Operation surgical strike - অপারেশন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক
====================
‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ কোনও যুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই কোনও না কোনো সময়ে বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী এই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালায়।
ভারতের সেনা ছাউনি উরির প্রতিশোধ নিতে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে নিয়ন্ত্রিত ও কৌশলী আঘাত হানে দিল্লি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরিভাষায় যা সার্জিকাল স্ট্রাইক। DGMO লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিং জানিয়েছেন, লাইন অব কন্ট্রোলের ওপারে ৪ ঘণ্টার অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৭টি জঙ্গিঘাঁটি। খতম করা হয়েছে ৩৫-৪০ জন জঙ্গিকে। তাহলে কি যুদ্ধই বেধে গেল? কী এই সার্জিকাল স্ট্রাইক। একবার চটপট চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক...
====================
‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ কোনও যুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই কোনও না কোনো সময়ে বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী এই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালায়।
ভারতের সেনা ছাউনি উরির প্রতিশোধ নিতে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে নিয়ন্ত্রিত ও কৌশলী আঘাত হানে দিল্লি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরিভাষায় যা সার্জিকাল স্ট্রাইক। DGMO লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিং জানিয়েছেন, লাইন অব কন্ট্রোলের ওপারে ৪ ঘণ্টার অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৭টি জঙ্গিঘাঁটি। খতম করা হয়েছে ৩৫-৪০ জন জঙ্গিকে। তাহলে কি যুদ্ধই বেধে গেল? কী এই সার্জিকাল স্ট্রাইক। একবার চটপট চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক...
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক যুদ্ধ বা যুদ্ধের ঘোষণা নয়। শত্রুদের নিধন করতে এটি একটি নিয়ন্ত্রিত সেনা অভিযান। বিশ্বজুড়ে এই অভিযানের নজির রয়েছে। এধরনের অভিযানে শত্রু ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে ফের নিজেদের জায়গায় ফিরে আসে সেনাবাহিনী। সার্জিকাল স্ট্রাইকে স্বল্প ক্ষয়ক্ষতি বজায় রাখাটা একটা বৈশিষ্ট্য।
এধরনের অভিযানের জন্য বিস্তারিত ও দীর্ঘায়িত পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই। বরং ঠিকঠাকভাবে তৈরি হয়ে টার্গেটকে পর্যুদস্ত করা ও ক্ষয়ক্ষতির বহর কম রাখাটাই এই অভিযানের মূল শর্ত।
এধরনের অভিযানের জন্য বিস্তারিত ও দীর্ঘায়িত পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই। বরং ঠিকঠাকভাবে তৈরি হয়ে টার্গেটকে পর্যুদস্ত করা ও ক্ষয়ক্ষতির বহর কম রাখাটাই এই অভিযানের মূল শর্ত।
একেবারে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানাই হলো ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’। পারিপার্শ্বিক ক্ষয়ক্ষতি যতটা সম্ভব কম রেখে লক্ষ্যে পূর্ণ করাই হলো এ হামলার মূল উদ্দেশ্য। ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’র মূল মন্ত্র হলো নিশানাকে নির্ভুলভাবে বেছে নিতে হয়। ‘এটা না হলে, ওটা’ বা ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর মেথড’ এখানে খাটে না।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ সম্পর্কে ভারতের সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান ফলি হোমি এনডিটিভিকে বলেন, ‘এটি একটি রণকৌশল। আপনি সর্বোচ্চ ক্ষতিসাধন করে শত্রুদের বড় বিস্ময় উপহার দেবেন।’ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল শংকর প্রসাদ বলেন, ‘এটি একটি জটিল অপারেশন। এ হামলা চালাতে খুব সাহস ও সহিষ্ণুতার প্রয়োজন। এ হামলা চালানো খুব শক্ত কাজ। লক্ষ্যমাত্রা অস্থাবর থাকে। এর অর্থ হলো লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালিয়ে নিজেদের কোনো ক্ষতি ছাড়াই ফিরে আসা। এ দলের প্রত্যেক সদস্যদের নির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব থাকে।’
ভারতের পাঠানকোট সেনাছাউনিতে হামলার পর উরি সেনাছাউনিতে পাকিস্তান থেকে আসা সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। ওই হামলায় উরিতে ১৮ জন জওয়ান নিহত হয়। এ হামলার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। তারপর এল এই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’।
এর আগে ২০১৫ সালে মণিপুরে রাজ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালায় নাগা জঙ্গিরা। এরপরই মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কথা বলে সীমান্ত পেরিয়ে ওই দেশের জঙ্গলে ঢুকে জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনারা। ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর বড় উদাহরণ হল পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি সিলের অপারেশনে রাতের অন্ধকারে নিহত হয়েছিল ওসামা বিন লাদেন।
No comments:
Post a Comment