রোজা ভঙ্গের কারণ সমুহ:
ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।
স্ত্রী সহবাস করলে ।
কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙ্গবে না)।
ইচ্ছকৃত মুখভরে বমি করলে।
নস্য গ্রহণ করা, নাকে বা কানে ওষধ বা তৈল প্রবেশ করালে।
জবরদস্তি করে কেহ রোজা ভাঙ্গালে ।
ইনজেকশান বা স্যালাইরনর মাধ্যমে দেমাগে ওষধ পৌছালে।
কংকর পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে।
সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সুর্যাস্ত হয়নি।
পুরা রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।
দাঁত হতে ছোলা পরিমান খাদ্য-দ্রব্য গিলে ফেললে।
ধূমপান করা, ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জ্বালায়ে ধোয়া গ্রহন করলে।
মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে ।
রাত্রি আছে মনে করে সোবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।
মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবহে সাদিকের পর নিদ্রা হতে জাগরিত হওয়া এ অবস্থায় শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।
যখন কাজা ও কাফফারা ওয়াজিব
ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কোনাে জিনিস খাওয়া বা পান করা , যা সাধারণত খাওয়া বা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় । ( আলমগিরি : খ , ১ , পৃ . ২০৫ )
যদি ইচ্ছাকৃতভাবে গিবত করার পর পানাহার করে , তাহলে তার ওপর কাজা - কাফ্ফারা উভয়ই ওয়াজিব । ( ফাতহুল কাদির : খ . ২ , পৃ . ৩৮০ )
রােজাদার যদি সমকামিতায় লিপ্ত হয় , তাহলে তার ওপর কাজা - কাফফারা দুটিই ওয়াজিব । ( আল ওয়াল ওয়ালিযিয়্যাহ : খ . ১ , পৃ . ২২৩ )
পুরুষ যদি মহিলার সঙ্গে জোরজবরদস্তি করে সম্ভোগ করে , তাহলে মহিলার ওপর শুধু কাজা ওয়াজিব , কাফফারা নয় । আর পুরুষের ওপর কাজা - কাফ্ফারা উভয়ই ওয়াজিব । ( আল - ওয়াল ওয়ালিযিয়্যাহ : খ . ১ , পৃ . ২২৪ )
ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীসম্ভোগ করা । ( বুখারি , হাদিস : ১৮০১ )
No comments:
Post a Comment