“যে জাতি তার ইতিহাস জানে না, সে জাতি কখনো উন্নতি লাভ করতে পারে না।”

ইতিহাস জানা মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য বিষয়: এজন্যই বিধর্মীরা মুসলমানদের ইতিহাসগুলো ঢেকে রাখার চেষ্টা করে এবং ইতিহাসগুলো বিকৃত করে দেয়
কথিত আছে- “যে জাতি তার ইতিহাস জানে না, সে জাতি কখনো উন্নতি লাভ করতে পারে না।” আজকের মুসলমানদের হীনম্মন্যতার একটা কারণ হচ্ছে, মুসলমান তাঁদের ইতিহাস সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়, এমনকি কাফির-মুশরিকদের দ্বারা প্রভাবিত কোনো মুসলিম দেশেই শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে মুসলমানদের ইতিহাস নিয়ে অধ্যায়ন করার ভালো কোনো সুযোগ নেই। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত আমাদের এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায়ও ইসলামী সঠিক ইতিহাস সিলেবাসে নেই। কোনো সন্দেহ নেই, এটা মুসলমানদের উত্থান ঠেকানোর জন্য কাফির মুশরিকদের মাস্টার প্ল্যানসমূহের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যার কারণে দেখা যায় মুসলমানদের সোনালী যুগের ইতিহাস, বিজয়গাঁথা কোন ইতিহাস সিলেবাসের কোনো বই পুস্তকে পাওয়া যায় না। তবে যে সমস্ত বিষয় খুব বেশি মশহুর সেগুলো বিকৃত করে, অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যা কাহিনী রচনা করে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু মুসলমানরা ইতিহাস জ্ঞানশূন্য হওয়ায় তা ধরতে পারে না অথবা যারা ধরতে পারে তারা প্রতিবাদ করে না। ফলে মুসলমানদের পরবর্তী প্রজন্ম কাফিরদের বানানো বিকৃত ইতিহাস থেকেই শিক্ষা নিয়ে ঈমানী চেতনাশূন্য হয়েই বড় হয়। নাঊযুবিল্লাহ!




উল্লেখ্য, এ উপমহাদেশে মুসলমানদের ইতিহাস বিকৃতির মূলে রয়েছে হিন্দুরা। হিন্দুরা এ সব অঞ্চলে মুসলমানদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্ব, যারা হিন্দুদের চক্রান্ত ধ্বংস করে দিয়েছিলো তাদের ইতিহাস বিকৃত বেশি করেছে। যেমন:
(১) হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি দ্বিতীয় সহস্রাব্দের মুজাদ্দিদ। (২) হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলবী রহমতুল্লাহি তিনি ওই যামানার মুজাদ্দিদ ছিলেন এবং উনার লিখিত কিতাবের কারণেই এ উপমহাদেশে মুসলমানরা কাফিরদের চক্রান্ত থেকে রক্ষা পায়। (৩) হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি তিনি মুজাদ্দিদ ছিলেন। উনার মাধ্যমে এ উপমহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন মুসলমানরা। উনাদের নিয়ে হিন্দুরা অনেক মিথ্যা কাহিনী তৈরি করে ইতিহাস বানিয়েছে। (৩) হযরত মীর নিসার আলী তীতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ব্রিটিশ বিরোধী জিহাদে শহীদ হন। উনাকে নিয়েও ইতিহাস বিকৃতি কম হয়নি। (৪) মোঘল বাদশাহ হযরত আলমগীর আওরঙ্গজেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একজন ওলীআল্লাহ এবং মুসলমানদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। (৫) ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী তিনি হিন্দু রাজা লক্ষণ সেনকে পরাজিত করেন। (৬) সুলতান মাহমুদ গজনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ভারতের যালিম মুশরিকদের বিরুদ্ধে ১৭ বার অভিযান পরিচালনা করেন, ১৭ বারই বিজয় লাভ করেন। (৭) মুহাম্মদ বিন কাসিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মাত্র ১৭ বছর (কিশোর) বয়সে ভারতের ক্ষমতাধর অত্যাচারী, লুণ্ঠনকারী শাসক রাজা দাহিরকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন।
মুসলমানদের উচিত এসকল বিশেষ ব্যক্তিত্ব উনাদের সম্পর্কে বেশি করে জানা এবং উনাদের বিরুদ্ধে যে কোনো অপ্রচারের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়া।

No comments:

Post a Comment