যেভাবে চাকুরীর পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করবেন

...যেভাবে চাকুরীর পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করবেন...
.
আপনাকে প্রথমেই মনে রাখতে বাছাই পরীক্ষা একটি ম্যাজিক গেম,
এখানে আপনি প্রচুর প্রস্তুতি থাকার পরও
পাস নাও করতে পারেন আবার প্রস্তুতি কম থাকার পরও
পাস করতে পারেন। তাই আমার পক্ষ থেকে...
..
আপনাদের জন্য কিছু টিপসঃ
..
পরীক্ষার জন্য সহজ চিন্তা করুন, প্রস্তুতিও তত সহজ হবে।
পরীক্ষার জন্য যত বেশী জটিল চিন্তা করবেন ,
প্রস্তুতি নেওয়াও তত কঠিন হবে। পরিকল্পনা করে পড়ুন,
নিজস্ব সাজেশান করুন,
.
বাছাই পরীক্ষায় যেসব বিষয়ে প্রস্তুতি নিবেন---
"..বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, সাধারণ বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি.."
_______________________
কিভাবে প্রস্তুতি শুরু করবেনঃ-
পরিকল্পনা করে পড়ুন, নিজস্ব সাজেশান করুন
প্রিলিমিনারি পাস নিশ্চিত।
কোন কোন বিষয় আগে প্রস্তুতি নিবেন তা নিন্মে
সিরিয়াল অনুযায়ী উল্লেখ করলাম.....
.
১) সাধারণ বিজ্ঞান
২) কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
৩) বাংলাদেশ বিষয়াবলি
৪) আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
৫) গণিতিক যুক্তি
৬) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
৭) ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য
..
১) সাধারণ বিজ্ঞানঃ-
___আমার মতে আপনি বিজ্ঞান বিষয় প্রথমে পড়া শুরু করবেন। এই বিষয় থেকে আপনি ভালো মার্ক কমন পাবেন। আর এই বিষয়ের প্রশ্ন হুবহু কমন আসে। বিজ্ঞান বিষয় পড়ার জন্য বোকার মত সকল শ্রেণির বই মুখস্ত করার দরকার নেই, যেখানে রেডিমেট প্রশ্ন ও উত্তর পাওয়া যায় সেখানে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না। বিজ্ঞান বইয়ের জন্য দেখুনঃ ওরাকল প্রিলিমিনারি বিজ্ঞান বা MP3 বিজ্ঞান । সেই বিষয় পড়তে হবে যেই সব প্রশ্নগুলো বিগত বছরে এসেছে সেইসব প্রশ্নগুলো অর্থাৎ ওরাকল প্রিলিমিনারি বিজ্ঞান বা MP3 বিজ্ঞান বইয়ের মধ্যে যেই সকল রিয়েল প্রশ্ন দেয়া (ক্যাডার ও নন ক্যাডার) আছে সেইসব গুলো ।
.
২) কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিঃ-
____বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির উপর যেসকল প্রশ্ন এসেছে শুধু তাই পড়বেন, এর বাহিরে দেখার দরকার নেই । কম্পিউটার থেকে নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নই ঘুরেফিরে আসে। সর্বসাকুল্যে ১০০ প্রশ্নের উত্তর জানলে আপনি কমন পাবেন।
.
(৩+৪) বাংলাদেশ বিষয়াবলি + আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিঃ
____বাংলাদেশ বিষয়াবলি + আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি খুব গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশ্ন কমন পাওয়ার বিষয় । এতে আপনি বেশীরভাগ প্রশ্নই কমন পাবেন !! এই বিষয়ে পড়ার জন্য “আজকের বিশ্ব” বা “নতুন বিশ্ব” এই জাতীয় বই না পড়ে বরং জব সল্যুশন থেকে সব গুলো নোট করে পড়তে পারেন। কারণ “আজকের বিশ্ব” বা “নতুন বিশ্ব” এই সব বইয়ের মধ্যে যত তথ্য আছে তা আপনি মুখস্ত করে ধরে রাখতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে, আবার কষ্ট করে মুখস্ত করলেন দেখবেন আপনি হলে গিয়ে তথ্যের ঠ্যালায় উত্তর দিতে গিয়ে বিভ্রান্ত হবেন। আর যারা জব সল্যুশন থেকে সব গুলো নোট করে পড়েছেন তাঁরা সবচেয়ে বেশী সঠিক উত্তর দিয়েছেন। কারণ আপনি যখন জব সল্যুশন পড়বেন তখন আপনি নিজেই আবিষ্কার করে ফেলবেন কিভাবে প্রশ্ন করে আর কোন ধরনের প্রশ্ন পরীক্ষায় বারবার আসে। জব সলুশন পড়ার সময় বিষয় অনুযায়ী নোট করবেন । যেমন যখন বিজ্ঞান পড়বেন তখন প্রথম থেকেই জব সল্যুশন এর শুধু বিজ্ঞানের প্রত্যেকটা প্রশ্ন উত্তর এক লাইনে লিখবেন । আবার যখন ঐ প্রশ্নটা রিপিট পাবেন তা আর লিখতে হবে না । এই ভাবে পুরো বিজ্ঞান টা একটা খাতায় ক্রমিক নং অনুযায়ী ১,২,৩,৪,…… করে নোট করে নিবেন এরপর জব সলুশন না খুলে শুধু ঐ খাতাটা পড়বেন । এতে করে বারবার জব সলুশন এর পৃষ্ঠা উল্টানো লাগবেনা । আর খুব সহজেই কয়েকদিনের মধ্যে বিজ্ঞান শেষ করে পেলতে পারবেন । এই ভাবে সব বিষয় নোট করবেন , এতে করে আপনি নিজেই নিজের জন্য প্রিলিমিনারি ডাইজেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন । সাধারণ জ্ঞান এর জন্য দেখুনঃ জব সলুশন + ১০-৩৪ এর বিসিএস প্রশ্ন + কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স । সাধারন জ্ঞানের জন্য কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স যতই পড়েন দেখবেন ২/৪ টা প্রশ্ন কমন পরেনি।যে কারনে যারা পড়ার পেছনে যথেষ্ট সময় দেন না তারা ২/৪ টা প্রশ্নের জন্য কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পিছনে সময় ব্যয় করবেন না।
(পুনশ্চ জব সল্যুশন থেকে পড়তে হবে সকল ক্যাডার ও নন ক্যাডার প্রশ্ন অর্থাৎ শুধু বিসিএস নয় সকল পরীক্ষার প্রশ্ন দেখতে হবে।প্রতিদিন ১ টি করে প্রশ্ন কমপ্লিট করলে মাসে ৩০ টি। এর পরে দেখবেন একই প্রশ্ন রিপিট হচ্ছে। অর্থাত পরবর্তীতে প্রতিদিন ২টি প্রশ্ন পড়তে পারবেন।)
.
৫) গাণিতিক যুক্তি :
___ এই বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আপনি গণিত বই সমাধান চ্যাপ্টার অনুযায়ী করবেন । তাহলে আপনি গণিতের প্রশ্নের ধরণ টা খুব সহজেই আবিষ্কার করতে পারবেন , বুঝতে পারবেন গণিত প্রশ্ন কিভাবে করে ! গণিত এ ভালো করার জন্য ক্যালকুলেটর এর ব্যাবহার না করেই কিভাবে গণিত যাতে গণিত করা যায় সেজন্য অনুশীলন করে রাখুন। গাণিতের জন্য অ্যাসিওরেন্স এর গণিত দেখতে পারেন। আরেকটি বই কিনবেন শর্টকাট ফরমুলা শেখার জন্য তা হল এক্সক্লুসিভ ম্যাথ , মধুমতি
প্রকাশনির বা আপনার পছন্দের যেকোন বই।
.
৬) বাংলা ভাষা ও সাহিত্যঃ
_____ এই বিষয়ের জন্য একটু কষ্ট করতে হবে, কারন এই বিষয়ে ভুল করার বা ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বেশি !!! ভালো প্রস্তুতি নেয়ার জন্য সহজ পন্থা হচ্ছে জব সল্যুশন থেকে নোট করে পড়তে হবে সকল ক্যাডার ও নন ক্যাডার প্রশ্ন অর্থাৎ শুধু বিসিএস নয় সকল পরীক্ষার প্রশ্ন দেখতে হবে।
সাথে MP3 বাংলা থেকে সব কিছু পড়তে হবে । অনেকেই বাংলার উপন্যাস, কবিতা, ইত্যাদি জন্য সৌমিত্র শেখরের সাহিত্য জিজ্ঞাসা পড়েন এটি আমি সমর্থন করিনা কারণ পরীক্ষার সময় মাথা কাজ করে না কারণ মাথায় তখন অনেক উত্তর ঘুর ঘুর করে, যেমন উত্তর কি এইটা না ওইটা ! আমার অত্যন্ত প্রিয় এবং শ্রদ্ধাভাজন স্যারের সাহিত্য জিজ্ঞাসা হচ্ছে একধরনের ডিকশনারী । এতে প্রত্যেক লেখকের প্রায় সব সাহিত্য কর্মের নাম সাল দেওয়া আছে। যা আপনার গবেষণা বা লেখালেখি তে সহায়তা করবে, কিন্তু বাছাই পরীক্ষা কারো পাণ্ডিত্য দেখানোর জায়গা নয়, সেখানে আপনি যতই জ্ঞানী লোক হন কোন লাভ নেই আপনি ফেল যদি না আপনি কাট মার্ক এর নাম্বার না পান। তাই আপনার দরকার বাছাই পরীক্ষা পাস , আর পাস করার জন্য দরকার সবচেয়ে বেশী প্রশ্ন কমন পাওয়া ও সঠিক উত্তর দেওয়া। আর আপনি প্রশ্ন কমন পেলেন কিন্তু বিভ্রান্ত হয়ে ভুল উত্তর দিলেন বা দিতে পারলেন না তা হলে সৌমিত্র স্যারের সাহিত্য জিজ্ঞাসা পড়ে কি লাভ ?
.
৭) ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যঃ
____ ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য এই বিষয়ের জন্য একমাত্র পরামর্শ হচ্ছে English for competitive exam, professor.
এই বই থেকে প্রায় সব কমন পাবেন । বিশেষ করে রিয়েল প্রশ্ন একটিও বাদ দিবেন না । Vocabulary শুধুমাত্র জব সলুশনে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নে যা পাবেন সেগুলো নোট করে পড়বেন। ইংরেজি সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য নির্দিষ্ট কিছু বই এবং লেখকের নাম মুখস্ত করুন।
*********************************************
****************
*********************************************
***************
বিঃদ্রঃ-
কাল থেকে নয় আজ থেকেই পড়া শুরু করুন।
মনে করুন আপনি এর আগে কিছুই পড়েননি।
অাজ থেকে আপনার পথচলা শুরু।
আজ যদি শুরু না করেন মনে রাখবেন
আপনি গন্তব্যে একদিন পরে পৌছাবেন।
আর ততক্ষনে আপনার বন্ধুরা অলরেডি পৌছে গেছে।
.
কোনভাবেই আশাহত হবেন না।
মনে রাখবেন ১টা গ্লাসে অর্ধেক গ্লাস পানি থাকলে
আশাবাদীরা বলে গ্লাসটা অর্ধেক পূর্ন। আর
নৈরাশ্যবাদীরা বলে গ্লাসটার অর্ধেক খালি।
আমি মনেকরি আপনারা সবাই প্রথম দলের সদস্য।
আসুন তবে শুরু করা যাক আমাদের অভিযান।
শুভকামনা সবার জন্য এবং
সবাই কে অভিনন্দন
___________________________________________
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
:::::::::::::::::::::
ফেসবুক এর বিভিন্ন গ্রুপ থেকে MCQ প্রশ্ন
পড়ার জন্য চেষ্টা করবেননা এতে আপনি সময় নষ্ট ছাড়া
আর কিছুই পাবেন না। কারন যতক্ষণ আপনি ফেসবুক এর
বিভিন্ন গ্রুপ থেকে এই ধরণের আতলামি করবেন
ততক্ষণ যদি বই থেকে পড়েন তাহলে ৫০টি প্রশ্ন
বেশি শিখতে পারবেন। আবার কোন ধরণের
সফটওয়্যার কিনে কম্পিউটার থেকে
পড়ার চেষ্টা করবেন না।
তবে হ্যা, ফেসবুকের গ্রুপ টা মাঝে মাঝে অনেক কাজে আসে
আপনি যদি শুধু সেই তথ্যমূলক পোষ্ট গুলো
শেয়ার করে টাইম লাইনে রাখেন, সে ক্ষেত্রে ফেসবুক টা
আপনাকে অনেক উপকার করবে...!

No comments:

Post a Comment