প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভাল করার কৌশলঃ নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন (পর্ব ২)
অভিজিৎ বসাক
বিসিএস( প্রশাসন)
৩৩তম বিসিএস
বিসিএস( প্রশাসন)
৩৩তম বিসিএস
গত পর্বে আমরা নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন নিয়ে কিছু প্রাথমিক আলোচনা করেছিলাম। পাশাপাশি কোন বিষয়গুলো শিখবেন আর কোন বই থেকে শিখবেন সেটা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজকে আমরা কোন বিষয়গুলো থেকে বেশি প্রশ্ন করা হয় এবং কোন বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব দিয়ে শিখতে হবে সেটা নিয়ে আলোচনা করব।
কোন বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ
মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি, সুশাসন, নৈতিকতা, বিভিন্ন ধরণের রাজনৈতিক পন্থা, বিভিন্ন ধরণের মূল্যবোধ(ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয়) এই সংজ্ঞাগুলো থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি। নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন সম্পর্কিত বিভিন্ন টার্ম, কিছু পরিভাষা থেকেও প্রশ্ন হয়ে থাকে। তাই গুরুত্বপূর্ণ টার্ম এবং কিছু ইংরেজি শব্দের সঠিক পরিভাষা অবশ্যই শিখতে হবে। জাতিসংঘের Earth Summit, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার Declaration এগুলোতে কিছু আন্তর্জাতিকভাবে পালনীয় প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করা হয়। এসব Declaration গুলো থেকে প্রশ্ন হতে পারে। ৩৫ তম বিসিএস এ Johannesburg Plan fo Implementation থেকে প্রশ্ন দেওয়া হয়েছিল। তাই এই ধরণের বিষয় অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে শিখতে হবে। পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে আমাদের কিছু দায়িত্ব কর্তব্য থাকে, এগুলো থেকেও প্রশ্ন আসতে পারে। এই বিষয়গুলো বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যবইতে দেওয়া থাকে। এগুলো একবার ঝালাই করে নিতে হবে।
বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে আপনি যোগদান করবেন, তাই সামাজিক ও অর্থনৈতিক উনয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ, বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা এগুলো অবশ্যই জানতে হবে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য(Millennium Development Goals) সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকাটা জরুরী। বিগত বছরের পরীক্ষাতে এটি থেকে প্রশ্ন এসেছে। নৈতিকতা ও সুশাসনের প্রভাব বিশেষ করে জাতীয় উন্নয়ের ক্ষেত্রে কি কি প্রভাব রাখতে পারে এটি অবশ্যই ভালমতো শিখবেন। আর এগুলোর অভাবের ফলে কি কি সমস্যা হতে পারে সেগুলোও শিখতে হবে। এই বিষয়গুলো একবার দেখে নিলেই মনে রাখতে পারবেন। কিন্তু তারপরও একাধিকবার করে পড়তে হবে। কারণ অনেক সময় বিভিন্ন অপশন দেখে কনফিউশন হতে পারে। আর MCQ পরীক্ষাতে কোন রকম কনফিউশন নিয়ে উত্তর দেওয়া যাবে না। তাই এই বিষয়গুলো আপনার কাছে সহজ লাগলেও একাধিকবার করে পড়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য মনে রাখতে হবে।
কিছু কিছু প্রচলিত সামাজিক মূল্যবোধ থাকে, কিছুটা প্রবাদ বাক্যের মত। এগুলো একটু দেখে রাখবেন। এগুলো থেকেও প্রশ্ন হতে পারে। সুশাসন এবং মূল্যবোধের বিভিন্ন উপাদানগুলো দেখে রাখবেন। প্রত্যেকের ব্যক্তিগত মূল্যবোধ আলাদা হতে পারে, কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি দেশের নির্দিষ্ট কোন মূল্যবোধ থাকতে পারে। আর দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও এটি নির্দিষ্ট হতে পারে। এই বিষয়গুলো থেকে প্রশ্ন হয়। তাই এগুলো অবশ্যই জানতে হবে।
অপসংস্কৃতি থেকে একটু বিস্তারিতভাবে শিখতে চেষ্টা করবেন। কারণ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কোন গ্রহণীয় সংস্কৃতির পাশাপাশি যেকোনো ধরণের অপসংস্কৃতি প্রবেশ করাটাও অনেক সহজ। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য এই জিনিসগুলো অনেকে ঋণাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্বের বর্তমান সময়ের দার্শনিক ও চিন্তাবিদদের মতে আমরা এখন প্রযুক্তির বয়ঃসন্ধিকাল পার করছি। ফলে এই সময়টায় অপসংস্কৃতির মত বিষয়গুলো অনেক জোরালো প্রভাব ফেলতে পারে। দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসসহ অন্যান্য অপরাধ আমাদের দেশ অনেকাংশে দূর করতে পেরেছে। এগুলো উত্থান ও বিলিন হবার কারণগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো থেকে প্রিলির পাশাপাশি ভাইভাতেও প্রশ্ন হতে পারে।
মানুষের জীবনাচরণ, সামাজিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস, পারিবারিক ও দেশীয় ঐতিহ্য, বিভিন্ন ঘটনা ও জিনিসের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের মূল্যবোধ তৈরি করে। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। বইয়ের পাঠ দেখে এগুলো শেখার চেয়ে যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতাই এসব ক্ষেত্রে বেশি সহায়ক হয়। আমার মতে বইয়ের পাঠ নেবার পাশাপাশি নিজের মূল্যবোধের সমন্বয় ঘটিয়ে এই বিষয়টিতে উত্তর দেওয়া উচিত।
সবশেষে একটি বিষয় উল্লেখ করছি- নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসনের ক্ষেত্রে কনফিউজড হয়ে কোন উত্তর দেবেন না। ভুল হবার সম্ভাবনাই বেশি। সময়কে কাজে লাগিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যান। সফলতা আসবেই।
মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি, সুশাসন, নৈতিকতা, বিভিন্ন ধরণের রাজনৈতিক পন্থা, বিভিন্ন ধরণের মূল্যবোধ(ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয়) এই সংজ্ঞাগুলো থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি। নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন সম্পর্কিত বিভিন্ন টার্ম, কিছু পরিভাষা থেকেও প্রশ্ন হয়ে থাকে। তাই গুরুত্বপূর্ণ টার্ম এবং কিছু ইংরেজি শব্দের সঠিক পরিভাষা অবশ্যই শিখতে হবে। জাতিসংঘের Earth Summit, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার Declaration এগুলোতে কিছু আন্তর্জাতিকভাবে পালনীয় প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করা হয়। এসব Declaration গুলো থেকে প্রশ্ন হতে পারে। ৩৫ তম বিসিএস এ Johannesburg Plan fo Implementation থেকে প্রশ্ন দেওয়া হয়েছিল। তাই এই ধরণের বিষয় অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে শিখতে হবে। পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে আমাদের কিছু দায়িত্ব কর্তব্য থাকে, এগুলো থেকেও প্রশ্ন আসতে পারে। এই বিষয়গুলো বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যবইতে দেওয়া থাকে। এগুলো একবার ঝালাই করে নিতে হবে।
বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে আপনি যোগদান করবেন, তাই সামাজিক ও অর্থনৈতিক উনয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ, বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা এগুলো অবশ্যই জানতে হবে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য(Millennium Development Goals) সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকাটা জরুরী। বিগত বছরের পরীক্ষাতে এটি থেকে প্রশ্ন এসেছে। নৈতিকতা ও সুশাসনের প্রভাব বিশেষ করে জাতীয় উন্নয়ের ক্ষেত্রে কি কি প্রভাব রাখতে পারে এটি অবশ্যই ভালমতো শিখবেন। আর এগুলোর অভাবের ফলে কি কি সমস্যা হতে পারে সেগুলোও শিখতে হবে। এই বিষয়গুলো একবার দেখে নিলেই মনে রাখতে পারবেন। কিন্তু তারপরও একাধিকবার করে পড়তে হবে। কারণ অনেক সময় বিভিন্ন অপশন দেখে কনফিউশন হতে পারে। আর MCQ পরীক্ষাতে কোন রকম কনফিউশন নিয়ে উত্তর দেওয়া যাবে না। তাই এই বিষয়গুলো আপনার কাছে সহজ লাগলেও একাধিকবার করে পড়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য মনে রাখতে হবে।
কিছু কিছু প্রচলিত সামাজিক মূল্যবোধ থাকে, কিছুটা প্রবাদ বাক্যের মত। এগুলো একটু দেখে রাখবেন। এগুলো থেকেও প্রশ্ন হতে পারে। সুশাসন এবং মূল্যবোধের বিভিন্ন উপাদানগুলো দেখে রাখবেন। প্রত্যেকের ব্যক্তিগত মূল্যবোধ আলাদা হতে পারে, কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি দেশের নির্দিষ্ট কোন মূল্যবোধ থাকতে পারে। আর দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও এটি নির্দিষ্ট হতে পারে। এই বিষয়গুলো থেকে প্রশ্ন হয়। তাই এগুলো অবশ্যই জানতে হবে।
অপসংস্কৃতি থেকে একটু বিস্তারিতভাবে শিখতে চেষ্টা করবেন। কারণ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কোন গ্রহণীয় সংস্কৃতির পাশাপাশি যেকোনো ধরণের অপসংস্কৃতি প্রবেশ করাটাও অনেক সহজ। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য এই জিনিসগুলো অনেকে ঋণাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্বের বর্তমান সময়ের দার্শনিক ও চিন্তাবিদদের মতে আমরা এখন প্রযুক্তির বয়ঃসন্ধিকাল পার করছি। ফলে এই সময়টায় অপসংস্কৃতির মত বিষয়গুলো অনেক জোরালো প্রভাব ফেলতে পারে। দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসসহ অন্যান্য অপরাধ আমাদের দেশ অনেকাংশে দূর করতে পেরেছে। এগুলো উত্থান ও বিলিন হবার কারণগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো থেকে প্রিলির পাশাপাশি ভাইভাতেও প্রশ্ন হতে পারে।
মানুষের জীবনাচরণ, সামাজিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস, পারিবারিক ও দেশীয় ঐতিহ্য, বিভিন্ন ঘটনা ও জিনিসের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের মূল্যবোধ তৈরি করে। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। বইয়ের পাঠ দেখে এগুলো শেখার চেয়ে যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতাই এসব ক্ষেত্রে বেশি সহায়ক হয়। আমার মতে বইয়ের পাঠ নেবার পাশাপাশি নিজের মূল্যবোধের সমন্বয় ঘটিয়ে এই বিষয়টিতে উত্তর দেওয়া উচিত।
সবশেষে একটি বিষয় উল্লেখ করছি- নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসনের ক্ষেত্রে কনফিউজড হয়ে কোন উত্তর দেবেন না। ভুল হবার সম্ভাবনাই বেশি। সময়কে কাজে লাগিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যান। সফলতা আসবেই।
লেখা সংক্রান্ত যেকোনো পরামর্শের জন্য আমার ইনবক্সে টেক্সট করতে পারেন। ফেইসবুক আইডি-Avizit Basak
As we express our gratitude, we must never forget that the highest appreciation is not to utter words, but to live by them. -- John F. Kennedy
বি দ্রঃ লেখাটাতে শুধু আমার নিজের আইডিয়া অনুযায়ী ধারণা দেয়া হয়েছে। আপনি আপনার মত করেও প্রস্তুতি নিতে পারেন। সফল হবার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার, সেটা সম্পন্ন করাটাই মুখ্য কাজ।আর ছোটখাটো ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন দয়া করে।
No comments:
Post a Comment