তুতির মাধ্যমেই ভাল পরীক্ষা দেওয়া যায়। আর পরীক্ষা ভাল হলে জব হওয়াটা সহজ। যারা নেগেটিভ কথা বলবে তাদের থেকে দূরে থাকুন। ভাল থাকবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

মোঃ হামিদ পারভেজ
সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি)
৩৪ বিসিএস নন ক্যাডার
দৌলতখান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ভোলা।
(৩ বার কলেজ নিবন্ধনে কোয়ালিফাইড)