বিসিএস নামক প্লাটফর্মের নতুন অতিথির অন্তরের গহীন অরণ্যের প্রশ্ন কি কি বই পড়ব??

বিসিএস নামক প্লাটফর্মের নতুন অতিথির অন্তরের গহীন অরণ্যের প্রশ্ন কি কি বই পড়ব??

উত্তর:::::::

জব সলিউশনঃ
‘বিসিএস বাইবেল’ বলা যেতে পারে এই বই খানাকে। কিন্তু এতো বড় বই এখন পড়া সম্ভব না। কিন্তু একেবারেই না পড়লে হবেও না। বিসিএস ১০-৩৬, এই ২৬ সেট প্রশ্ন এবং পিএসসি নন-ক্যাডার ১০৮ সেট প্রশ্ন; মোট ১৩৪ সেট প্রশ্ন থেকে আমরা নিচের বিষয় গুলো চোখ বন্ধ করে পড়বো-
আন্তর্জাতিক, ইংরেজি গ্রামার ও সাহিত্য, বিজ্ঞান
এই তিন টপিকস আর অন্য কোন জায়গা থেকে পড়ার দরকার নেই। ইংরেজি গ্রামার রুলস গুলো English for Competitive Exam by Md. Fazlul Hauqe এর বই থেকে পড়ে নেয়া যেতে পারে কিন্তু প্র্যাকটিস করবো উপরে উল্লেখিত ১৩৪ সেট প্রশ্ন থেকে! আর আন্তর্জাতিক পড়ার সময় যেসব টপিকস এখন আর প্রাসঙ্গিক না, তখন ছিল - ঐ গুলো বাদ দিয়ে পড়বো!
*** Easy Computer by MP3 George/ যে কোন ডাইজেস্ট/ ডাঃ জামিল’স এর বইঃ
এই তিন বই যার কাছে যেটা আছে সেটা থেকে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি ভাঁজা ভাঁজা করে ফেলব পড়ে। খুবই সহজ, বড়জোর ২-৩ দিন সময় লাগতে পারে পড়তে কিন্তু ১৫ মার্কস একদম হাতে চলে আসবে!
*** মানসিক দক্ষতা by MP3 George বইঃ
অনেক শর্ট-কাট নিয়ম দেয়া আছে। পারলে পুরো বইটা প্রতিদিন ১-২ ঘণ্টা করে পড়ে শেষ করলে অনেক উপকার হবে। এই বই পড়লে শুধু যে মানসিক দক্ষতাতেই ভালো করা যাবে সেটা নয়, একই সাথে গনিতের কিছু অংশ, বাংলা ২য় পত্রের কিছু টপিকস, ইংরেজি গ্রামার, Analogy, Synonyms and Antonyms ও পড়া হয়ে যাবে!
*** Professor’s MCQ Review- বাংলাঃ
এই বই থেকে বাংলা সাহিত্যের শুধু MCQ প্র্যাকটিস, মুখস্থ করতে হবে।
*** বাংলা ভাষা ও জিজ্ঞাসা- সৌমিত্র শেখরঃ
বাংলা গ্রামারের জন্য খুবই দরকারি একটি বই। বাক্য শুদ্ধির নিয়ম, বানান শুদ্ধি, সন্ধির জন্য দেয়া গুরুত্বপূর্ণ সন্ধি গুলো, সমাসের ক্ষেত্রে মধ্যপদলোপী ও বহুব্রীহি সমাস, প্রকৃতি-প্রত্যয়ের এর জন্য দেয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃতি-প্রত্যয় গুলো ভালো করে পড়ে ফেলতে হবে। আর ধ্বনি ও বর্ণ অংশটুকু MP3 বাংলা বই/ বোর্ড বই থেকে পড়লে ভালো। সমার্থক শব্দ, বিপরীতার্থক শব্দ এই গুলা মানসিক দক্ষতার যে বই বললাম, সেই বই পড়ার সময় হয়ে যাবে!
*** যে কোন গানিতিক যুক্তি বইঃ
পাঠিগনিত পার্ট বাদ দিয়ে যে কোন প্রকাশনীর গানিতিক যুক্তি বই থেকে প্রতিদিন ১/২ ঘণ্টা করে প্র্যাকটিস করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ৮ম থেকে দশম শ্রেণীর বোর্ড বই গুলো হাতের কাছে রাখলে ভালো!
*** Professor’s MCQ Review- বাংলাদেশ বিষয়াবলীঃ
এই বই থেকে ইতিহাসের ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৫ ছাড়া বাকি সব প্রাচীন কালের ইতিহাস বাদ দিয়ে অন্য টপিকস গুলোর MCQ পড়ে ভাঁজা ভাঁজা করে ফেলতে হবে!
আর সংবিধানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলো হলঃ ১-৭, ১২, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২৫, ২৭, ২৮, ২৯, ৩৩, ৩৯, ৪১, ৪৭, ৬৪, ৬৬, ৭৭, ৮১, ৯৩, ১১৭, ১১৮, ১২৭, ১৩৭, ১৪১
তাছাড়া সংবিধানের সংশোধনীসমূহ, মোট কয়টি অনুচ্ছেদ, সংবিধান সৃষ্টির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস!
*** ইংরেজি সাহিত্য গত দশ বছরের বিসিএস, পিএসসি নন-ক্যাডারে আসা প্রশ্ন গুলো পড়ে ভাঁজা ভাঁজা করে ফেলতে হবে!
পোস্টটি ছোট কিন্তু এই পোস্টে যে গুলা বলেছি সেগুলা পড়তে ভালই সময় লাগবে। দীর্ঘ সময় নিয়ে ভালো করে প্রস্তুতি নিন।।সুহাসিনীর জন‍্য এতটুকু কষ্ট তো করতেই হবে।
ভালো থাকুন আপনার সুহাসিনীকে নিয়ে। শুভ কামনা বরাবরের মতই।
-আশিকুর রহমান আশিক।।

দিন রাত পড়াশুনা করেও যখন দেখবেন নন ক্যাডার পদের জন্যও আপনি সিলেক্ট হন নাই তখন বুঝবেন জীবন কি জিনিস । মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করলেও পারবেন না ।

দিন রাত পড়াশুনা করেও যখন দেখবেন নন ক্যাডার পদের জন্যও আপনি সিলেক্ট হন নাই তখন বুঝবেন জীবন কি জিনিস । মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করলেও পারবেন না ।
২৫/২৬ বছর বয়সী ইয়াং ট্যালেন্টেড ছেলেপেলে গুলোর পেছনে একটা ক্রাইসিস লেগে থাকে । মাসে তিনটা টিউশনি করিয়ে বাসায় ১০ হাজার টাকা পাঠালেও দেখবেন কারো মন ভরে না । বাকা কথা শুনতেই হবে । বাকা নজরটা মেনে নিতেই হবে ।
প্রাইভেট জব করবেন ? 
কন্যার বাপ আগেই ভেটো দিয়ে বসবে , সরকারী চাকুরি পেলে না ? প্রাইভেট জব আজকে আছে তো কাল নাই । চল্লিশ হাজার টাকা বেতন পেয়েও তখন মনে হবে জীবনে কিছুই করতে পারলাম না ।
জীবনটা "'বড় ছেলে "" নাটকের মতো নয় । এতো কেয়ারিং প্রেমিকা এই যুগে পাবেন না , যে কিনা আপনাকে গাড়িতে বসে মুখে তুলে খাইয়ে দেবে ।
সামাজিক মান মর্যাদার মাপকাঠি এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে লোকে আজকাল পায়ের জুতো দেখে বলে দিতে পারে এই ছেলে সেলসম্যান নাকি বিজনেসম্যান ।
মেয়েরা মানিব্যাগের ব্র্যান্ড দেখেই বলে দিতে পারে এর পকেটের অবস্থা আসলে কী !!
শার্টটা পিউর কটনের নাকি নিউমার্কেটের বাতিল মাল সেটাও ধরে ফেলা যায় চোখের নজরেই ।
পালাবেন কোথায় ?
চোখের সামনেই দেখবে তোমার খাতা কপি করে এক্সামে পাস করা বান্ধবীটা ঠিকই একটা বিজনেস ম্যাগনেটের গলায় ঝুলে গেছে । হাতে গোলাপ ফুল নিয়ে তুমিই শুধু রোড সাইড রোমিও হয়েছো ।
পাশের বাসার ছেলেটিকে দেখে তোমার মা তোমার উপরে রাগ ঝাড়ে ।
নিজের বন্ধুর মেয়ের উদাহরন দিয়ে তোমার বাপে ফেলে দীর্ঘশ্বাস ।
জীবন তোমাকে পেনাল্টি শটের মতো আছড়ে ফেলেছে গোল পোস্টে । তুমি অসহায় । কিচ্ছু বলার নাই ।
একমাত্র ডিপ্রেশনের কবি হওয়া ছাড়া তোমার কাছে ভিন্ন কোন উপায় নাই । কি করবা এখন ?
উপায় একটাই ।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে পেছানোর পথ বলে কিছু থাকে না । সামনেই এগিয়ে যেতে হয় ।
জাস্ট ২/৩ টা বছরের জন্য আত্মসম্মানের পোশাকটা শরীর থেকে খুলে ফেলো । লজ্জা শরম বলে কিছু রেখো না । নিজের উপর কন্ট্রিবিউট করো । রিলেশন থাকলে ভালো । না থাকলে আরো ভালো । কিন্তু যে চলে যেতে চায় তাকে হাতে ধরে বিদায় করো । আটকে রেখো না ।
মেয়ের বাপ সরকারী চাকুরীর ভেটো দিয়ে বসলে সেই পরিবারে গিয়ে নিজেকে বিক্রি না করাই উত্তম । পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দাও তুমি বিক্রির জন্য না ।
জীবন তোমাকে অনেক কিছু দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে । প্রেমিকার হাতের রান্না খাওয়ার চাইতে নিজের রান্না নিজে করতে পারাই উত্তম ।
জাস্ট একটু ধৈর্য
একটু পজিটিভ চিন্তা
সামান্য উইল পাওয়ার
আর নিজের প্রতি আসা অবহেলা গুলোকে এড়িয়ে যেতে পারার মনোভাবই তোমার ৩ বছর পরের জীবনটাকে সুন্দর করে দিতে পারে ।
দেখে নিও