৪০তম বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি
আন্তর্জাতিক
ডেটন চুক্তি থেকে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় বহুবার প্রশ্ন এসেছে চলুন দেখে রাখি
ডেটন চুক্তি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নািস জার্মানির পরাজয়ের পর নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার যুদ্ধ ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে আর কোনো যুদ্ধে এমন নৃশংসতা দেখা যায়নি। বসনিয়ার যুদ্ধে নিহত হন এক লাখেরও বেশি মানুষ। সে দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছিল এক ‘অসম’ শান্তিচুক্তির হাত ধরে। ১৯৯৫ সালের ২১ নভেম্বর সই হয় ‘জেনারেল ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট ফর পিস’ শীর্ষক সেই শান্তিচুক্তি, যা ‘ডেটন চুক্তি’ নামে পরিচিত।
আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় প্যারিসে ১৯৯৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর। চুক্তি স্বাক্ষরকারীরা হলেন—ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট ফ্রানজো তুজমান, সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচ (যাঁকে পরে হেগে ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল) এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট এলিজা আইজেেবগোভিচ। চুক্তিতে বলা হয়, চুক্তি সইকারী পক্ষগুলো পরস্পরকে স্বীকৃতি দেবে, জাতিগত ঐক্য বজায় রাখবে, একে অপরের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে এবং শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সবাই মধ্যস্থতা করবে। জাতিসংঘের মধ্যস্থতাও মেনে নেবে এমন শর্ত রাখা হয় চুক্তিতে।
নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে যুগোস্লাভিয়া ভেঙে যাওয়ার পর ১৯৯২ সালে বসনিয়া যুদ্ধের সূচনা। এটি ছিল মূলত জাতিগত লড়াই। যা সংঘটিত হয় মুসলিম বসনীয়, অর্থোডক্স সার্বীয় ও ক্রোয়েশীয় ক্যাথলিকদের মধ্যে। মূল লক্ষ্য ছিল ওই অঞ্চল থেকে মুসলমানদের পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। যদিও বসনিয়া ও হারজেগোভিনা ছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র, যার মোট জনগোষ্ঠীর ৪৪ শতাংশ মুসলিম বসনীয়, ৩১ শতাংশ অর্থোডক্স সার্বীয়, এবং ১৭ শতাংশ ক্রোয়েশীয় ক্যাথলিক। শুরুতে যুগোস্লাভিয়া তিন টুকরো হলেও এখন সেখানে ছয়টি দেশ।
.
সূত্র : কালের কণ্ঠ
No comments:
Post a Comment