BCS Exam Time সময় আছে ৪৪/৪৫ দিন

সময় আছে ৪৪/৪৫ দিন,এই দিনগুলো একটু ভালভাবে কাজে লাগাতে পারলে হয়ত ১২০/১২৫ এর মত পাওয়া যাবে,যা রিটেন দেয়ার জন্য মোটামুটি সেফ।প্রিলিতে ১২৫ তোলা যা,১৯৫ তোলাও তা,পাশ করলেই হল।

১. সিলেবাস ছেটে ফেলুন প্রথমেই,এক্ষেত্রে বলির পাঠা হবে সুশাসন। এটা না পড়লেও ২/৩ পাবেনই।অযথা পড়ে লাভ নাই,সময় নস্ট।
২. এরপর ফেলে দিন বিজ্ঞান,পুরোপুরি না।মোটামুটি যেকোন ডাইজেসট থেকে ৩/৪ দিন রিডিং দিন যাতে ৬/৭পান।এর বেশি সময় দিয়ে লাভ নাই,প্রিলিতে সবচেয়ে বড় সিলেবাস বিজ্ঞানে,সবচেয়ে কঠিনও।বিজ্ঞানের ছাত্র ছাড়া বিজ্ঞানে ৯/১০ পাওয়া অনেক কঠিন।
★সময় ৩ দিন
৩. মূল টার্গেট করুন বাংলা, ইংরেজি ------৩৫+৩৫
এখানে কোন মিস নাই,৫০+- তোলার চেস্টা করুন।ইংরেজিতে প্রশ্ন তেমন কঠিন হয়না,To the point প্রশ্ন হয়।
Basic grammar,Literature খুব কমন জিনিস গুলোই আসে।
বাংলা ব্যাকরণও কমনগুলো আসে।তবে সাহিত্য একটু কঠিন হচ্ছে গত ২/৩ বার,তাই ২ দিন বেশি সময় দিন..
★মোট সময় দিন ৫+৭ =১২দিন
৪. বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক থেকে শুধু কমন বিষয়গুলো আগে পড়ুন,যেগুলো মাস্ট আসে যেমন ইতিহাস,জাতীয় বিষয়াবলী,ভৌগোলিক অবস্থা,মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান,সংস্থা,সদর দপ্তর,ভূ রাজনীতি, পরিবেশ।বাকীসব ঢুকে যাবে গত ৬/৭ মাসের কারেন্ট এফেয়ার্স, যুদ্ধ বিগ্রহ,আলোচনা,সম্মেলন আর বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে।তারপরও কিছু বাদ পড়লে ডাইজেস্ট থেকে রিডিং দেন।মনে রাখতে পারলে সহজেই ৩০ পাবেন
ভূগোল নবম দশম বোর্ড বই ভালভাবে পড়ুন।বাকিসব ঘুরে ফিরে সাধারণ জ্ঞানে পাবেন।
★সময় ১০+ ২ = ১২ দিন
৫. গণিত শুধু সূত্রগুলো দেখে যান,৪/৫ দিন ধরে।১/১.৫ মিনিটে করা যায় এরকম অংকগুলাই আসে।ব্যাসিক ক্লিয়ার থাকলে খুব সহজ। আর ব্যাসিক না থাকলে কিছু বলার নাই,আপনি ধরা খাবেনই কোন না কোন সময়।মানসিক দক্ষতা ২ দিন একটু প্র্যাকটিস করুন যেকোন বই থেকে।
গণিত,মানসিক দক্ষতাসহ মিলিয়ে সহজেই ২০++ পাওয়া যাবে
★সময় ৭ দিন
৬. কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি গতানুগতিক সহজগুলো সব পড়ুন,অন্তত ৯/১০ পাবেন।বেশি পেতে চাইলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বই মিলিয়ে পড়ুন।
★ সময় ৪ দিন
এভাবে করে মোট ৩৭ দিন,বাকি ৭ দিন সব একসাথে পড়ুন
★সিলেবাস বহির্ভূত কিছু জিনিস আছে,এগুলো সরাসরি বাদ দিবেন---যেমন কারক বিভক্তি,এককথায় প্রকাশ, Narration.
এরকম আরও কিছু আছে,এগুলা থেকে আসবে না।সিলেবাসের বাইরে কিছু পড়বেন না,To the point পড়বেন।
★সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে বেশি সময় নস্ট করলে ধরা খাবেন,বিগত ৬ মাসের ঘটনায় চোখ রাখলে হবে।ইংরেজি সাহিত্যও যেকোন ডাইজেসট পড়লে চলবে,৭০/৮০ পৃষ্ঠার বই পড়লে কপালে দু:খ আছে।
★আমি কারও কাছ থেকে টাকা খাইনি,তাই কোন বইয়ের নামও বলব না! যার যে ডাইজেস্ট ভাল লাগে পড়েন।এখন আর অন্য কিছু পড়ার সুযোগ নাই
★সাথে যেকোন ওয়েবসাইট থেকে MCQ পড়েন।
100 mcq on English,500 mcq on Computer,বাংলাদেশ বিষয়াবলী বিসিএস,চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন ------গুগলে এসব হাবিজাবি লিখলে অনেক সাইট আসবে,যেকোন টাতে ঢুকে পড়া শুরু করুন।সময়ও কম লাগবে,অনেক জিনিস মনেও থাকবে।
--------------------------------------------------------------------
লেখাটা একদম নতুনদের জন্য নয়,যারা এখনো ভালভাবে প্রিপারেশন শুরু করেনি তাদের জন্য
যারা মোটামুটি কয়েকমাস পড়েছে,আগে পরীক্ষা দিয়েছে,টিকেছে বা টিকেনি এরকম মানে যারা এখন পড়া গুছিয়ে আনতে চাচ্ছে তাদের জন্য

Master Da Surjya Sen মাস্টারদা সূর্যসেন


Master Da Surjya Sen মাস্টারদা সূর্যসেন (১৮৯৪-১৯৩৪) বিপ্লবী, ‘যুগান্তর’ দলের চট্টগ্রাম শাখার প্রধান এবং ১৯৩০ সালের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের প্রধান সংগঠক। জন্ম ১৮৯৪ সালের আজকের এই দিনে চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়া গ্রামে। পুরো নাম সূর্যকুমার সেন, ডাক নাম কালু। বাবা রাজমনি সেন এবং মা শশীবালা দেবী। স্থানীয় দয়াময়ী বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষার পর নোয়াপাড়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেন এবং ১৯১২ সালে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন।
সূর্যসেন যখন নোয়াপাড়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ের ছাত্র তখন বঙ্গভঙ্গকে (১৯০৫) কেন্দ্র করে বাংলায় স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয়। ক্রমে এই আন্দোলন বিপ্লবী আন্দোলনে রূপ নেয়। ১৯১৬ সালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ফিরে গিয়ে ব্রিটিশ বিরোধী একটা বিপ্লবী দল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। সূর্যসেন ১৯১৮ সালে চট্টগ্রামে ফিরে বিপ্লবী যুগান্তর দলকে পুনরুজ্জীবিত করেন।
১৯১৯ সালের পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের ছাত্ররা ক্লাসবর্জন সহ সভা-সমাবেশ করে। চট্টগ্রামের বিপ্লবীরা মাস্টারদা এর নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ হন।
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিলের সশস্ত্র বিদ্রোহ ছিল সূর্যসেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীদের দীর্ঘ সময়ের প্রস্ত্ততি ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার ফসল। প্রাথমিক পর্যায়ে অহিংস ও নিয়মতান্ত্রিক পথ ধরে বিপ্লবের সূচনা হলেও সময়ের ব্যবধানে সংগ্রামের অবশ্যম্ভাবী পরিণতিতে হিংসাত্মক কর্মনীতি বা বিপ্লববাদ দেখা দেয়। খ্রিস্টানদের গুড ফ্রাইডেতে বিপ্লবীদের কর্মসূচি ছিল:
১. পুলিশের অস্ত্রাগার লুণ্ঠন। এই দলের নেতৃত্ব দেন অনন্ত সিং ও গণেশ ঘোষ;
২. অক্সিলিয়ারি ফোর্সের অস্ত্রাগার দখল। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন নির্মল সেন ও লোকনাথ;
৩. টেলিফোন-টেলিগ্রাফ ভবন দখল। আম্বিকা চক্রবর্তী এই দলের নেতৃত্ব দেন;
৪. ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ। দলের নেতৃত্ব দেন নরেশ রায়;
৫. চট্টগ্রামের সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার দায়িত্বে ছিলেন উপেন্দ্রকুমার ভট্টাচার্য ও লালমোহন সেন;
৬. বিদ্রোহের খবর চট্টগ্রাম শহরে প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন সুখেন্দু দস্তিদার, শৈলেশ্বর চক্রবর্তী, অর্ধেন্দু গুহু, দীনেশ চক্রবর্তী ও হরলাল চৌধুরী।
বিপ্লবীদের ঘোষণাপত্রের প্রথমটিতে ছিল সশস্ত্র বিপ্লবের উদ্দেশ্য, দ্বিতীয়টিতে ছিল দেশের যুবকদের প্রতি রিপাবলিকান আর্মিতে যোগ দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যোগদানের আহবান।
১৮ তারিখে গুড ফ্রাইডে থাকায় সেদিন ইউরোপীয়ান ক্লাবে ইংরেজ পদস্থ কর্মকর্তারা কেউ উপস্থিত ছিল না এবং অক্সিলিয়ারি ফোর্সের অস্ত্রাগারে ভারী অস্ত্র মিললেও কোন গুলি পাওয়া যায়নি বলে এই দুটি ক্ষেত্রে আশানুরূপ সফলতা আসেনি। তবে সূর্যসেনের নেতৃত্বে পুলিশের অস্ত্রাগার দখলের পর অস্ত্র ও গুলি সংগৃহীত হয়। অস্ত্রাগারে আগুন লাগানোর সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন বিপ্লবী হিমাংশু বিমল সেন। সূর্যসেন পাহাড়ে আত্মগোপন করেন। তিনি দলের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন যে, বিপ্লবী দল চট্টগ্রামে গিয়ে ইংরেজদের আক্রমণ করবে। সবাই এতে একমত হলে মাস্টারদা লোকনাথ বলকে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রী বাহিনীর সেনাপতি নিযুক্ত করেন ও বিপ্লব পরিচালনার দায়িত্ব দেন। ১৯৩০ সালের ২২ এপ্রিল এ সংঘটিত যুদ্ধে ১৪ জন বিপ্লবী শহীদ হন। সূর্যসেন এর নেতৃত্বে দলটি পাহাড়ে আত্মগোপন করেন। এদের ধরার জন্য ইংরেজ সরকার পুরস্কার ঘোষণা করে। সূর্যসেনকে গ্রেফতার করতে না পারলেও সরকার ১৯৩০ সালের ২৪ জুলাই চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন মামলা চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইবুনালে শুরু করে। ১৯৩২ সালের জুন মাসে মাস্টারদা প্রীতিলতা ও কল্পনা দত্তকে বোমা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম কারাগার ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেবার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। এই ঘটনায় ১১ জন বিপ্লবী গ্রেফতার হন। ২৪ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার পাহাড়তলী ইউরোপীয়ান ক্লাবে সফল আক্রমণ চালান, তবে তিনি গুলিবিদ্ধ হন এবং সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনার পরে মাস্টারদা পটিয়ার নিকটে গৈরালা গ্রামে আত্মগোপন করেন। কিন্তু গ্রামবাসীদের একজন সূর্যসেনের লুকিয়ে থাকার তথ্য পুলিশকে জানিয়ে দেয়। ১৯৩৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে একদল গোর্খা সৈন্য গোপন স্থানটি ঘিরে ফেলে। সৈন্যবেষ্টনী ভেঙ্গে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সূর্যসেন ধরা পড়েন। সঙ্গে ছিলেন কল্পনা দত্ত, শান্তি চক্রবর্তী, সুশীল দাস গুপ্ত ও মনিলাল দত্ত সহ আরও কয়েকজন বিপ্লবী।
‘যুগান্তর’ দলের চট্টগ্রাম শাখার নতুন সভাপতি তারকেশ্বর দস্তিদার সূর্যসেনকে চট্টগ্রাম জেল থেকে ছিনিয়ে আনার প্রস্ততি নেন। কিন্তু পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়। তারকেশ্বর এর সঙ্গে আরও কয়েকজনের গ্রেপ্তার হন। ১৯৩৩ সালে সূর্যসেন, তারকেশ্বর দস্তিদার এবং কল্পনা দত্তের বিশেষ আদালতে বিচার হয়। ১৪ আগস্ট সূর্যসেন ও তারেকেশ্বর দস্তিদার এর ফাঁসির রায় হয় এবং কল্পনা দত্তের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কারাগারে উভয়ের ফাঁসি কার্যকর হয়।

Operation surgical strike - অপারেশন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক

Operation surgical strike - অপারেশন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক
====================
‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ কোনও যুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই কোনও না কোনো সময়ে বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী এই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালায়।
ভারতের সেনা ছাউনি উরির প্রতিশোধ নিতে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে নিয়ন্ত্রিত ও কৌশলী আঘাত হানে দিল্লি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরিভাষায় যা সার্জিকাল স্ট্রাইক। DGMO লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিং জানিয়েছেন, লাইন অব কন্ট্রোলের ওপারে ৪ ঘণ্টার অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৭টি জঙ্গিঘাঁটি। খতম করা হয়েছে ৩৫-৪০ জন জঙ্গিকে। তাহলে কি যুদ্ধই বেধে গেল? কী এই সার্জিকাল স্ট্রাইক। একবার চটপট চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক...
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক যুদ্ধ বা যুদ্ধের ঘোষণা নয়। শত্রুদের নিধন করতে এটি একটি নিয়ন্ত্রিত সেনা অভিযান। বিশ্বজুড়ে এই অভিযানের নজির রয়েছে। এধরনের অভিযানে শত্রু ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে ফের নিজেদের জায়গায় ফিরে আসে সেনাবাহিনী। সার্জিকাল স্ট্রাইকে স্বল্প ক্ষয়ক্ষতি বজায় রাখাটা একটা বৈশিষ্ট্য।
এধরনের অভিযানের জন্য বিস্তারিত ও দীর্ঘায়িত পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই। বরং ঠিকঠাকভাবে তৈরি হয়ে টার্গেটকে পর্যুদস্ত করা ও ক্ষয়ক্ষতির বহর কম রাখাটাই এই অভিযানের মূল শর্ত।
একেবারে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানাই হলো ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’। পারিপার্শ্বিক ক্ষয়ক্ষতি যতটা সম্ভব কম রেখে লক্ষ্যে পূর্ণ করাই হলো এ হামলার মূল উদ্দেশ্য। ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’র মূল মন্ত্র হলো নিশানাকে নির্ভুলভাবে বেছে নিতে হয়। ‘এটা না হলে, ওটা’ বা ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর মেথড’ এখানে খাটে না।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ সম্পর্কে ভারতের সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান ফলি হোমি এনডিটিভিকে বলেন, ‘এটি একটি রণকৌশল। আপনি সর্বোচ্চ ক্ষতিসাধন করে শত্রুদের বড় বিস্ময় উপহার দেবেন।’ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল শংকর প্রসাদ বলেন, ‘এটি একটি জটিল অপারেশন। এ হামলা চালাতে খুব সাহস ও সহিষ্ণুতার প্রয়োজন। এ হামলা চালানো খুব শক্ত কাজ। লক্ষ্যমাত্রা অস্থাবর থাকে। এর অর্থ হলো লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালিয়ে নিজেদের কোনো ক্ষতি ছাড়াই ফিরে আসা। এ দলের প্রত্যেক সদস্যদের নির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব থাকে।’
ভারতের পাঠানকোট সেনাছাউনিতে হামলার পর উরি সেনাছাউনিতে পাকিস্তান থেকে আসা সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। ওই হামলায় উরিতে ১৮ জন জওয়ান নিহত হয়। এ হামলার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। তারপর এল এই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’।
এর আগে ২০১৫ সালে মণিপুরে রাজ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালায় নাগা জঙ্গিরা। এরপরই মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কথা বলে সীমান্ত পেরিয়ে ওই দেশের জঙ্গলে ঢুকে জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনারা। ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর বড় উদাহরণ হল পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি সিলের অপারেশনে রাতের অন্ধকারে নিহত হয়েছিল ওসামা বিন লাদেন।

40th BCS Preli Preparation Tips - ৪০তম বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি নির্দেশনা

40th BCS Preli Preparation Tips - ৪০তম বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি নির্দেশনা 


Tawhidul Islam Khan
কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা , সুপারিশ প্রাপ্ত ,( ৩৭তম বিসিএস )

অনেকেই ইনবক্সে আমাকে বিসিএস সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন করে থাকেন। শুধু আমাকেই না, বিসিএস এর তিন গণ্ডি যারা টপকাতে পেরেছেন তারা প্রত্যেকেই কমবেশি এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হন। যারা বিসিএস নামক মহাযুদ্ধের যোদ্ধা তারা ইতোমধ্যেই বুঝে গেছেন যে ইনবক্সে দেওয়া বিভিন্ন অভিজ্ঞ ভাইয়ের সাজেশন ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমনঃ কেউ আগে জব সল্যুশন সলভ করতে বলেন অথবা কেউ আগে বিষয় ভিত্তিক গাইড বই শেষ করে পরে জব সল্যুশন পড়তে বলেন। আবার কেউ আগে ডাইজেস্ট পড়তে বলেন আবার কেউ কেউ কোচিং করার পরামর্শ দেন অথবা কোচিং বিরোধী। এখানে কেউ-ই ভুল না এবং তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ কৌশলে সফল। তবে এই সফলতার পথ কখনই মসৃন ছিলো না। আবার অনেকেই আছেন যারা ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সফল হতে পারেননি তবে যারা সফল হয়েছেন তাদের থেকে তারা অনেক মেধাবী ও পরিশ্রমী। বিসিএস একটি চাকুরি ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী তারা অবশ্যই মানি যে, রিযিকের মালিক আল্লাহ। তাই আল্লাহ না চাইলে আপনি কখনই হাজার পড়াশুনা করেও এখানে সফল হতে পারবেন না আবার সামান্য পড়াশুনা করেও এখানে সফল হতে পারবেন। তাই যারা প্রথমবার বিসিএস পরীক্ষা দিবেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি প্রথমে আপনার সৃষ্টি কর্তাকে ডাকুন। তিনিই উত্তম রিযিক দাতা।
আমি কোনো বিসিএস অ্যানালিস্ট নই, কিভাবে বিসিএস এর প্ল্যানিং করে পড়তে হয় আমি সেটাই জানিনা। তাই আমার কাছে সবথেকে কঠিন দুইটা প্রশ্ন হচ্ছে ১. কিভাবে পড়লে বিসিএস হবে? ২. কোন প্রকাশনীর কোন বই পড়লে বিসিএস এ উত্তীর্ণ হওয়া যাবে?? আমার কাছে এর কোনো সদুত্তর নেই। কারণ বিসিএস নিয়ে আমার জীবনের দুইটা ঘটনা শেয়ার করলে আপনি ঠিক বুঝতে পারবেন।


১.#৩৭তম
আমার জীবনের প্রথম কোনো চাকুরির পরীক্ষা। অনার্স লাইফ কেটেছে বেশির ভাগ সময় মোবাইলে গেম খেলে, কম্পিউটার নিয়ে প্রচুর ঘাটাঘাটি করে, ঠিক মত ক্লাস করতাম না, মুভি দেখতাম, আডডা দিতাম, আর কিছু সাংগঠনিক কাজ করতাম। তবে যে বিষয়টা পড়তাম চেষ্টা করতাম বেসিক ক্লিয়ার রাখার। মনে কোনো প্রশ্ন আসলেই গুগল মামার সাহায্য নিতাম। ইচ্ছা ছিলো কৃষি বিষয়ক কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞানী হবার তাই থিওরি ক্লাস না করলেও প্র‍্যাক্টিক্যাল একটাও মিস দিতাম না। যখন বাস্তবতা বুঝলাম, তখন বিজ্ঞানী হবার আশা ছেড়ে দিলাম। বিসিএস শুধু নামে জানতাম। সিলেবাস কি, কারা এই পরীক্ষা নেয় কিভাবে নেয় এর কিছুই জানতাম না। ক্যাম্পাসে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন কোচিং এর ফ্রি ওরিয়েন্টেশন ক্লাস হত৷ ফাইনাল ইয়ারে থাকাকালীন আমিও সেখানে গিয়েছিলাম। যখন উপস্থিত অতিথি বক্তা আমাদের প্রতি বিভিন্ন প্রশ্ন ছুড়ে দিত তখন আমার বন্ধু/ছোট ভাই-বোন ঠাস ঠাস করে উত্তর বলে দিত। আমি ভাবতাম, খাইছে!! আমি তো সাবজেক্ট এর নামই জানিনা, আমার দ্বারা এটা সম্ভব না। আমি এমনই অজ্ঞ ছিলাম যে ফরেইন ক্যাডারকে চয়েজলিস্টে ৪ নাম্বারে রেখেছিলাম। অনেকে এটা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করেছে, ভয় দেখিয়েছে আমাকে বোর্ড থেকে বের করে দিবে। আমি মনে মনে হাসি আর বলি আগে তো প্রিলি টিকে নেই, তারপর দেখা যাবে। তবুও অনার্স শেষ করে ভাই বন্ধুর পরামর্শে এক সেট বই কিনলাম। পরীক্ষার হাতে ছিলো ২ মাসের মত। গাইডলাইনের অভাবে বই উল্টাতে উল্টাতেই ১ মাস গেলো। পরে এসিউরেন্স ডাইজেস্ট (আমি মার্কেটিং করছিনা, এখন এর থেকেও ভালো ডাইজেস্ট বাজারে আছে) আর বিশেষ সংখ্যার কিছু অংশ পড়তে পড়তেই পরীক্ষা এসে গিয়েছিলো। তাই ভাবলাম ৩৭ কে মডেল টেস্ট হিসেবে নেই আর পরেরটা কোপাইয়া দিয়া আসব। তাই টেনশন ফ্রি হয়ে পরীক্ষা দিতে গেলাম। আমার ভাগ্য ভালো ছিলো কারণ আমার সেট এ বাংলা দিয়ে শুরু হয় নি। আমার মনে আছে আমি বাংলায় ১৯ টা আন্সার করে ১৭ টা ভুল করেছিলাম। আর বাকি গুলো থেকে যা আন্সার করছিলাম সব মিলিয়ে ৫-৬ টার বেশি ভুল হবে না। তবে বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ায় ম্যাথ, বিজ্ঞান, আর আই কিউ বেজড মানসিক দক্ষতায় মোটামুটি সব আন্সার করতে পেরেছিলাম। আর কম্পিউটার নিয়ে প্রচুর ঘাটাঘাটি করার ফলস্বরূপ আইসিটিও খুব ভালো হয়েছিলো। সাধারণজ্ঞান যা কমন ছিলো পেরেছিলাম। যাই হোক ফলাফল ছিলো আল্লাহর রহমতে পজেটিভ৷ রিটেন নিয়ে আর কিছু বললাম না। অনেকেই বলেছে রিটেনের জন্য মাস্টার্সে গ্যাপ দিতে৷ কিন্তু আমি মাস্টার্স, রিসার্চ আর রিটেন প্রিপারেশন একসাথে চালিয়েছি৷ আমার শ্রদ্ধেয় সুপারভাইজার স্যার ও ডিপার্টমেন্ট এবং বন্ধু-বান্ধব খুব সহায়ক ছিলো বিধায় তেমন বেগ পেতে হয় নি। ফরেন ৪ নম্বর পছন্দ ছিলো বিধায় ভাইভার সময় একটু ভয়ে ছিলাম। অনেক বন্ধু সাহস জুগিয়েছে, বলেছে এটা ব্যাপার না। তবে বোর্ডের কেউই এটা নিয়ে আমাকে কোনো প্রশ্ন করেন নি।


২.#৩৮তমবিসিএস
৩৭ তম তে যে বই গুলো কিনেছিলাম ওগুলো আর পড়া হয় নি। তবে লাইব্রেরিতে গেলেই পছন্দমত একটা দুইটা বই কিনতে কিনতে এমন কোনো প্রকাশনীর এমন কোনো বই নেই যে কিনি নাই। এবং চেষ্টা করেছি সেগুলো পড়ার।প্রয়োজনীয় নোট করার৷ মুভি, গেম সব বাদ। এমনকি একই বই দুই তিনটা এডিশন পর পর কিনতাম। কারণ ৩৭তম তে পোস্ট অনেক কম ছিলো। তাই যেভাবেই হোক ৩৮ প্রিলি পাশ করতে হবে৷ রিটেন পাশ করা সহজ তবে পরিশ্রমসাধ্য। যখন ৩৮ পরীক্ষা দেই প্রিন্টিং মিসটেক আর কনফিউশান এর কারণে ২০-২২ টা জানা উত্তর করতে পারিনি। বেশি পড়ার কুফল এটা। যাই হোক আল্লাহর ইচ্ছায় এটাতেও পার হয়ে গেলাম। বিশেষ কারণে কোনো প্রিপারেশন ছাড়া ৩৮ এর রিটেন পরীক্ষা দিয়েছি। বিশেষ কিছু আর আশা করছিনা। বিশেষ কোনো ক্যাডারের প্রতি আকর্ষণ না থাকায় আর আলসতার কারণে আর হয়ত বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হবে না।
এত কথা বলার উদ্দেশ্য এটাই ছিলো যে, বই কোনো ফ্যাক্টর না, আপনি বই থেকে ধারণা পাবেন কিন্তু ইউনিক প্রশ্ন কমন পাবেন না। কমন প্রশ্ন সব বইতেই কমন। এক কোচিং দাবী করেছিলো ৩৭ এর ৯২ টা প্রশ্ন তাদের লেকচার শীট থেকে এসেছে। ঐ ৯২ টা বিভিন্ন ক্যাডার-ননক্যাডার পরীক্ষার রিপিট প্রশ্ন যা জব সল্যুশনসেই আছে। বিসিএস প্রিলিমিনারি হলো, "jack of all trades, master of none" টাইপ মানুষদের জন্য। আপনার সব বিষয়ে মোটামুটি বেসিক একটা ধারণা আর একটু সাহস থাকলেই হয়ে যাবে। আর আপনি যেটাতে স্ট্রং, সেটা থেকে ম্যাক্সিমাম আউটপুট নিয়ে আসবেন। কিছুদিন আগে আমি বিসিএস এর দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে পোস্ট করেছিলাম। অনেকেই হতাশ হয়েছিলেন। হতাশ হবেন না। বিসিএস আর ব্যাংক এর থেকে সহজ ও স্বচ্ছ নিয়োগ বাংলাদেশে এখনো আসে নাই। তাই চোখ কান খোলা রেখে সবার সাথে সু সম্পর্ক বজায় রেখে প্রস্তুতি নিয়ে যান। কারণ আপনার ছোট ছোট পদক্ষেপ/পছন্দ আপনার ভবিষ্যত নির্মাণ করে। বিশৃঙ্খলা তত্ত্বানুসারে একে "বাটারফ্লাই ইফেক্ট" বলে। যাইহোক, বই নিয়ে আশা করি আপনাদের আর প্রশ্ন থাকবে না। হাতের কাছে যা রিসোর্স ম্যাটেরিয়াল আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ুন। সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।

(কোনোরকম বানান ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। ধন্যবাদ।)

Latest Job Circular in BD ❤❤চলমান ১০টি জব সার্কুলার❤❤

চলমান ১০টি সার্কুলার
১. ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড
🍎পদঃ ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার
🍎ডেডলাইনঃ ১৮.০৩.২০১৯
২.বাংলাদেশ রেলওয়ে
🍎পদঃ বিভিন্ন পদ
🍎ডেডলাইনঃ ২৪.০৩.২০১৯
৩. জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট)
🍎পদঃ বিভিন্ন পদ
🍎আবেদনের শেষ তারিখঃ৩১.০৩.২০১৯।
৪. সামরিক ভুমি ও ক্যান্টনম্যান্ট অধিদপ্তর
🍎পদঃ বিভিন্ন পদ
🍎ডেডলাইনঃ ৩.০৪.২০১৯
৫. বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ
🍎পদঃ অফিস সহায়ক
🍎ডেডলাইনঃ ২১.০৩.২০১৯
৬. বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই)
🍎পদঃ বিভিন্ন পদ
🍎ডেডলাইনঃ ২৪.০৩.২০১৯
৭. পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ
🍎পদঃ বিভিন্ন পদ
🍎ডেডলাইনঃ ২৪ মার্চ ২০১৯
৮. ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি
🍎পদঃ বিভিন্ন পদ
🍎ডেডলাইনঃ১৯.০৩.২০১৯
৯. রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড
🍎পদঃ বিভিন্ন পদ
🍎ডেডলাইনঃ ৩১.০৩.২০১৯ ইং।
১০. বস্ত্র অধিদপ্তর
🍎পদঃ বিভিন্ন পদ
🍎 ডেডলাইনঃ ১৯.০৩.২০১৯
শেয়ার করতে ভুলবেন না 

৮ ও ৯ মার্চ, ২০১৯ প্রথম_আলো_থেকে

##দেশ#
১) বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে নারী – প্রায় ৩২%
২) অর্থনীতিতে নারীর যে অবদান গণনায় আসেনা তা জিডিপির -৭৭ টু ৮৭% 
৩) আন্তর্জাতিক নারী দিবস – ৮ মার্চ
৪) নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদান এবং দ. এশীয় অঞ্চলে দক্ষ নেতৃত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া হয় – “ লাইফটাইম কন্ট্রিবিউশন ফর উইমেন এম্পাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ড “ 
৫) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পদক পেয়েছেন রোহিঙ্গা আইনজীবী – রাজিয়া সুলতানা

##আন্তর্জাতিক##
৬) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার – মিশেল ব্যাশেল
৭) ভারতে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত – মুসলমান ও দলিতরা
৮) ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট জুয়ান গুয়াইদোকে সমর্থন করাই – জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করলেন মাদুরো
৯) থাইল্যান্ডের বিরোধী দল “ থাই রকসা চার্ট পার্টিকে “ বিলুপ্ত ঘোষণা করল – দেশটির আদালত
১০) থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচন – ২৪ মার্চ ২০১৯
১১) জঙ্গি দমনের ব্যবস্থা হিসেবে পাকিস্তান সরকার – ১৮২ মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রন নিয়েছে
১২) যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানের প্রথম নারী পাইলট – মার্থা ম্যাকস্যালি
১৩) প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র – পাপুয়া নিউগিনি
১৪) সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখার প্রস্তাব করেছে – পাপুয়া নিউগিনি
১৫) পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী – পিটার ও'নিল
১৬) পাপুয়া নিউগিনি পার্লামেন্ট সদস্য – ১১১ জন, কোন নারী নেই
১৭) দেশটির জনসংখ্যা – ৮৩ লাখ
১৮) পদত্যাগ করেছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী – ইউহা সিপিলার
১৯) ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট – সাউলি নিনিস্তা
২০) ফিনল্যান্ডের পার্লামেন্ট নির্বাচন – ১৪ এপ্রিল ২০১৯
২১) মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা হয়েছে – সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে
২২) স্পেনের রাজধানী – মাদ্রিদ
২৩) সোল স্কয়ার অবস্থিত – মাদ্রিদে
২৪) ৩০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে ১০ বছরের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে - পারমাণবিক ডুবোজাহাজ লিজ নিল ভারত

##সম্পাদকীয়#
২৫) পৃথিবীতে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি এখনো – ১৩০ কোটি মানুষের কাছে
২৬) ইন্টারনেট সুবিধা বঞ্চিত বিশ্বের – ৪০০ কোটি মানুষ
২৭) ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে যা ঘটবে – ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের ১০% মানুষের পরিধেয় বস্ত্রের সাথে থাকবে ইস্টারনেট, ১০% মানুষের চশমার সাথেও যুক্ত থাকবে ইন্টারনেট, আবিষ্কার হবে মানুষের শরীরে স্খাপনযোগ্য মোবাইল ফোন, স্মার্ট ফোন ব্যবহার করবে ৯০% মানুষ, যুক্তরাষ্টের ১০% গাড়ি হবে চালকবিহীন, ৩০% কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের অডিট হবে রোবট দিয়ে
২৮) দৈনিক ইউটিউব দেখা হয় – ৮৮০ কোটি বার সারা বিশ্বে, ই মেইল পাঠানো হয় – ২০ হাজার ৭০) কোটি, গুগল সার্চ করা হয় – ৪২০ বার ( প্রতিবেদন ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট)
২৯) ২০৩০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে -৮০০ কোটি
৩০) অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা – স্টিভ জবস

##অর্থনীতি##
৩১) দেশে ২০১৭ সাল পর্যন্ত উচ্চপদে নারীর সংখ্যা – ১৪ হাজার
৩২) প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করতে পারে মোট আমানতের – ৮৩.৫০% 
৩৩) ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের জুলাই টু ফেব্রুয়ারির মোট রপ্তানি আয় – ২,৭৫৬ কোটি ডলার, প্রবৃদ্ধি – ১২.৯৮%
৩৪) চলতি অর্থ বছরে রপ্তানির মোট লক্ষ্যমাত্রা – ৩,৯০০ কোটি ডলার
৩৫) চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৮ মাসে পোশাক রপ্তানির আয় – প্রায় ২,৩১৩ কোটি মা. ড.
৩৬) সৌদি আরব বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে – ৩৫০০ কোটি ডলার
৩৭) বর্তমানে দেশে ব্যাংক খাতে চাকরি করছেন – ২২ হাজারেরও বেশি নারী
৩৮) সরকারি চাকরিতে নারীর অংশগ্রহন -২৫% এর বেশি
৩৯) ব্যাংক খাতে কাজ করেন -১২% নারী
৪০) ব্যাংকখাতে মোট কর্মী – ১ লাখ ৭৫ হাজার ২৭ জন
৪১) নারী কর্মী বেশি – বিদেশি ব্যাংকে
৪২) ব্যাংকে পরিচালকদের মধ্যে নারী – ১৩%
৪৩) ৫৯ টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে নারী এমডি – ১ জন

৪০তম বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি দৈনন্দিন বিজ্ঞান টেস্ট

১। রক্ত জমাট বাধায় কোন ধাতুর আয়ন সাহায্য করে ?
ক. আয়রন খ. সোডিয়াম গ. ক্যালসিয়াম ঘ. ম্যাগনেশিয়াম
উত্তর: গ
২। প্রেসার কুকারে পানির স্ফুটনাংক
ক. কম হয় খ. বেশি হয় গ. ঠিক থাকে ঘ. কোনোটিই নয়
উত্তর : খ
৩। সিলিকনের ব্যবহার কোন শিল্পে বেশি হয় ?
ক. ওষুধ খ. ইলেকট্রনিক গ. রঙ ঘ. কাগজ
উত্তর : খ
৪। সাধারণ বৈদ্যুতিক বাল্বের ভিতরে কোন গ্যাস থাকে ?
ক. হাইড্রোজেন খ. ফসফরাস গ. নাইট্রোজেন ঘ. হিলিয়াম
উত্তর : গ
৫। বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য পালনকে বলা হয়
ক. পিসিকালচার খ. এপিকালচার গ . এভিকালচার ঘ. সেরিকালচার
উত্তর : ক
৬। বায়োগ্যাসের কোন উপাদান জ্বালানির কাজে লাগে ?
ক. কার্বন ডাই অক্সাইড খ. অক্সিজেন গ. মিথেন ঘ. নাইট্রোজেন
উত্তর : গ
৭। কোনো বস্তুতে আধানের অস্তিত্ব যন্ত্র কোনটি?
ক. অ্যামিটার খ. ভোল্টমিটার গ. অণুবীক্ষণ যন্ত্র ঘ. তড়িৎবীক্ষণ
উত্তর: ঘ
৮। মানবদেহে রাসায়নিক দূত হিসেবে কাজ করে
ক. স্নায়ুতন্ত্র খ. হরমেন গ. পেশী ঘ. উৎসেচক
উত্তর : খ
৯। ক্যান্সার সেল ধ্বংসের কাজে ব্যবহৃত হয় কোনটি?
ক. হিলিয়াম খ. আর্গন গ. রেডন ঘ. জেনন
উত্তর: গ
১০। বায়ুমণ্ডলে কোন স্তরে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয় ?
ক. স্ট্রাটোস্ফিয়ার খ. ট্রপোস্ফিয়ার গ. আয়নোস্ফিয়ার ঘ. ওজোনস্তর
উত্তর : গ
১১। ব্যাকটেরিয়ার কোষে নিচের কোনটি উপস্থিত?
ক. প্লাসটিড খ. মাইট্রোকন্ড্রিয়া গ. নিউক্লিওলাস ঘ. ক্রোমাটিন তন্তু
উত্তর : ঘ
১২। কোন গ্যাটি ‘ড্রাই আইস ‘ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ?
ক. অক্সিজেন খ. কার্বন ডাই -অক্সাইড গ. সালফার ডাই অক্সাইড ঘ. নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড
উত্তর: খ
১৩। মস্তিষ্কের ডোপামিন তৈরির কোষগুলো নষ্ট হলে কী রোগ হয় ?
ক. এপিলেপসি খ. পারকিনসন গ. প্যারালাইসিস ঘ. থ্রমবোসিন
উত্তর : খ
১৪। বন্যার পর কোন অসুখের প্রাদুর্ভার বেশি দেখা যায় ?
ক. ডায়রিয়া খ. ডেঙ্গু গ. জ্বর ঘ. চুলকানিি
উত্তর : ক
১৫। টমেটোতে বিদ্যমান
ক. সাইট্রিক এসিড খ. অক্সালিক এসিড গ. ম্যালিক এসিড ঘ. অ্যাসিটিক এসিড
উত্তর: গ

শেষ মুহূর্তের বিসিএস প্রস্তুতি নিয়ে সুশান্ত পাল এর টিপসঃ



০১. আবেগ কমান, সাধারণ জ্ঞান পড়া কমান। বিসিএস সাধারণ জ্ঞান পাণ্ডিত্যের খেলা নয়।
-
০২. আগে কী পড়েছেন, কিংবা পড়েননি, সেটা ভুলে যান। বেশি পড়লেই যেমন প্রিলি পাস করা যাবেই, এমন কিছু নেই; তেমনি কম পড়লেই যে প্রিলি ফেল করবেনই, তেমন কিছু নেই।
-
০৩. সামনের ১০ দিনে গুনে গুনে অন্তত ১৬০ ঘণ্টা ঠিকভাবে পড়াশোনা করবেন, এর জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখুন। এটা করতে পারলে আগে কোনো কিছু না পড়লেও প্রিলি পাস করে যাবে।
-
০৪. ১০ দিনে বাসায় ৫০ সেট মডেল টেস্ট দেবেন।
-
০৫. ভালো একটা প্রিলি ডাইজেস্ট আর বিভিন্ন প্রিলি স্পেশাল সংখ্যা সমাধান করুন। প্রিলির প্রশ্নব্যাংক আর দুটি জব সল্যুশন রিভিশন দিন।
-
০৬. অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হবেন না। এই ১০ দিন মোবাইল ফোন, টিভি, ফেসবুক, ইমো, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ থেকে যতটুকু সম্ভব দূরে থাকলে আপনার জীবন বৃথা হয়ে যাবে না।
-
০৭. সংবিধান, রাজধানী ও মুদ্রা, শাখানদী ও উপনদী, প্রকৃতি ও প্রত্যয়সহ কিছু ঝামেলাযুক্ত টপিক আছে, যেগুলো মনে রাখতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়, অথচ মার্কস পাওয়া যায় ১-২। কী দরকার? সময়টা অন্য দিকে দিন, বেশি মার্কস আসবে।
-
০৮. সব ধরনের রেফারেন্স বই থেকে ১০০ হাত দূরে
থাকুন। অত সময় নেই।
-
০৯. বেশি বেশি প্রশ্ন পড়ুন, আলোচনা অংশটা কম পড়বেন।
-
১০. এই ১০ দিনে পেপার পড়ার আর খবর শোনার কোনো দরকার নেই।
-
১১. মানসিক দক্ষতা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন—এ দুটি বিষয়ের কনফিউজিং প্রশ্নের উত্তর করবেন না। সাধারণ জ্ঞান থেকে অনেক উত্তর পেয়ে যাবেন।
-
১২. যা কিছু বারবার পড়লেও মনে থাকে না, তা কিছু পড়ার দরকার নেই।
-
১৩. কে কী পড়ছে, সে খবর নেওয়ার দরকার নেই।
যাঁদের প্রস্তুতি অনেক ভালো, তাঁদের সঙ্গে এই ১০ দিনে
প্রিলি নিয়ে কোনো কথা বলবেন না।
-
১৪. বিজ্ঞানটা শুধু প্রিলির প্রশ্নব্যাংক আর জব সল্যুশন থেকে পড়ুন।
-
১৫. পাটিগণিত বাদে গাণিতিক যুক্তির বাকিগুলো প্র্যাকটিস করুন।
-
১৬. বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের জন্য শুধু সরকারি চাকরির প্রশ্নগুলো পড়ুন।
-
১৭. বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকরণ আগে যা পড়েছেন, শুধু
সেইটুকুই আরও একবার পড়ে নিন।
-
১৮. গত ৫ মাসের সাধারণ জ্ঞানের তথ্যগুলো কোনো একটি গাইড/বই থেকে এক নজর দেখে নিন।
-
১৯. ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মাধ্যমিকের
সামাজিক বিজ্ঞান বইটি থেকে দেখতে পারেন।
-
২০. যে প্রশ্নগুলোর উত্তর অনেক দিন ধরেই পাচ্ছেন না,
সেগুলো নিয়ে ভাবা বন্ধ করে দিন।
-
২২. পুরোপুরিই মোবাইল ফোন আর ফেসবুক মুক্ত সময়
কাটান।
-
২৩. পরদিনের জন্য পরীক্ষার হলের প্রয়োজনীয়
জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখুন।
-
২৪. রাতে হালকা খাবার খেয়ে ১০টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ুন।
প্রিলির আগের রাতে ভালো ঘুম না হলে যতই প্রস্তুতি থাক না
কেন, পরীক্ষা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমাবেন।
-
২৫. পরীক্ষার দিন সকালে উঠে ১৫ মিনিট প্রার্থনা করুন।
এরপর ফ্রেশ হয়ে হালকা নাশতা করে হাতে ‘সময়
নিয়ে’ (কোনোভাবেই ‘বইপত্র নিয়ে’ নয়) হলের
উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ুন। বের হওয়ার আগে আরও একবার
দেখে নিন, প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়েছেন কি না।
-
২৬. পরীক্ষার হলে যে ভাবনাটা সবচেয়ে বেশি
ম্যাজিকের মতো কাজ করে, সেটি হলো ‘আই অ্যাম দ্য
বেস্ট’ ভাবনা। আপনার চেয়ে ভালো পরীক্ষা কেউই
দিচ্ছে না, এটা বিশ্বাস করে পরীক্ষা দিন।
-
২৭. উত্তরপত্রে সেট কোডসহ অন্যান্য তথ্য ঠিকভাবে
পূরণ করুন। এটা ভুল হলে সব শেষ।
-
২৮. সব প্রশ্নই উত্তর করার জন্য নয়। লোভে পাপ, পাপে
নেগেটিভ মার্কস।
-
২৯. বুদ্ধিশুদ্ধি করে কিছু প্রশ্ন ছেড়ে না এসে উত্তর
করতে হয়। এ রকম ৬টা প্রশ্ন ছেড়ে শূন্য পাওয়ার চেয়ে
অর্ধেক ঠিক করে ১ দশমিক ৫ পাওয়া ভালো।
-
৩০. সাধারণত যেকোনো বিষয় নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবার সময়
আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। প্রথম দেখায় যে প্রশ্নগুলোর
উত্তর পারেন না মনে হবে, সেগুলো মার্ক করে
পরেরটায় চলে যাবেন। সময় নষ্ট করার সময় নেই।
-
৩১. প্রশ্ন ভুল কি ঠিক, সেটা নিয়ে মাথা খারাপ করবেন না।
-
৩২. বৃত্ত ভরাট করতে করতে ক্লান্ত? একটু ব্রেক নিন।
চাকরিটা পেয়ে গেলে আপনার জীবনটা কীভাবে
বদলে যাবে, কাছের মানুষগুলোর হাসিখুশি মুখ একবার কল্পনায়
আনুন; ক্লান্তি কেটে যাবে।
-
৩৩. কয়টা দাগালে পাস, এমন কোনো নিয়ম নেই। আপনি যেগুলো পারেন, সেগুলোর উত্তর করবেন। এরপর
যেগুলো একেবারেই পারেন না, সেগুলো বাদ দিয়ে
বাকিগুলোর ৬০ শতাংশ উত্তর করবেন।
-
৩৪. কোনো প্রশ্নেই বেশি গুরুত্ব দেবেন না। সব
প্রশ্নেই ১ নম্বর।
-
৩৫. আপনার আশপাশে কে কয়টা দাগাচ্ছে, কোনটি দাগাচ্ছে,
সেদিকে তাকাবেন না। এতে আপনি বেশ কিছু জানা প্রশ্ন ভুল
দাগাতে পারেন।
-
৩৬.পরিচয় দেওয়ার মতো একটা চাকরি সবারই হোক। সিভিল সার্ভিসে আপনাদের স্বাগত জানাই।