ক্লাসের লাস্ট হওয়া ছেলেটা হতাশায়
ভোগে,
অথচ সে উপলব্ধি করে না ঐ ফাস্ট হওয়া ছেলেটা তার মত ফুটবল নিয়ে দৌড়াতে পারে না।
সে চাইলেই দেশসেরা ফুটবলার হতে পারত।
অমুক পরীক্ষায় আশি পেয়েছে বলে কি আমারও পরীক্ষায় আশি পেতে হবে নাকি? সক্রেটিস, বা আইন্সটাইন হতে কে বলেছে? নিজেকে এতো ক্ষুদ্র ভাবমু কেন....?
.
.
নিউটন বলুন কিংবা রবিন্দ্রনাথ, এদেরকে আপনার মতো হতে বলা হলে তারা নিজেরাও তো সাত জনম চেষ্টা করে আপনার মতন হতে পারতো না। প্রত্যেকটা মানুষই আলাদা এবং যার যার নিজেদের অবস্থান থেকে শ্রেষ্ঠ। পার্থক্যটা শুধু আত্ম বিশ্বাসে.....
.
.
অঙ্কে শূন্য পেয়ে বাড়ি ফিরলেই স্বপ্নেরা শেষ হয়ে যায় না। বরং স্বপ্ন দেখতে হয়।
চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়।
সফল ব্যক্তিগুলো সব সময় পাশের বাড়িতে জন্মায় কেন?
এসপি, ম্যাজিস্ট্রেট, বিসিএস ক্যাডার, ম্যানেজার এরা
সবাই পাশের বাড়ির মানুষ হয় কেন? কেন সেটা আপনি আমি
হতে পারি না? স্বপ্ন তো আপনিও দেখেন, তাহলে
আপনার স্বপ্নগুলো কেন অন্যের ঘরে পূরণ হয়?
কারণ আপনি স্বপ্ন দেখেন কিন্তু চেষ্টা করেন নাহ
.
বস, একবার চ্যালেঞ্জ নিন। জেদটা ঠিক জায়গায় রাখুন।
কোনো কাজে ব্যর্থ হওয়ার পর "আমার
ভাগ্যটাই খারাপ " এটা বলার আগে আমি অন্তত একশবার
নিজের দিকে তাকিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করি, আমি কি
আসলেই সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেছিলাম? যে কাজটা
আপনি পারেননি, সে কাজটা কিন্তু কেউ না কেউ ঠিকই
পেরেছে। আপনি স্বীকার করেন আর নাই করেন, আমি
বিশ্বাসের সাথে স্বীকার করি- আমার না পারা কাজটা
যিনি পেরেছেন তিনি আমার চেয়ে অন্তত এক বিন্দু
হলেও বেশি যোগ্য, বেশি পরিশ্রমী।
.
১০০ মিটার দৌঁড়ে উসাইন বোল্টের চ্যাম্পিয়ান হওয়া
দেখে আপনি কেন এটা ভাবছেন, তিনি শুধু ১০০ মিটারই
দৌঁড়ালেন। ১০০ মিটার দৌঁড়ে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার জন্য
তিনি কয়েকহাজার মিটার দৌঁড় কয়েক বছর ধরে
প্র্যাকটিস করেছেন। সে হিসেবটা কে করবে??
.
দৌঁড়াতে হলে নিজের পায়ের জোর লাগে, অন্যের পা
কতটা শক্তিশালী তা দিয়ে আপনার গন্তব্যে পৌঁছানো
যাবেনা। স্বপ্ন যদি ভুল করেও একবার দেখে ফেলেন,
তবে তা পূরণ করেই ছাড়বেন। প্রয়োজনে স্ট্র্যাটেজি
পাল্টাবেন, চিন্তা পাল্টাবেন, পথ পাল্টাবেন ; যা যা
পাল্টানোর সবই পাল্টাবেন কিন্তু ভুলেও স্বপ্নটা
পাল্টাবেন না, টার্গেট পাল্টাবেন না।
চেষ্টা করতে থাকুন
বিজয় আসবেই ঈনশাআল্লাহ
.....(পরিমার্জিত)
No comments:
Post a Comment