গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিকির বা দোয়া :
এক. প্রতিদিন ১০০ বার করে ‘সুবহানাল্লাহ’ পাঠ করলে ১ হাজার সওয়াব লেখা হয় এবং ১ হাজার গুনাহ ক্ষমা করা হয়।
(সহিহ মুসলিম: ৪/২০৭৩)
দুই. ‘আলহামদুলিল্লাহ’ জিকির মিজানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং এটা সর্বোত্তম দোয়া। (তিরমিজি: ৫/৪৬২)
তিন. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সর্বোত্তম জিকির। (ইবনে মাজহা ২/১২৪৯)
চার. ‘সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ; ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার’ এই বাক্যগুলো আল্লাহতায়ালার নিকট অধিক প্রিয় এবং নবী করিম (সা.) বলেন, পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের তুলনায় আমার নিকট অধিক প্রিয়। (সহিহ মুসলিম: ৩/১৬৮৫)
পাঁচ. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি দিনে একশত বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ বলবে, তার গুনাহসমূহ মিটিয়ে দেয়া হবে। যদিও তার গুনাহ সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হোক না কেন।
(বুখারী শরীফ, হাদীস-৫৯২৬)
ছয়. হযরত আবু মুসা আশআরী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. আমাকে বললেন, "হে আবদুল্লাহ ইবনে কায়স! আমি কি তোমাকে জান্নাতের গুপ্তধনসমূহের একটি গুপ্তধনের সন্ধান তোমাকে দেব না?" আমি বললাম, অবশ্যই দিন ইয়া রাসূলাল্লাহ সা.! তিনি বললেন, "তা হলো ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ"। (মুসলিম শরীফ, হাদীস-৪৮৭৫)
সাত. হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, "যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার বিনিময়ে তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন।" (মুসলিম শরীফ, হাদীস-৫৭৭)
আট. হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন বস্তুর কথা বলব না, যার ওপর আমল করলে তোমরা অগ্রগামীদেরকে পেয়ে যাবে এবং তোমাদের পরবর্তী কেউ তোমাদের ধারেকাছে আসতে পারবে না? আর তোমরা হবে সর্বোত্তম তাদের মধ্যে? তবে তারা তোমাদের মত হতে পারবে, যারা অনুরূপ আমল করবে। প্রতি নামাযের পর "৩৩বার সুবহানাল্লাহ" ৩৩বার আলহামদুলিল্লাহ এবং "৩৩বার আল্লাহু আকবার" বলবে। আর একশত পূর্ণ করবে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কদীর।'
(বুখারী শরীফ, হাদীস-৭৯৮)
No comments:
Post a Comment